E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মানুষের কাছে ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ কাপ্তাইয়ের অজিত কুমার তনচংগ্যা

২০২৩ সেপ্টেম্বর ০৬ ১৫:৫১:৪৫
মানুষের কাছে ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ কাপ্তাইয়ের অজিত কুমার তনচংগ্যা

রিপন মারমা, রাঙ্গামাটি : "মানুষ  মানুষের জন্য” এ কথাটির মর্মার্থ বুঝতে হলে মিশতে হবে একজন ব্যক্তির  সাথে। একনিষ্ঠ সমাজকর্মী মানবতার ফেরিওয়ালা তিনি নিজেই। এই মানতবতার ফেরিওয়ালা হলেন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গা ইউনিয়নের সাপছড়ির উপরপাড়া গ্রামের মৃত শ্লোক ধন তনচংগ্যার পরিবারের সন্তান সমাজসেবক, তরুণ উদ্যোক্তা ও যুবরত্ন অজিত কুমার তনচংগ্যা।

সমাজসেবামূলক কাজে জড়িয়ে অল্প দিনের মধ্যে জনগণের আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন এই ব্যক্তি। সামাজিক দিক থেকে সকলের প্রিয় মানুষ তিনি। মানুষের হিয়ার মাঝে অধিকার পৌছে দেয়াই তার বাসনা, মুখে থাকে তার মন ভাল করে দেয়া হাসি। সদা প্রাণোবন্ত হাস্যোজ্জ্বল মানুষ তিনি। হাসি ছাড়া কথা বলেন না কারো সাথে। ঘুম থেকে উঠে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত পরোপকারে নিজেকে নিয়োজিত রাখেন এই মানবিক মানুষ। স্বপ্ন তার অসহায় মানুষদের নিয়ে কাজ করার। তিনি সবসময় অসহায় অবহেলিত মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকেন। শুধু তাই নয় যে কোনো সামাজিক সমস্যায় তাকে পাশে পাওয়া যায়।করোনা কালে তিনি মানবতার পরিচয় দিয়েছেন। অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছেন।যা সমাজের মানুষের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।

তিনি নিঃস্বার্থ ভাবে গরিব মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মানে কাজ করছে। নিজ অর্থায়নে ধর্মিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন তিনি আর কেউ নয় অজিত কুমার তনচংগ্যা। স্থানীয়রা বলেন, কাপ্তাই উপজেলার অনন্য দৃষ্টান্ত হতে পারে অজিত কুমার তনচংগ্যা।১৯৭০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১২-১৪ বছর বয়স থেকেই অজিত কুমার তনচংগ্যা রাস্তার জঙ্গল পরিষ্কার, সাঁকো নির্মাণ ও পানি খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতেন। তিনি বস্ত্র অধিদপ্তরে ১৯৮৯ সালে চাকুরীতে যোগদান করেন। ২০১৬ সালে চাকরি থেকে সেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করে তিনি সামাজিক ও ধর্মীয় সেবা মূলক কাজ করার জন্য নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ তনচংগ্যা কল্যাণ সংস্হা কাপ্তাই অঞ্চল কমিটির সভাপতি, ওয়াগ্গা - সাপছড়ি বৌদ্ধ বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক,সাপছড়ি - ওয়াগ্গা শ্মশান রক্ষণাবেক্ষন ও উন্নয়ন কমিটির সাধারন সম্পাদক, সাপছড়ি উপরপাড়া পারিবারিক শ্মশান খলার সভাপতি পদে থেকে বিভিন্ন উন্নয়ন ও সেবা মূলক কাজে সহায়তা করে যাচ্ছেন। সাপছড়ি সড়কের ছোটখাটো ভাঙ্গন মেরামত করা,নিজে জঙ্গল পরিষ্কার করা ও নিজ অর্থায়নে মানুষ দ্বারা

কাজ করে যাচ্ছেন। বড়ইছড়ি-ঘাগড়া সড়কের সাপছড়ি এলাকায় মানুষের ব্যবহারের জন্য জেলা পরিষদের সম্মানিত সদস্য বাবু দীপ্তিময় তালুকদার, কয়েকজন দোকানদার ও নিজের আর্থিক অনুদানে একটি টয়লেট নির্মান করেন। দুই সন্তানের জনক অজিত কুমার তনচংগ্যার মেয়ে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স ইউনিভার্সিটি থেকে ভেটেরিনারি মেডিসিনে স্নাতক সম্পন্ন করেন।পরে ইউনিভার্সিটি অফ ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি,চিটাগাং থেকে মাস্টার্স ইন পাবলিক হেলথ সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি জাতিসংঘ ইউএনএফপিএ কক্সবাজারে কর্মরত আছেন। ছেলে প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এ স্নাতক সম্পন্ন করে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত। তার স্ত্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসাবে কাপ্তাই উপজেলায় কর্মরত আছেন।

অজিত কুমার তনচংগ্যা বলেন, বৌদ্ধ ধর্ম একটি পরিপূর্ণ জীবনবিধান।বৌদ্ধ ধর্মের সাথে চলতে হলে বৌদ্ধ ধর্মে প্রতিটি বিষয় মেনে চলতে হয়। মানবসেবার জন্য -বৌদ্ধ বিহার,শ্মশান, সামাজিক কাজ, রাস্তাঘাট ও বাঁধ নির্মাণসহ নানা জনকল্যাণ মুলক কাজ করাও বিশেষ সাওয়াবের কাজ।

একটি সুন্দর কাজ সম্পাদন করতে দরকার ভালো মানসিকতার। মানুষের সেবা করেই আমি আত্মতৃপ্তি পাই। অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে আমার আত্মতৃপ্তি। মানুষের উপকার করতে পারলে নিজের কাছে অনেক ভালো লাগে। তাই নিজেকে আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত রেখেছি। এটাই আমার কর্মময় জীবন। এভাবেই সারাজীবন জনগণের সেবা করে পাশে থাকতে চাই।

(আরএম/এএস/সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

২৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test