E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সেতু থাকলেও নেই পূর্ণাঙ্গ সংযোগ, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

২০২৩ জুলাই ০৫ ১৮:১৫:২৬
সেতু থাকলেও নেই পূর্ণাঙ্গ সংযোগ, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

প্রসেনজিৎ বিশ্বাস, নগরকান্দা : সেতুর দুই পাশের মাটি ভরাট না থাকায় কোনো কাজেই আসছে না আর এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে নগরকান্দা উপজেলার পুরাপাড়া ইউনিয়নের মেহেরদিয়া খেয়া ঘাটের নির্মিত মজলিশপুর,দফা গ্রামের হাজারো মানুষ।

জানা যায়, গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প এলজিইডি নগরকান্দা অধীনে গত ২০১৩ অর্থ বছরে উপজেলার পুরাপাড়া ইউনিয়নের মেহেরদিয়া খেয়া ঘাটে নির্মিত। ২ কোটি ২৩ লাক্ষ ৫৪ হাজার ৬৮৬ টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতু নির্মাণের পর দায় সারাভাবে দুই পাশে মাটি ও ইট বিছিয়ে দিয়ে যান ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। সেটি বেশিদিন ক্ষণস্থায়ী না হওয়ার কারণে জনদুর্ভোগ পরেন সাধারণ মানুষ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পুরাপাড়া ইউনিয়নের মেহেরদিয়া খেয়া ঘাটে নির্মিত।২ কোটি ২৩ লাক্ষ ৫৪ হাজার ৬৮৬ টাকা ব্যয়ে খালের ওপর নির্মিত হয় সেতু আর এখন তা মানুষের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেহেতু সেতুটি সঠিক ভাবে ব্যবহার করতে পারছে না গ্রামবাসী সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলাকেই দায়ী করছেন তারা।

গত কয়েক বছরেও দু'পাশের রাস্তা সংস্কারের কথা থাকলেও আজ ও সংস্কার দেখছেন না এলাকাবাসী। সেতুর আশেপাশে জমে থাকছে পানি আর এ পানি জমাট বেধে থাকায় স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা ভিজে যাচ্ছে তারা। বন্যার সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো নাজুক হয়ে যায়, সেতু থাকতেও নৌকা কিংবা বিকল্প পথ ব্যবহার করে পাট, পিঁয়াজ অর্থ কারী ফসল নিয়ে যেতে হয় হাজারো গ্রামবাসীকে। জনস্বার্থে সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়কের মাটির কাজ জরুরি ভিত্তিতে ভরাটের দাবি জানান গ্রামবাসী।

দফা উত্তর পাড়ার এলাকার তীর্থ বাসী বিশ্বাস দৈনিক বাংলা ৭১ কে বলেন, গত ৯-১০ বছর আগে সেতু করে চলে গেছে ঠিকাদার তারপর থেকে আমরা সঠিক ভাবে এই সেতু দিয়ে পার হতে পারিনি। গত কয়েকদিন আগে একটি ভ্যান গাড়ি উল্টে খাদে পড়ে যায় বেশ কয়েকজন আহত হন। স্থানীয় চেয়রাম্যান মেম্বার নেতাদের একাধিকবার বলেছি কিন্তু কোনো কাজ হয়ি। এখন আশা ছেড়ে দিয়েছি কারণ আমরা-তো অবহেলিত আমাদের কেনো তারা সুযোগ সুবিধা করে দিবে, ভোটের সময় এলে নেতারা আসে আর ভোট চলে গেলে তাদের চরণ ধুলি পাওয়াটা অবিশ্বাস্য হয় দাঁড়ায়।

মেহেরদিয়া গ্রামে নুর ইসলাম মিন্টু বলেন, আমরা এখান দিয়ে ভ্যান নিয়ে উঠতেও পারিনা নামতেও পারি না। পাট, পিঁয়াজ অন্যান্য ফসলাদি নিয়ে মাইক্রোবাস বা নসিমন নিয়ে আসতে যাইতে পারি না। একটা বিবাহের অনুষ্ঠানেও এখান দিয়ে কেউ যাইতে পারে না। এখনো আমরা চাই অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুর গোড়ায় মাটি দিয়ে যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দিক।

এ বিষয়ে পুরাপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান বাবু ফকির বলেন, বিষয়টি জেনেছি দ্রুতই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইকবাল কবির বলেন, সেতু যখন নির্মাণ হয় ওই সময় আমি এ উপজেলায় কর্মরত ছিলাম না, তাই বিস্তারিত বলতে পারবো না। তবে নতুন বরাদ্দ এলে দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুর দুই পাশে মাটি দিয়ে ভরাট করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মঈনুল হক দৈনিক বাংলা ৭১ কে বলেন, সেতু আছে কিন্তু পূর্ণাঙ্গ সংযোগের জন্য মাটি নেই এ বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। যত দ্রুত সম্ভব এ সমস্যার সমাধান করবো।

(পিবি/এসপি/জুলাই ০৫, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test