E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৮ ডিগ্রী, মানুষের নাভিশ্বাস

২০২৪ জানুয়ারি ২৬ ১৬:৪৫:২৫
কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৮ ডিগ্রী, মানুষের নাভিশ্বাস

প্রহলাদ মন্ডল সৈকত, কুড়িগ্রাম : মাঘের শীতে বাঘ কাঁপে। তেমনি কুড়িগ্রামের মানুষ হিমেল হাওয়ায় থর থর করে কাঁপছে। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে  ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস বলে রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানিয়েছেন। এ অবস্থায় ঘন কুয়াশার চাদরে মুড়িয়ে ফেলছে পুরো উপজেলা। রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে মানুষ বিশেষ কাজ ছাড়া ঘর থেকে বাইরে বের হয় না। 

২২ জানুয়ারীর পর একটু তাপমাত্রা বাড়লেও ২৫ জানুয়ারী আবারও তাপমাত্রা নেমে এসেছে। ফলে কনকনে ঠান্ডা ও শীতের দাপটে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে।

ঘন-কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিচ্ছে প্রচন্ড ঠান্ডা। তীব্র ঠান্ডায় মানুষজন খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছে। তবুও ঠান্ডা নিবারণ করতে পারছে না শিশু ও বয়স্করা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট,সর্দি কাশিসহ শীত জনিত রোগীর সংখ্যা। সর্দি-জ্বরের ওষুধ সংকট দেখা দিয়েছে বলে ক্লিনিকের কর্তব্যরত সেবাদানকারী সিএইচসিপিরা জানিয়েছেন।

উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের কৃষি শ্রমিক সেকেন্দার আলীসহ বেশ কয়েকজন বলেন, ‘২২ দিন থাকি ঠান্ডায় কাজ কাম করতে পারছি না। আমরা যারা দিন করে দিন খাই, আমারগুলার সমস্যা হইছে।’

রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, জানুয়ারি মাস জুড়েই তাপমাত্রা এরকম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ মাসের ২৮ তারিখের পর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।

(পিএস/এসপি/জানুয়ারি ২৬, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test