E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ধামরাইয়ে ২১৭ টি মন্দিরের প্রতিমা বির্সজনে উৎসব শেষ

২০২৩ অক্টোবর ২৪ ২১:৫৯:২৪
ধামরাইয়ে ২১৭ টি মন্দিরের প্রতিমা বির্সজনে উৎসব শেষ

দীপক চন্দ্র পাল, ধামরাই : দর্পণ বির্সজন পূজা শেষ করার মধ্য দিয়ে শারদীয়া দূর্গা পূজা আনুষ্ঠানিকতা শেষ  হয়েছে মন্দির গুলোয়। ধামরাইয়ে মন্দির গুলিতে এখন শোন শান নিরবতা বিরাজ করছে।পুজারীরাও ভারাক্রান্ত।

আজ প্রতিমা বির্সজনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে এবারের শারদীয় উৎসব। দেবী দূর্গা বিদায় নেবেন দশমী পূজার মধ্য দিয়ে।

তবে ঢাকার ধামরাইয়ে প্রতিমা বির্সজন উৎসব আজ সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় বংশী নদীর ধামরাই মাধব বাড়ির ঘাট এলাকায়। ২১৮ টি প্রতিমার মধ্যে একটি অষ্ট ধাতুর তৈরী প্রতিমা বির্সজন হবে না।

এই ধামরাইয়ে তথা এদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির আছে। সুন্দর পরিবেশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে এবারের পূজা উৎসব শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ হয়েছে।

হিন্দু স¤প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দূর্গা পূজা। এবার ঢাকার ধামরাই উপজেলার একটি পৌর সভা ও ১৬ টি ইউপির বিভিন্ন স্থানে ২১৮ টি মন্দিরে শারদীয়া দূর্গোৎসব শান্তিপূর্ণ ভাবে অনূষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যেএকটি অষ্ট ধাতুর নির্মিত প্রতিমা বির্সজন দেওয়া হয় না। এ প্রতিমার নির্মান শিল্পী ও পুজারী তামা কাসা শিল্পী সুকান্ত বািণক জানান, এই প্রতিমাটি কয়েক বছর ধরে তিল তিল করে তৈরী করেছেন বলে জানান। অতি মূল্যবান প্রতিমাটি তার নিজ বাস ভবনে রাখবেন সারা বছর দর্শনার্থীদের ওদখার জন্য।এর রকম প্রতিমা তিনি অর্ডার ও নিয়ে থাকেন বলে জানান।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে ৫-সাতটার মধ্যে পৌর এলাকার ৪৪ টি প্রতিমা একে একে সব প্রতিমা গুলি বিভিন্ন মন্ডপ থেকে বের করে মাধব বাড়ি ঘাটে এনে স্থাপন করে পুজারীরা।এরপর নারীরা সিদুর খেলায় মেতে উঠেন।এর পর ভ্যান বা গাড়ি করে বিভিন্ন মন্দির থেকে শোভা যাত্রার মাধ্যমে বির্র্সজন স্থল বংশী নদীর মাধববাড়ি ঘাটে নিয়ে আসে পুজারীরা ।কয়েকটি প্রতিমা রাত সাতটার সময়েও ধামরাইয়ের প্রধান বাজারের সড়কে শোভা যাত্রা বের করতে দেখা যায়। এসময় নারী পুরুষ আনন্দ উৎসবে ও নৃত্য করতে থাকে।

সন্ধ্যায় আরতি পুজা ও পূজার্চনা শেষে প্রতিমা গুলি নৌকায় তুলে নিয়ে রাত নটার মধ্যে বংশী নদীতে প্রতিমা বির্সজন করা হয়। এর পরও কিছয প্রতিমা দেরী করে নৌকায় তুলে । বির্সজন দিতে দেরী হয়।

মেলায় হাজারো মানুষের ঢল নেমেছিল। বসেছে বহু দোকান প্রসার। সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। এসময় স্থানীয় নের্তৃবৃন্দরাও উপস্থিত ছিলেন।

বির্সজন ও মেলাঙ্গন জুড়ে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ।

(ডিসিপি/এএস/অক্টোবর ২৪, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test