E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

জাল সনদে চাকরির অভিযোগে উপাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

২০২৩ জুলাই ২৬ ১৮:৩৮:২০
জাল সনদে চাকরির অভিযোগে উপাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

রাজন্য রুহানি, জামালপুর : জামালপুর সদর উপজেলার দিগপাইত শামছুল হক ডিগ্রী কলেজে জাল সনদে ২০ বছর ধরে চাকরি করছেন ওই কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. আহসান উল্লাহ ওরফে জুলহাস। ২০০৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর কম্পিউটার প্রভাষক পদে (বর্তমানে প্রভাষক আইসিটি পদে) চাকরি নিয়ে আজ তিনি উপাধ্যক্ষ পদে উন্নীত হয়েছেন। এ অভিযোগে ওই উপাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের জামালপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক মলয় কুমার সাহা।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, 'দিগপাইত শামছুল হক ডিগ্রী কলেজের বর্তমান উপাধ্যক্ষ ও সাবেক প্রভাষক (কম্পিউটার) মো. আহসান উল্লাহ ওরফে জুলহাস, জামালপুর তৎকালীন জাতীয় বহুভাষী সাঁটলিপি প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমী, (নট্রামস) এর আওতাভুক্ত কোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ গ্রহণ না করা সত্ত্বেও এবং নট্রামস কর্তৃক তাঁর নামে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ গ্রহণের কোনো সনদপত্র ইস্যু না করা সত্ত্বেও তিনি নট্রামস কর্তৃক ইস্যু দেখানো কম্পিউটার প্রশিক্ষণের একটি জাল সনদপত্র (serial no-16762, Registration no 16659) দাখিল করে ২৩/০৯/২০০৩ সালে তৎকালীন কম্পিউটার প্রভাষক পদে (যা বর্তমানে প্রভাষক আইসিটি পদে) দিগপাইত শামছুল হক ডিগ্রী কলেজে চাকুরীতে যোগদান করে এবং বর্তমান সময় পর্যন্ত পদে চাকুরী করে সরকারী বেতন ভাতা গ্রহন করে দন্ডবিধির ৪৬৪/৪৬৭/৪৭১ এবং ১৭৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। মো. আহসান উল্লাহ গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৩ সালে দিগপাইত শামসুল হক ডিগ্রী কলেজে প্রভাষক (কম্পিউটার) পদে যোগদান করেন।'

আরও বলা হয়, 'তিনি জাল/ভুয়া সনদ দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ চাকুরি করছেন ও সরকারি কোষাগার হতে অর্থ উত্তোলনের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং নিয়োগ জাল জালিয়াতি ও টেম্পারিং করেও মোটা অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। অনুসন্ধানকালে অভিযোগ প্রমাণের জন্য মো. আহসান উল্লাহের তাঁর আবেদনের সাথে দাখিলকৃত কম্পিউটার প্রশিক্ষণ বিষয়ক সনদপত্র, যা জাতীয় বহুভাষী সাঁটলিপি প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমী, (নট্রামস) কর্তৃক ইস্যু দেখানো, বগুড়ার দুদকের পরিচালকের প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে ওই উপাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমতি দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত উপাধ্যক্ষ‌ আহসান উল্লাহ বলেন, 'সার্টিফিকেট জাল কিনা আসল এ বিষয়ে আমার কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। আসলে আমার কিছু শত্রু রয়েছে তারা অভিযোগ করেছিল।'

দুর্নীতি দমন কমিশনের জামালপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মলয় কুমার সাহা বলেন, 'অভিযুক্ত উপাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত শেষে আদালতে এর বিচার হবে।'

(আরআর/এসপি/জুলাই ২৬, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test