E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সাতক্ষীরা পৌরসভার পাশে খালের বেড়িবাঁধ দখল করে হোটেল নির্মাণ

২০২৪ জানুয়ারি ০৩ ১৮:১৪:৩১
সাতক্ষীরা পৌরসভার পাশে খালের বেড়িবাঁধ দখল করে হোটেল নির্মাণ

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা পৌরসভা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে কালেক্টরেট স্কুলের সামনে প্রানসায়ের খালের বেরিবাঁধ দখল করে মসজিদের সম্পত্তি সাইন বোর্ড লাগিয়ে চলছে হোটেল নির্মানের কাজ। তবে পৌর কর্তৃপক্ষের জানিয়েছে ওই জমি পলাশপোল জামে মসজিদের নামে ২০২৫ সালের ৩০ মার্চ পর্যন্ত ডিসিআর রয়েছে।

সাতক্ষীরা কালেক্টরেট স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক ও পার্শ্ববর্তী কয়েকজন ব্যবসায়ি জানান, গত ২৯ ডিসেম্বর শুক্রবার ভোর থেকে কালেক্টরেট স্কুলের সামনে মসজিদের সম্পত্তি সাইন বোর্ড তুলে সেখানে বাঁশ ও টিন দিয়ে ঘর নির্মান করা শুরু করেন। শহরের পলাশপোল এলাকার ওই ব্যক্তি নিজেকে পলাশপোল জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য বলে দাবী করেন। শনিবার রাত পর্যন্ত কাজ করে তা বন্ধ রাখা হয়। কর্মদিবস বাদ দিয়ে ভোটের ব্যস্ততাকে কাজে লাগিয়ে আবারো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে নির্মন কাজ করা হবে বলে জানা গেছে।

তারা আরো জানান, কয়েক বছর আগে ওই স্থানে সাবেক সেনা সদস্য সাইফুল ইসলাম সাদ তার স্ত্রী লায়লার নামে ট্রেড লাইসেন্স করে ইলেকট্রনিক সামগ্রী বিক্রি করতেন। প্রথমে তার নামে ১৫ বাই ১০ ফুট দৈর্ঘের ঘর ছিল। কয়েক বছর আগে খাল কাটানোর সময় মাপ জরিপ করে ওই দোকানসহ খলের পূর্ব পাশের বহু দোকানের পিছনের অংশ ভেঙে দেওয়া হয়। এরপর ওই দোকানের জায়গা ৮ বাই ৫ ফুট হয়ে যায়। ২০২২ সালের শেষের দিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ খালের পূর্ব পাশে বড় বাজার থেকে নারিকেলতলা পর্যন্ত স্থাপনা ভেঙে দেওয়ার জন্য সাতক্ষীরা পৌরসভাকে চিঠি দেওয়া হয়। এরপর পৌরকর্তৃপক্ষ ওইসব দোকানদারদের স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য নোটিশ দেন। এমনকি তাদের ডিসিআরের মেয়াদ আর বাড়ানো হয়নি। এমতাবস্থায় "মসজিদের সম্পত্তি " সাইনবোর্ড তুলে কিভাবে হোটেল বানানো হচ্ছে সেটা তাদের বোধগম্য নয়। এ অবৈধ নির্মাণের সঙ্গে পৌর কর্তৃপক্ষের যোগসাজস রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হোটেল নির্মাতা নিজেকে পলাশপোল জামে মসজিদের সদস্য দাবি করে পরিচয় গোপন রেখে বলেন,মসজিদ কমিটির নামে ডিসিআর নেওয়া জমিতে তিনি হোটেল নির্মান করছেন। তার বাড়ি পলাশপোল দাবি করে তিনি বলেন, তিনি সবকিছু পৌরকর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করেই সাইন বোর্ড টাঙানো ও সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে পৌরসভার কর্মী শফিকুর রহমান পিন্টু বুধবার দুপুরে সাইন বোর্ড খুলে রাখতে বলেছেন।

সাতক্ষীরা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাজী ফিরোজ হোসেন বলেন,১৫ বাই ১০ ফুট জায়গা মসজিদের নামে ২০২৫ সালের ৩০ মার্চ পর্যন্ত ডিসিআর রয়েছে। তবে সেখানে কি বানানো হচ্ছে সেটা তার জানা নেই। এমনকি কতটা জায়গায় ঘর করা হচ্ছে সেটা তিনি জানেন না।

সাতক্ষীরা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী মোঃ নাজিমউদ্দীনের সঙ্গে বুধবার বিকেল চারটা ১৩ মিনিটে কয়েকবার তার ০১৭৫১-৪১৩৮৪৪ নং মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

(আরকে/এসপি/জানুয়ারি ০৩, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test