E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাগেরহাটে দু’দফা বৃষ্টি, কনকনে শীতে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ 

২০২৪ জানুয়ারি ১৮ ১৮:৪৯:০২
বাগেরহাটে দু’দফা বৃষ্টি, কনকনে শীতে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ 

সরদার শুকুর আহমেদ, বাগেরহাট : বাগেরহাটে হাড় কাঁপানো কনকনে শীতের মধ্যে দুইদফা বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছে জেলা খেটে খাওয়া মানুষ।

আজ বৃহস্পতিবার দিনভর দেখা মেনেনি সূর্যের। শীতের এই তীব্রতার মধ্যে আবার বইছে উত্তরের বাতাস। সকালে জেলাজুড়ে দুইদফা বৃষ্টির পর লোকজন খুব জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ায় রাস্তাঘাট যানবাহনের চলাচলও অনেক কমেগেছে। এই অবস্থায় উপকূলীয় এই জেলার নদী বেষ্টিত জনপদ ও চরাঞ্চলসহ খেটে খাওয়া মানুষের দৈনন্দিন জনজীবনে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।

কনকনে থমকে দাঁড়িয়েছে জনজীবন। হাসপাতালে বৃদ্ধ ও শিশুসহ শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। দরিদ্র মানুষের শীত নিবারণে পর্যাপ্ত বস্ত্র না থাকায় তারা আগুন জ্বেলে শরীর গরমের চেষ্টা করছেন। বাগেরহাটের বলেশ্বর, পানগুছি, ভৈরব, দড়াটানা, পশুরসহ নদ-নদীর পাড়ের জনপদে বসবাসকারী লোকজন শীতের তীব্রতার মধ্যে উত্তরের হাড় কাঁপানো কনকনে শীতল বাতাসে তাদের জনজীবনেও দুর্ভোগ নেমে এসেছে। এসব এলাকার কৃষক, মাঝিমাল্লা ও জেলেরা তীব্র শীতে স্বাভাবিক কাজ কর্ম করতে পারছেন।

মোংলা আবহাওয়া অফিসের প্রধান আবহাওয়াবিদ মো. হারুনুর রশিদ জানান, বৃহস্পতিবার মোংলা-বাগেরহাটে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রী সেসসিয়াস। কনকনে শীত ও উত্তরের হিমেল বাতাসের মথ্যে সকালে বাগেরহাট জেলাজুড়ে দুইদফা বৃষ্টির বৃষ্টি হয়েছে। আরো দুদিন এই অবস্থা চলার পর রবিবার থেকে বাগেরহাটে শীতের প্রকোপ কিছুটা কমে তাপমাত্রা বাড়বে বলেও জানান এই আবহাওয়াবদি।

বাগেরহাট শহরের ভ্যানচালক সোহরাব হোসেন জানান, প্রচন্ড শীতের মধ্যে দুই দফা প্রায় অধাঘন্টা ধরে বৃষ্টি হয়েছে। শীতবস্ত্রের অভাব থাকলেও গক কয়েক দিনে কেজিতে চারের দাম বেড়েছে ৬ থেকে ৮ টাকা। এই অবস্থায় পেটের দায়ে ভ্যন নিয়ে বের হলেও যাত্রী নেই। আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে।

দিনমজুর শাহ আলম ফকির জানান, বৃষ্টি ঠান্ডা, বাতাস ও কাঁপানো কনকনে শীতে মাঠে কাজ করতে পারছি না। মোংলার মামারঘাটে যাত্রীর অপেক্ষায় থাকা নৌযান শ্রমিক হেমায়েত জানান, তীব্র শীতের মধ্যে বৃষ্টিও হচ্ছে, বাতাসও বইছে। এই অবস্থায় নদীতে নৗযান চালাতে খুব কষ্ট হলেও যাত্রী নেই। তাই নদীর পাড়ে আগুন জ্বেলে শরীর গরম করছি।

রামপালের ময়ফুল বিবি জানান, আমি মানুষের বাড়িতে কাজ করি, শীতে গরম কাপড় কেনার সামর্থ্য, এখনো কোনো কম্বলও পাইনি। শীতের মধ্যে বৃষ্টিতে খুব কষ্ট পাচ্ছি,

মোংলা উপজেলা হাসপাতারের মেডিকেল অফিসার ডা. প্রকাশ কুমার দাশ জানান, প্রচন্ড শীতে ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে এখন প্রতিদিই হচ্ছেন ৮০ থেকে ৯০ জন শিশু হাসপাতালে আসছে। শ্বাসকষ্টে নিয়ে ৫০জন বৃদ্ধ নারী-পুরুষ প্রতিদিন হাসপাতালে আসছেন।

(এস/এসপি/জানুয়ারি ১৮, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test