E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাঘাবাড়ী নৌবন্দরে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সাংবাদিক সম্মেলন

২০১৪ নভেম্বর ১০ ১৫:৫০:৩৪
বাঘাবাড়ী নৌবন্দরে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সাংবাদিক সম্মেলন

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারশন থেকে অনিদিৃষ্ট কালের জন্য নৌযান ধর্মঘটের ডাক দেয়ায় সোমবার তৃতীয় দিনেও কোন পণ্য বাঘাবাড়ী বন্দর দিয়ে ওঠা-নামা করেনি। এদিন সকালে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মো. জিন্নাত আলী  শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ি শাখা কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।

এ সম্মেলনে তিনি জানান, তাদের নিখোজ শ্রমিক উদ্ধার, ঘটনার সুষ্ঠ বিচার, নৌপথে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও অপহরণ রোধ করা না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য তারা ধর্মঘট চালিয়ে যাবে। এ সাংবাদিক সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ফেডারশনের বাঘাবাড়ী ঘাট শাখার সহ-সভাপতি আজগর আলী মাষ্টার, সহ-সম্পাদক ফজলুল হক মাষ্টারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

মো. জিনাত আলী উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, গত রবিবার নৌমন্ত্রী শাহজাহান আলী যে শ্রমিকদের সাথে কথা বলেছেন তারা বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারশনের কেউ নন। তাই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার না হওয়া পর্যন্ত তাদের এ ধর্মঘট চলবে।


উল্লেখ্য এমভি কর্ণফুলি-৫ জাহাজটি চট্রগ্রাম থেকে সার বোঝাই করে বাঘাবাড়ি বন্দরে আসার পথে গত শুক্রবার ভোর রাতে ভোলা জেলার সীমান্তবর্তি মেঘনা নদীর মোহনা বাতির খাল (লুব্দা বয়া সিগন্যালের নিকট) এলাকায় ডাকাতের কবলে পড়ে। ডাকাতরা জাহাজের চালকসহ এগারোজন কর্মচারীর মধ্যে নয়জনকে টাকা পয়সাসহ অপহরণ করে নিয়ে যায়। দুজনকে মারধর করে জাহাজের বাথরুমের মধ্যে আটকে রাখে। নিখোজের দুদিন পর সোমবার সকালে একজনের লাশ নদীতে পাওয়া গেলেও বাকীদের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।

এদিকে বাঘাবাড়ি বন্দরের ইজারাদার মো. আব্দুস সালাম এর প্রতিনিধি আবুল হোসেন জানান, ধর্মঘটের কারণে জাহাজ চলাচল বন্ধের পাশাপাশি বন্দরে থাকা ত্রিশটি সার ও তেলবাহী জাহাজ থেকে নৌযান শ্রমিকদের বাধার কারণে মালামাল খালাশ করা সম্ভব হচ্ছেনা। ফলে বন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরিন নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের বাঘাবাড়ি বন্দরের সহকারী পরিচালক মো. আজমল আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, লুব্দা বয়া সিগন্যালের কাছে একটি জাহাজে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। যে কারনে নৌ-যান শ্রমিকরা ধর্মঘট আহবান করায় জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এদিকে বাঘাবাড়ি বন্দরে সার বোঝাই অপেক্ষামান জাহাজ থেকে সার খালাস করতে না পারলে দুই এক দিনের মধ্যেই উত্তর বঙ্গের ষোল জেলায় সার সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করছেন সার ব্যবসায়ীরা। সার পরিবহন ঠিকাদাররা জানান বাঘাবাড়ীসহ উত্তারাঞ্চলের ষোলটি জেলায় ১৩টি বাফার গুদামে সার সরবরাহের জন্য ২৫টি জাহাজ ১৬ হাজার মেট্রিকটন সার নিয়ে বাঘাবাড়ী বন্দরে অপেক্ষা করছে। এবার আসন্ন রবি ও বোরো মৌসুমে কৃষকদের হাতে সার পৌছে দিতে না পারলে কৃষি উৎপাদনে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখিন হওয়ার আশংকা ব্যক্ত করেছেন কৃষি বিভাগ।

(এআরপি/এএস/নভেম্বর ১০, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test