E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নুহাশপল্লীতে হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন পালন

২০২৩ নভেম্বর ১৩ ১৮:৫০:০৩
নুহাশপল্লীতে হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন পালন

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর : নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি জনপ্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদের ৭৫তম জন্মদিন পালন করা হয়েছে। সোমবার রাত ১২টা ১ মিনিটে নুহাশপল্লীতে এক হাজার ৭৫টি মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে জন্মদিনের আয়োজন শুরু হয়। এসময় নুহাশপল্লীর কর্মকর্তা-কর্মচারিরা কেক কেটে হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন পালন করেন।

আজ সোমবার খুব ভোরে হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন তার দুই সন্তান নিশাদ ও নিনিতকে নিয়ে নুহাশপল্লীতে আসেন। সকালে দুই সন্তান, নুহাশপল্লীর কর্মকর্তা-কর্মচারি, অসংখ্য হুমায়ুনভক্তদের নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে লেখকের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। পরে হোয়াইট হাউজের সামনে কেক কাটা হয়।
মেহের আফরোজ শাওন সাংবাদিকদের বলেন, হুমায়ূন আহমেদ জীবিত থাকার সময় যেভাবে জন্মদিন পালন করতেন তার মৃত্যুর পর ঠিক এ ভাবেই প্রতিবছর প্রিয় লেখকের জন্মদিন পালন করা হয়।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শাওন বলেন, হুমায়ুন আহমেদ যে ক্যান্সার হাসপাতাল তৈরীর উদ্যোগ সেটা তার অনুপস্থিতে বাস্তবায়ন করা খুবই কঠিন কাজ। তিনি বেঁচে থাকলে হয়তো তিনি ডাক দিলে কাজটা খুব সহজ ছিল। তার অনুপস্থিতে আমি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন মানুষের কাছে গিয়েছি তবে সাড়া পাইনি। এটি আমার একার পক্ষেও সম্ভব নয়। তবে এখনও আমার বিশ্বাস লেখকের যে স্বপ্ন ছিল এর বাস্তবায়ন হবে। তবে আমার একটি পরিকল্পনা ছিল লেখকের সৌজন্যে একটি জাদুঘর করার, এর প্রক্রিয়া অনেক এগিয়েছে। এর নকশা করা হয়েছে, এটা বানাতে যে বাজেট প্রয়োজন সেটা জোগাড়ের চেষ্টা হচ্ছে, জাদুঘর হবে।

তিনি আরও বলেন, নেত্রকোনায় হুমায়ুন আহমেদের প্রতিষ্ঠিত যে বিদ্যালয় আছে, সেটি ফলাফলে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে। বিজ্ঞানের প্রতিযোগিতায়, খেলাধুলায় ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায়ও জেলার বিশেষ স্থানে রয়েছে বিদ্যালয়টি। স¤প্রতি সরকার বিদ্যালয়ে একটি চারতলা ভবন করে দিচ্ছে। আমরা এখন চেষ্টা করছি প্রত্যন্ত গ্রামের এই বিদ্যালয়টিকে এখন কলেজে পরিণত করার।

মেহের আফরোজ শাওন আরো বলেন, নুহাশ পল্লীর হুমায়ুন আহমেদের সমাধির কাছে আসলে যেমন মনে হয় হুমায়ুন আহমেদ আছেন তেমনি সবসময় সমাধির কাছে আসতেও হয় না নুহাশ পল্লীর পুকুর ঘাটে বসলে, ঘাসের উপর হাঁটলে, গাছগুলোর কাছে গেলেও মনে হয় হুমায়ুন আহমেদ আছেন আমাদের মাঝে।

গাজীপুর সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার ভেতরে পিরুজালী এলাকায় অবস্থিত নুহাশপল্লী। সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন নন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদ নানা বয়সী ভক্তরা। কবরে ফুল দিয়ে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। তারা হুমায়ূন আহমেদের নিজ হাতে সাজানো গোছানো নুহাশপল্লীর বিভিন্ন স্থাপনা এবং নান্দনিক শিল্পকর্ম ঘুরে দেখেন। বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরাও নুহাশপল্লীতে আসেন তাদের প্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদের সমাধিস্থলে। তারা ঘুরে দেখেন নুহাশপল্লী পুরো এলাকা।

নুহাশপল্লীর ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল বলেন, হুমায়ূন আহমেদের জম্মবার্ষিকী উপলক্ষে নুহাশপল্লীতে প্রতিবারের মতোই আয়োজন রয়েছে। রাতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দূরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে গাজীপুরের নুহাশ পল্লীর লিচু তলায় তাকে সমাহিত করা হয়।

(এস/এসপি/নভেম্বর ১৩, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test