E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

ভৈরবে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ

২০২৩ ডিসেম্বর ১৯ ১৬:৫১:০৮
ভৈরবে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ

সোহেল সাশ্রু, কিশোরগঞ্জ : ভৈরবে ৯ বছরের এক মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় পৌর শহরের চণ্ডিবের উত্তর পাড়া আইভি রহমান চত্বর এলাকায় মদিনাতুল উলূম মহিলা মাদ্রাসা ও এতিমখানায় এই ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর থেকে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও  প্রিন্সিপাল মওলানা উসমান গণি কাগজী পলাতক রয়েছে। পালানোর ঘটনায় এলাকায় বেশি চাঞ্চল্যকর অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। 

স্থানীয়রা জানান, চিৎকার চেচামেচি তে এলাকাবাসী ছুটে আসেন। এসে দেখেন কমলপুর মোল্লা বাড়ির মৌসুমি বেগম নামের এক মহিলা তার মেয়ে দিয়াকে নিয়ে আসেন এবং মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল মওলানা উসমান গণি কাগজীর বিরুদ্ধে মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ তুলেন। এসময় মৌসুমি বেগমের সাথে থাকা কয়েকজন যুবক মাদ্রাসায় হট্টগোলের সৃষ্টি করছেন। এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনে। সেই ফাঁকে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল মওলানা উসমান গণি কাগজী পালিয়ে যান। মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল পালিয়ে যাওয়ায় এই নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বলেন, দীর্ঘ ২০ বছর যাবত মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল মওলানা উসমান গণি কাগজী বসবাস করছেন। প্রথমে একটি মসজিদের ইমাম ছিলেন। গত ১০/১২ বছর যাবত তিনি একটি মাদ্রাসা চালাচ্ছেন। এতদিনে তার নামে এ রকম কোন ঘটনা কেউ শুনেনি। তিনি নিতান্তই একজন ভাল মানুষ। ধর্মীয় বিষয়ে এলাকায় তার বিরোধী একটি গ্রুপ আছে। তাই মওলানা উসমান গণি কাগজীর দীর্ঘদিনের সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা করছে। ৯ বছরের শিশু দিয়া বিছানায় প্রশ্রাব করে তাই মওলানা উসমান গণি কাগজী শিশুটিকে মাদ্রাসায় রাখতে চাইনি তাই শিশুর মা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। মওলানা উসমান গণি কাগজীর নামে মিথ্যা বানোয়াট কথা রটাচ্ছেন।

মাদ্রাসা সভাপতি বজলুল রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসাটির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। ষড়যন্ত্র করেই এই মিথ্যা অভিযোগটি করা হচ্ছে। মান সম্মানের ভয়ে মওলানা উসমান গণি কাগজী পালিয়ে গিয়েছেন।

এ বিষয়ে ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী মোমেন মিয়া জানান, লোক মুখে ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশে এসে অভিযোগকারীকে সাথে নিয়ে গেছে। পুলিশ তদন্ত শেষে বলতে পারবে কি হয়েছে।

এ বিষয়ে ভৈরব থানা পুলিশ পরিদর্শক ফরিদুজ্জামান বলেন, ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পেয়ে মাদ্রাসায় গিয়েছিলাম। প্রিন্সিপালকে পাওয়া যায়নি। অভিযোগকারীর সাথে কথা হয়েছে কিন্তু তাদের কাছে শতভাগ সত্যতা পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত চলছে।

(এসএস/এসপি/ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test