E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ওসির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীদের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ

২০২৩ ডিসেম্বর ২৯ ১৬:৫১:৩৫
ওসির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীদের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহে নির্বাচনী সহিংসতায় আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারীদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ঈগল প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল।

আজ শুক্রবার সকালে ঝিনাইদহ ঝিনাইদহ পৌরসভা সংলগ্ন ভাষা সৈনিক মুসা মিয়া আইসিটি এন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এ সময় ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরণ, জাহেদী ফাউন্ডেশনের বন্দে আলী বোরাক, আবু শাহরিয়ার জাহেদী পিপুল ও তবিবুর রহমান লাবুসহ নৌকার সমর্থকদের হামলায় আহত ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল বলেন, নির্বাচন ও রাজনীতি সমাজকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ সৃষ্টি করে। সে কারণে আমি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছি। কিন্তু নির্বাচনে অংশ নিয়ে দেখলাম ঝিনাইদহ ও হরিণাকুণ্ডুর বিভিন্ন গ্রামে ঈগল প্রতীকের সমর্থকরা প্রতিনিয়ত হামলার শিকার হচ্ছে। তাদেরকে নির্মম ও নিষ্ঠুর ভাবে পঙ্গু করে দেয়া হচ্ছে। আবার যারা ভুক্তভোগী পুলিশ তাদের বিরুদ্ধেই মামলা নিচ্ছে। প্রতিটি হামলা সুপরিকল্পিত বলে মহুল অভিযোগ করেন।

তিনি ঝিনাইদহ সদর থানার ওসির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, এই ওসি যদি এখানে থাকে তবে নির্বাচন শান্তিপুর্ন হবে না। সুরাট ইউনিয়নের ঘটনা প্রবাহ তুলে ধরে মহুল বলেন, জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তাকিম মুনির ওসি শাহিন উদ্দীনের সঙ্গেই বিরোধ মিটয়ে শহরে ফিরে আসেন। অথচ তাকেই আসামী করে মামলা করা হলো।

তিনি হুসিয়ার উচ্চারণ করে বলেন, সদর থানার ওসি সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়েছেন। তিনি যদি তার আচরণ পরিবর্তন না করেন তবে পরবর্তী পরিস্তিতির জন্য তিনি নিজেই দায়ী থাকবেন। মহুল বলেন নির্বাচন আমার কাছে বড় ইস্যু নয়, কিন্তু ভোটের মাঠে মারামারির নামে যে দৃশ্য নতুন প্রজন্ম দেখছে তাতে তারা বড় হয়ে কি শিষ্টাচার শিখবে।

মহুল আরও বলেন, একজন মানুষ নিজের ঘরেও নিরাপদ নয়। সুরাট ইউনিয়নে ঘর থেকে ধরে এনে কোপানো হচ্ছে। এ ভাবে ঝিনাইদহ হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় প্রায় ৫০ জন ঈগল সমর্থককে মারধর করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১০-১৫ জন পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। ঢাকায় মুমুর্ষ অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন ৭ জন। অথচ মার খেয়েও নৌকার পক্ষ থেকে তাদের নামেই মামলা করা হচ্ছে। সেই মামলা আবার পুলিশ নিচ্ছেও।

এরপরও যদি এমন হামলা-মামলা চলতে থাকে তিনি রাজপথে নেমে প্রতিবাদ করবেন। তখন কিন্তু জনরোষ সামাল দিতে পারবেন না বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান।

সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলার শুড়োপাড়া গ্রামের মকছেদ আলীর স্ত্রী ঈগল প্রতিকের সমর্থক সামিনা বেগম, গান্নার আবুল হোসেনের ছেলে আলাউদ্দীন, বাজিতপুর গ্রামের খয়বর শেখের ছেলে নান্নু শেখ, আব্বাস আলী, কলমনখালী গ্রামের আব্দুল মান্নান বিশ্বাসের ছেলে আলমগীর হোসেন, রাজা বিশ্বাস ও ঘোড়ামারা গ্রামের শুকুর আলীসহ নির্বাচনী সহিংসতায় আহত ব্যক্তিরা উপস্থিত হন।

(একে/এসপি/ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test