E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রেকর্ড পরিমান উৎপাদনের টার্গেট নিয়ে মাঠে নেমেছে বগুড়ার আলু চাষিরা

২০১৪ নভেম্বর ১২ ১৮:৩৪:০১
রেকর্ড পরিমান উৎপাদনের টার্গেট নিয়ে মাঠে নেমেছে বগুড়ার আলু চাষিরা

বগুড়া প্রতিনিধি : আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় গত বছর আলুর উৎপাদন রেকর্ড ছাড়িয়ে গেলেও দাম নিয়ে আলু চাষিদের মাঝে ছিল হতাশা। গত বছরের আলু এখনো কৃষকের ঘরে রয়েছে। চলতি বছর আবারো রেকর্ড পরিমান উৎপাদনের টার্গেট নিয়ে মাঠে নেমেছে বগুড়া অঞ্চলের আলু চাষিরা। চলতি বছর জেলায় আলুর আবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬২ হাজার হেক্টর।

উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন। গত বছরের চেয়ে চলতি বছরে প্রায় ৮০ হাজার মেট্রিক টন আলু বেশি উৎপাদন হবে। বগুড়া সদর, শিবগঞ্জ ও গাবতলী উপজেলায় ইতিমধ্যে আলু চাষে মাঠ নেমেছে আলু চাষীরা। বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় গত ২০১১-১২ মৌসুমে আলু চাষ করা হয় ৫৮ হাজার ২’শ ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে।
এর বিপরীতে ফলন ধরা হয়েছিল ১১ লাখ ৭ হাজার ২’শ ২৫ মেট্রিক টন। সেখানে আলু চাষ হয় ৫৮ হাজার ৫০১ হেক্টর জমিতে (স্থানীয় ভাবে)। ২০১৩ মৌসুমে জেলায় মোট আলু চাষ হয় ৬১ হাজার ৩০৫ হেক্টর জমিতে। ফলন পাওয়া যায় ১১ লাখ ৩৪ হাজার ১৫০ মেট্রিক টন। জেলায় গত বছর রেকর্ড পরিমান আলু উৎপাদন হয়েছে। সে ধারাবাহিকতায় চলতি বছরও ফলন পাওয়া যাবে আশাবাদ করেছে কৃষি অফিস। কৃষি অফিস থেকে মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। সার রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমান। চলতি বছর জেলায় আলুর আবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬২ হাজার হেক্টর। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন। এদিকে আলু চাষীরা বলছেন গত বছর আলুর উৎপাদন ভাল হলেও দাম পাওয়া যায়নি। কোল্ড স্টোরে এখনো গত বছরের আলু পরে আছে। অনেক চাষিদের আলু আবাদের খরচই ওঠেনি।
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার আল আমিন জানান, আলু চাষের জন্য বীজ আলু জমিতে নেওয়া হয়েছে। কিছু জমিতে আলু আবাদ শেষ হয়েছে।

তিনি জানান, গত বছর ফলন ভাল পাওয়া গেলেও আলুর খরচই পাওয়া যায়নি। বগুড়া শহরের কালিবালা এলাকার আলী চাষি মো. মামুন জানান, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় গত বছর আলু চাষ করে ভাল ফলন পাওয়া যায়। কিন্তু এবার আলু চাষে কি হবে বলা যাচ্ছে না। তবে কৃষি কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময়ে সার ও ভাল বীজ ব্যবহারের পরামর্শ প্রদান করছে।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণের কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয়ভাবে আলুু যে টার্গেট ধরা হচ্ছে তারও বেশি ফলন হবে বগুড়ায়। গত বছরের চেয়ে চলতি বছর আলু আবাদের জমি বেড়েছে। জমি যেমেন বেড়েছে তেমনি উৎপাদনও বাড়বে। ইতিমধ্যে জেলার গাবতলী উপজেলা, শিবগঞ্জ ও সদরে আগামজাতের আলু আবাদ হয়েছে। আগামজাতের আবাদকৃত আলু দিয়ে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের উপ পরিচালক চন্ডী দাস কুন্ডু জানান, আলু চাষিদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমান সার ও বীজ রয়েছে। উন্নতমানের বীজের পাশাপাশি সারের কোন সমস্যা হবে না।

এ কারনে আলুর উৎপাদন টার্গেট ছাড়িয়ে যাবে। কৃষি কর্মকর্তারা আলু চাষিদের সাথে যোগাযোগ করে ভাল বীজ ও সার ব্যবহারের পরামর্শ প্রদান করছে। চলতি মৌসুমে জেলায় আলু উৎপাদনের টার্গেট ধরা হয়েছে প্রায় ১২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন। আলু চাষের সময় থাকলেও জেলা সদরে, শিবগঞ্জে ও গাবতলী উপজেলায় চাষিরা আগাম আলু চাষ শুরু করেছে।

(এএসবি/এটিআর/নভেম্বর ১২, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test