E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

দূর্গাপূজায় যশোরে দেড় হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন

২০২৩ অক্টোবর ২০ ১৮:২৮:৩১
দূর্গাপূজায় যশোরে দেড় হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন

স্বাধীন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, যশোর : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এবছর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পূজায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে নিরাপত্তার বিষয়টি। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপনে সর্বউচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠে তৎপর প্রশাসন। এ বছর যশোর জেলায় ৭৩২টি মন্দির ও মন্ডপের নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয়েছে দেড় হাজার পুলিশ সদস্য। একই সঙ্গে আনসার বাহিনীর সদস্যরাও নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকছে। এছাড়াও সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কমিটি ও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর নজরদারি রয়েছে।

এ বিষয়ে যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার বলেন, যশোর জেলায় শারদীয় দুর্গাপূজার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এক হাজার ৪৯২জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। এরমধ্যে ৫০টি পেট্টোল টিম, মোবাইল টিম ২০টি ও একশ’ গোয়েন্দা পুলিশ কাজ করবে। এছাড়াও স্ট্যাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করবে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুজায় নিরাপত্তার চাদরে যশোর ঢাকা থাকবে। প্রত্যেক অঞ্চলের মন্ডপগুলোর বাড়তি নিরাপত্তার জন্য বিট পুলিশকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।

জানা যায়, এ বছর যশোর জেলায় ৭৩২টি মন্দির ও মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজার আয়াজন করা হয়েছে। এরমধ্যে সদর উপজেলায় ১৬৭টি, কেশবপুরে ৯৮টি, মনিরামপুরে ৯৯টি, চৌগাছায় ৪৯টি, ঝিকরগাছায় ৫৬টি, বাঘারপাড়ায় ৯৭টি, শার্শায় ৩২টি ও অভয়নগরে ১৩৪টি মন্দির ও মন্ডপ রয়েছে। বর্ণিল আয়োজনে শারদীয় দুর্গাপূজার সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন আয়োজকরা।

শার্শা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বৈদ্যনাথ দাস বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখ এবার শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবছর কিছুটা হলেও আতংক, আশংকা রয়েছে। এ বিষয়টি প্রশাসনের বিভিন্ন মিটিংয়ে বলেছি। তারা আমাদেরর আশ্বাস দিয়েছেন নির্বিঘ্নে এবছর শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

মনিরামপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তুলসী দাস বসু বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজায় কোন রকমের বিঘ্ন ঘটুক এটা আমরা প্রত্যাশা করি না। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনে প্রশাসনের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিরা ও স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতা পাবো বলে আশাবাদী।

যশোর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপংকর দাস রতন বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাতে কেউ ঘোলা জলে মাছ শিকার করতে না পারে, এজন্য প্রশাসন ও পূজা উদযাপন পরিষদ দফায় দফায় সভা করেছে। প্রত্যেকটি মন্দিরে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মধ্যেদিয়ে পূজা উদযাপন হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, যশোর জেলায় প্রতিবারের মত এবারও সাড়ম্বরে দুর্গাপূজা উদযাপন হবে, এমনটাই আশা করতে পারি। যশোর সাংস্কৃতির রাজধানী। এখানে প্রত্যেকটি উৎসবে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান বৌদ্ধ সকলে মিলেই উদযাপন করি। আমরা বিশ্বাস করি সকলের সহযোগিতায় যথাযথ মর্যাদায় শারদীয় দুর্গাৎসব উদযাপিত হবে।

(এসএ/এসপি/অক্টোবর ২০, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test