E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঝিনাইদহে সড়ক দখল করে মেলা

২০২৩ অক্টোবর ৩১ ১২:৫০:৫৩
ঝিনাইদহে সড়ক দখল করে মেলা

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ : শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে শহরের মর্ডান মোড় থেকে পুরান ধোপাঘাটা ব্রীজের সড়ক দখল করে বসানো হয়েছে মেলা। স্থানীয়দের কাছে তা রাকিবুল বাশার রোকনের মেলা হিসাবে পরিচিত। প্রশাসনের আংশিক অনুমতি নিয়ে এ বছর শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে একটি প্রভাবশালী সংগঠন এ মেলার আয়োজন করে। মেলায় দোকান, অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ, জুয়ার আসর ও নৌকার চড়কা (দোলনা) বসিয়ে চক্রটি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। মেলার অনুমতি রয়েছে কিনা এ ব্যাপারে জানতে কয়েক দফা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো সদুত্তর মেলেনি।

এদিকে একটি সূত্র দাবি করছেন ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র হিজলের নিকটাত্মীয় রাকিবুল বাশার রোকন এ বছর শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে এই মেলার আয়োজন করতে যাচ্ছেন। তার সহযোগী হিসাবে রয়েছেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর লিয়াকত হোসেন।তাদের যোগসাজশে এ মেলা বসছে।

জানা গেছে, মর্ডান মোড় থেকে ধোপাঘাটা ব্রীজ সড়কটির দুপাশে তৎকালীন জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম কৃষ্ণাচূড়া অ্যাভিনিউ হিসেবে ঘোষণা করেন এবং শতাধিক কৃষ্ণচূড়া গাছ সড়কের দুপাশে রোপন করেন। মেলার অনুমতি ধোপাঘাটা ব্রীজের নিচে দেওয়া হলেও অদৃশ্য কারণে মেলার স্টলগুলো বসানো হয়েছে কৃষ্ণচূড়া অ্যাভিনিউের দুপাশে। এ সড়কের দুপাশে রয়েছে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর বার্ষিক পরীক্ষা আগামী নভেম্বর থেকে শুরু হবে। যার ফলে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকেরা।

এদিকে সড়কের দুপাশে প্রায় দেড় শতাধিক দোকান বসিয়েছে মেলা কতৃপক্ষ। দোকানপ্রতি এককালীন ২০-৩০ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। আর দৈনিক ৫০০-১০০ হাজার টাকা করে ভাড়া আদায় করা হয়ে থাকে। মেলা চলবে মাসব্যাপী।

মেলার আয়োজক রাকিবুল বাশার রোকন বলেন, এ বছর মেলার আয়োজন করেছি। আমি বিভিন্ন জায়গায় মেলার আয়োজন করে থাকি। মেলার কোনো অনুমতি নিয়েছেন কিনা এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছি। জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে নদীর মাঠের অনুমতি নিয়ে সড়কজুড়ে মেলা বসিয়েছেন এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমি আপনাকে সব জানাব। এক পর্যায়ে এ প্রতিবেদককে দেখা করে চা খাওয়ার দাওয়াত দেন রাকিবুল বাশার রোকন।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন আক্তার সুমি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া (অর্থ ও প্রশাসন) জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ খবর নিয়ে বিস্তারিত জানাতে পারবো।

(একে/এএস/অক্টোবর ৩১, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test