E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাগেরহাটে আম গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে সফেদা ফল!

২০২৩ মে ৩০ ১৮:১০:১৭
বাগেরহাটে আম গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে সফেদা ফল!

সরদার শুকুর আহমেদ, বাগেরহাট : বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের অনেক বাড়ির আম গাছে ফলেছে সফেদা ফল! আমের ভরা মৌসুম জৈষ্ঠ্য মাসে আমের গাছগুলোতে কাঁচা পাকা আম না ঝুলে থোকায় থোকায় ঝুলছে সফেদা। যা দেখে মানুষের মনে দেখা দিয়েছে নানান প্রশ্ন। এমন ঘটনা উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের পশ্চিম খাদা, ধানসাগর ইউনিয়নের সিংবাড়ি ও খোন্তাকাটা ইউনিয়নের রাজৈর গ্রামের বেশ কয়েটি বাড়ির আম গাছে। ওইসমস্ত গাছে চোখ পড়তেই মনে হয় অসংখ্য ছফেদা ফল ঝুলে আছে। হঠাৎ সবুজ আমের গায়ে এমন ধূসর বর্ন দেখে কেউ বুঝতেই পারবে না এটা আম নাকি সফেদা। তাইতো আম গাছে ছফেদা দেখতে অনেকেই ভীড় করছেন ওইসব বাড়ি। সফেদার মতো দেখতে এসব আম পোকায় ভরা বলে জনিয়েছেন ভূক্তভোগি আম বাগান মালিকরা ।


মঙ্গলবার সরেজমিনে শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা, ধানসাগর ও খোন্তাকাটা ইউনিয়নের বেশ কয়েটি গ্রাম ঘুরে আমের গাছগুলোতে কাঁচা পাকা আম না ঝুলে থোকায় থোকায় সফেদা ফলের মতো দেখতে আম ঝুলতে দেখা গেছে। রায়েন্দা ইউনিয়নের পশ্চিম খাদা গ্রামের আম বাগান মালিক শাহজাহান আকন (৭৫) বলেন, আমার বয়স ৭৫ বছর বয়সে কখনো দেখিনি আম গাছে সফেদার মত ফল হয়েছে। উপজেলার সিংবাড়ি গ্রামের সুমন সরদার, রাজৈর গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এ বছর আমাদের আম গাছে সফেদা রঙের এমন আম হয়েছে। যা বিক্রি করাও যায়না। এসব এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে আমের চাষাবাদ না হলেও উপজেলার প্রত্যেকটি বাড়িতে কম বেশি আম গাছের বাগান রয়েছে। এবছর সেইসব গাছে রেকর্ড পরিমান আম হয়েছে। তবে, কিছু গাছের আম সফেদা ফলের মতো ধূসর রঙের হওয়ায় তা খাওয়া নিয়ে আম খামারিসহ এলাকাবাসির মধ্যে ভীতি দেখা দিয়েছে। যে কারনে ছফেদা ফলের মতো দেখতে এসব আম খামারিরা বাজারে বিক্রিও করতে পারছেনা বলেও জানান।

শরণখোলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, আম গাছে কখনো ছফেদা হয়না। দেখতে অবিকল ছফেদা ফলের মতো হলেও আসলে এগুলো আম। এগুলো এক ধরনের রোগ, যা প্রথমে আফ্রিকা মহাদেশের উগান্ডার আম গছে দেখা দেয়। এটা এখন বাংলাদেশে কিছু অঞ্চলে আম গাছে দেখা যাচ্ছে। এই রোগাক্রান্ত আমের গায়ে ছত্রাকের আবরন পড়ে দেখতে ছফেদা ফলের মতো হয়েছে। এতে ভয়ের কিছু নাই। ছত্রাকের কারনে পোকা হলেও যেকোনো সময় ওই আম খাওয়া যাবে। বাগেরহাটে গত এক মাস ধরে চলা তাপদাহে বাতাসে আদ্রতা কমে যাবার কারণে আমে ছত্রাকের কারণে এমটা হয়েছে। যাদের গাছে এমন আম হচ্ছে তারা কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে কিটনাশক স্প্রে করলে আমের এই ছত্রাকজনিত সমস্যা সমাধান হবে বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।

(এসএসএ/এএস/মে ৩০, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test