E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কেশবপুরে আদালতের ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জমি দখলের চেষ্টা

২০২৩ জুলাই ১৮ ১৯:১৩:৩৪
কেশবপুরে আদালতের ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জমি দখলের চেষ্টা

স্বাধীন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, যশোর : যশোরের কেশবপুরে জোর পূর্বক জমি দখলের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ, বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত যশোরে মামলা করা হয়েছে। মামলা চলমান অবস্থায় ১৪৪/১৪৫ ধারা ভঙ্গ করে নালিশি জমিতে ঘর উঠানোর চেষ্টা অব্যহত রাখা হয়েছে। 

জানা গেছে, কেশবপুরের টিটাবাজিতপুর গ্রামের মৃত্যু জালাল উদ্দীন মোড়ল ও আকলিমা খাতুনের দুই ছেলে, এক মেয়ে। হাসানপুরে তাদের মামার বাড়ির জমি উদ্ধারে মামা-ফুফাতো ভাই বোনদের মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরে গন্ডগোল চলমান রয়েছে। জমি সংক্রান্ত বিষয়ে ভোগান্তির শিকার হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন হারুন আর রশিদ, ইছাক হোসেন ও বোন জাহানারা খাতুন। এক পর্যায়ে বিজ্ঞ আদালতে হারুন আর রশিদ বাদি হয়ে শওকত আলী, হারুন আর রশিদ, রজমান শেখকে বিবাদি করে মামলা করে। ফেব্রুয়ারি মাসে করা মামলা নম্বর ৩০৩/২৩। আদালত নালিশি জমির উপর মার্চ মাসে ১৪৪/১৪৫ ধারা জারি করে। সেই মামলা এখনও চলমান রয়েছে। এর ভিতরে স্থানীয় কিছু লোকজনের সহযোগিতায় এই জমিতে বিবাদিরা পাকাঘর তৈরি কাজ শুরু করে। বাদিপক্ষ জরুরি পরিসেবায় কথা বলে কেশবপুর থানায় জুলাইয়ের ১২তারিখে লিখিত অভিযোগ করে। তারপর ১১ নম্বর হাসানপুর ইউনিয়নের বিট অফিসার উপ-পরিদর্শক বিদ্যূষ বিশ্বাসকে দায়িত্ব দেওয়া হয় সমস্যা নিষ্পত্তি করার। বাদি পক্ষের অভিযোগ উপ-পরিদর্শক বিদ্যূষ বিশ্বাস বিবাদিদের ঘরে গিয়ে টাকা নিয়ে আসে এবং বলে আসে ঘর উঠানো বন্ধ করে দিয়েছি। একদিন ঘর তৈরির কাজ বন্ধ থাকে। পরের দিন আবার ঘরের কাজ শুরু করে বিবাদি রজমান আলী।

ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখা গেছে নালিশি জমিতে ঘর তৈরি হচ্ছে। বিবাদি রমজান আলীর কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নালিশি জমি ৬৬৮ নম্বর দাগের, তিনি ঘর উঠাচ্ছেন ৬৬৯ নম্বর দাগে। থানা পুলিশ এসেছে আইনের জটিলতা না থাকার কারণে তিনি ঘর তুলতে পারছেন। তাছাড়া তিনি ফুফাতো ভাই-বোনদের জমি জোর পূর্বক দখল করছেন না বরং তাদের জমি তাদের দিতে রাজি আছেন তিনি। সাংবাদিকের উপস্থিতি বুঝতে পেরে এলাকার মাতবররা চলে আসে। তাদের ভাষ্যমতে নালিশি জমিতে ২ মাস অর্থাৎ ৬০ দিন ১৪৪/১৪৫ ধারা বলবত থাকে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেশবপুর থানার উপ-পরিদর্শক বিদ্যূষ বিশ্বাস বলেন,ওসি স্যারের নির্দেশে সেখানে গিয়েছিলাম। উভয় পক্ষকে থানায় ডাকা হয়। বাদি পক্ষ থানায় হাজির হয় না।পরে ওসি স্যার বলে বাড়ির কাজ চালিয়ে যেতে।

কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

(এসএ/এসপি/জুলাই ১৮, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test