E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘উন্নয়নের সুফল পেতে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে’

২০২৩ জুলাই ২৫ ১৮:৫০:১৪
‘উন্নয়নের সুফল পেতে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে’

দিলীপ চন্দ, ফরিদপুর : গতকাল সোমবার ফরিদপুরে ঐতিহাসিক অম্বিকা ময়দানে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। 

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের উন্নয়নের সুফল পেতে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই দেশ টিকে আছে। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিজয় সুনিশ্চিত।’

সোমবার ফরিদপুরে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বিকালে শহরের ঐতিহাসিক অম্বিকা ময়দানে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

জাফর উল্লাহ আরও বলেন, ‘এ বছরই দেশের উন্নয়নে চমক অপেক্ষা করছে। শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু করেছেন। পদ্মা সেতু হয়ে সারা দেশে রেল যোগাযোগ চালু হবে। উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে কর্ণফুলী টানেল। এত উন্নয়ন সব এ দেশের জনগণের জন্য। ঐক্যবদ্ধ শেখ হাসিনার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নতুন করে ভোটের বিপ্লব ঘটাতে হবে। নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় এনে উন্নয়নের ফল ভোগ করতে হবে। তা না হলে জামায়াত-বিএনপি আবারও নৈরাজ্য শুরু করে দেশটাকে ধ্বংস করে দিবে।’

তিনি ফরিদপুরের রাজনীতি নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি ঘোলাটে হয়ে যাচ্ছে, জটিল হয়ে যাচ্ছে। দলের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি চলছে। ফরিদপুরের সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগের ঝাণ্ডার নিচে এক হয়ে কাজ করতে হবে।’

সম্মানিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, ‘শেখ হাসিনার রাজনৈতিক অঙ্গীকার হলো দেশের জনগণের উন্নয়ন করা। শেখ হাসিনার রয়েছে জাদুকরি নেতৃত্ব। বিশ্ব নেতারা তার নেতৃত্বের দিকে তাকিয়ে থাকেন। বঙ্গবন্ধু যে বাংলার স্বপ্ন দেখতেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে সেই জায়গায় নিয়ে যেতে কাজ করছেন।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি চায় শেখ হাসিনার পদত্যাগ, তারা চায় তত্ত্বাবধায়কের হাতে নির্বাচন। তা না হলে তারা নির্বাচনে আসবে না। এজন্য তারা বিশ্বমোড়লদের কাছে ধর্না দিচ্ছে। কেন শেখ হাসিনার পদত্যাগ করতে হবে? কেন তত্ত্বাবধায়ক দিতে হবে? বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ব মোড়লেরাও চায় আমাদের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হোক। আমরাও অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে বদ্ধপরিকর।’

সম্মানিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘শেখ হাসিনার হাতেই বাংলাদেশ নিরাপদ। এ দেশের মানুষের কল্যাণ নিহিত আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে। তাই আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করে বাংলার উন্নয়ন এগিয়ে নিতে হবে।’

অম্বিকা ময়দানে ফরিদপুর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এ. কে. আজাদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদ বলেন, ‘শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা আমাদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। তাহলেই আমাদের বিজয় নিশ্চিত হবে। প্রধানমন্ত্রী একমাত্র নেত্রী, যিনি সারাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ স্থাপন করছেন। দেশে তিনি কোনো ভূমিহীন রাখবেন না বিধায় দুই শতাংশ জমিসহ ঘর করে দিয়েছেন। পদ্মা সেতু করে এ অঞ্চলের ২১ জেলার উন্নয়নের দ্বার খুলে দিয়েছেন। আমার বিশ্বাস, এই ২১ জেলার একটি সিটও আওয়ামী লগের হাতছাড়া হবে না।’

স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক বলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগে এমন নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন যারা সমাজ তথা জনগণের জন্য কাজ করবেন, করো না কালীন সময়ে যারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে মানুষের জন্য কাজ করেছেন। এবং যাদের সমাজে গ্রহণযোগ্যতা আছে এবং মুক্তিযুদ্ধ চেতনায় উদ্বুদ্ধ। এমন একটি নেতৃত্বে দিবেন যারা আগামী ৬ মাস বিএনপি জামাতের ষড়যন্ত্র রুখে দেয়ার জন্য একটা শক্তিশালী সংগঠন গড়ে তুলতে পারে। তিনি আরো বলেন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করে আবারো প্রধানমন্ত্রী করতে হবে তা না হলে আমার মত শামীম হকের সভাপতিত্বের এদেশের কোন স্থান নাই তাই যে কোন মূল্যই হোক জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনা প্রয়োজন। আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ভাতৃপ্রতিম সংগঠন সহ সকল অঙ্গসংগঠন মিলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে একসঙ্গে কাজ করতে হবে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে এটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।

এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আরিফ, ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাহাদাব আকবর লাবু চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফারুক হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঝর্ণা হাসান, অমিতাভ বোষ, পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মনিরুল হাসান মিঠু, কোতয়ালী থানার সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মোল্ল্যা প্রমুখ।

সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক শওকত আলী জাহিদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ.কেএম আফজালুর রহমান বাবু। সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব ফয়সাল আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় বিশেষ বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মেজবাউল হোসেন সাচ্চু।

সভার দ্বিতীয় অধিবেশনে ২৩ জন সভাপতি প্রার্থী ও ৩৮ জন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর নাম পেলেও কেন্দ্রীয় নেতারা জেলার কমিটি ঘোষণা দিতে পারেননি। তারা ঢাকায় যাচাইবাছাই শেষে পরবর্তীতে নাম ঘোষণা করবেন বলে জানান।

এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টায় অম্বিকা ময়দানে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় নেতারা।

(ডিসি/এসপি/জুলাই ২৫, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

১২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test