E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সংবাদ প্রকাশের পরেও

শ্রীনগরে এক্সপ্রেসওয়ের জায়গায় গড়ে ওঠা স্পিডবোটের কারখানাটি উচ্ছেদ হয়নি 

২০২৩ সেপ্টেম্বর ০৫ ১৬:০৭:১৫
শ্রীনগরে এক্সপ্রেসওয়ের জায়গায় গড়ে ওঠা স্পিডবোটের কারখানাটি উচ্ছেদ হয়নি 

আমিনুল ইসলাম, শ্রীনগর : মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের ব্যস্ততম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লেনের পাশে সড়কের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে স্পিডবোটসহ ফাইবারের যাবতীয় মেটারিয়াল তৈরির ছাড়পত্রবিহীন একটি কারখানা। কিছুদিন আগে একাধিক পত্রিকায় “এক্সপ্রেসওয়ের পাশে ঝুঁকিপূর্ণ কারখানা” বিষয়ে  সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর পরে এখনও তা বন্ধ হয়নি।

সার্ভিস লেনের সড়কের উপরে স্পর্শ দূরত্বে লাইন ধরে রাখা হয়েছে অসংখ্য স্পিডবোট ও যাবতীয় মালামাল। এতে ব্যস্ততম সড়কে যানবাহন চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অপরদিকে অপরিকল্পিতভাবে সড়কের পাশে ভরাট ও স্থাপনা নির্মাণের ফলে সার্ভিস লেনের পানি নিস্কাষণে বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। বৃষ্টি হলেই ঢলের পানিতে সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগর উপজেলার সমষপুর ও দোগাছির মাঝামাঝি রেল স্টেশনের বিপরীত দিকে অথাৎ সড়কের পশ্চিম পাশের সার্ভিস লেনের জায়গায় গড়ে উঠেছে ‘রূপা মটর ওয়ার্কসপ এন্ড ফাইবার গ্যাস’ নামক করাখানাটি। এর আগে গত ১৭ আগস্ট ২০২৩ এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সচিত্র প্রতিবেদ প্রকাশিত হলেও কারখানাটি বহাল তবিয়তে রয়েছে।

সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, টিনশেড কারখানায় কাজ চলছে। বিভিন্ন ক্যামিকেলের সংমিশ্রনে ফাইবার তৈরি করছেন শ্রমিকরা। যত্রতত্রভাবে সড়কের জায়গা ভরাট ও কারখানা স্থাপণের ফলে সার্ভিস লেনের পানি নিস্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে। এতে বৃষ্টিতে সড়কে পানি জমছে। এছাড়া কারখানার উত্তর পাশেও সড়কের জায়গা ভরাট করে অপর এক ব্যক্তি বালু কেনাবেচা করছে বলে শ্রমিকরা জানিয়েছে।

কারখানরটির ম্যানেজার মো. তপু শেখ বলেন, দুই মাস যাবত এখানে কারখানাটি আনা হয়েছে। এর আগে কারখানাটি মাওয়া ঘাট এলাকায় ছিল।

কারখানাটির কর্ণধার পার্শ্ববর্তী লৌহজং উপজেলার মেদিনী মন্ডল এলাকার মো. খলিল বেপারী বলছেন, আজাহার উকিল নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে মাসিক ১৫ হাজার টাকায় এক্সপ্রেসওয়ের পাশে জায়গাটি ভাড়া নিয়েছি। কারখানাটি পিছনের দিকে সরানো হবে।

সড়ক ও জনপথের প্রকৌশলী (শ্রীনগর জোন) দেবাশীষ বিহারী দাস জানান, এক্সপ্রেসওয়ে আমাদের আওতায় নেই। তবে আমি এর আগে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।

হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি কাঞ্চন কুমার সিংহ জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিলনা। আমি এখানে নতুন এসেছি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এএম/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test