E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নওগাঁয় একই ব্যক্তি ২ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা হয়ে সুযোগ-সুবিধা ভোগ!

২০১৪ এপ্রিল ৩০ ১৮:২১:১২
নওগাঁয় একই ব্যক্তি ২ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা হয়ে সুযোগ-সুবিধা ভোগ!

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁ সদর উপজেলার বরুনকান্দি গ্রামের খবির উদ্দিন মোল্লার পুত্র মো. খাদেমুল ইসলাম একাধারে ২ উপজেলায় (নওগাঁ সদর ও ধামইরহাট))গেজেটভুক্ত হয়ে সরকার প্রদত্ত মুক্তিযোদ্ধার সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। ইতোমধ্যেই তিনি নওগাঁ সদর উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা গেজেট দেখিয়ে তার মেয়েকে এবং ধামইরহাট উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা গেজেট দেখিয়ে তার ছেলেকে সরকারি চাকুরিতে ঢুকিয়েছেন। এদিকে তিনি আদৌ কোন মুক্তিযোদ্ধা নন। তিনি একজন রাজাকার বলে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়, বিগত ১৯৯৮ সালের ১৩ অক্টোবর ভারতে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাচাইয়ের সময় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান মো. হাতেম আলী ও মহাসচিব আব্দুর রশিদ এবং তৎকালীন নওগাঁ জেলা ইউনিট কমান্ড শফিকুল ইসলাম খান তাকে রাজাকার বলে উল্লেখ করেছেন। এছাড়া যাচাই-বাচাই কমিটি নওগাঁর সচিব মরহুম জালাল হোসেন চৌধূরীও তাকে রাজাকার বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু বিগত জোট সরকারের আমলে রাজাকার খাদেমুল ইসলাম একবারে ধামইরহাট থানা মুক্তিযোদ্ধা কমিটির সচিব হয়ে যান।
এদিকে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিগত ২০০৫ সালের ২৩ মে তারিখে প্রকাশিত গেজেটে ক্রমিক নং ১৬৭৩ মোঃ খাদেমুল ইসলাম পিতা খবির উদ্দিন মোল্লা, গ্রাম চকযদু, ইউনিয়ন উমার থানা ধামইরহাট এবং ক্রমিক নং ৫৭৯ মো. খাদেমুল ইসলাম পিতা মো. খবির উদ্দিন মোল্লা, গ্রাম বরুনকান্দি থানা নওগাঁ সদর উল্লেখ করা হয়েছে। দু’টি গেজেটেই মো. মুনীর ইকবাল হামিদ, উপ-সচিব (প্রশাসন) স্বাক্ষর করেছেন। উক্ত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা খাদেমুল ইসলাম আসন্ন ৪ জুনের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কোন ভোটে যেন অংশগ্রহণ করতে না পারেন, তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ধামইরহাট উপজেলার ২৩জন বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজিষ্ট্রেশন অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। বুধবার নওগাঁ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার হারুন অল রশীদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
(বিএম/এএস/এপ্রিল ৩০, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test