E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শৈলকুপায় যানজটে জনদূর্ভোগ

২০২৪ ফেব্রুয়ারি ০৪ ১৩:৩১:৪৩
শৈলকুপায় যানজটে জনদূর্ভোগ

শেখ ইমন, শৈলকুপা : এ যেন ঢাকা শহরের জ্যামকেও হার মানাবে! প্রথম দেখায় এমনটিই মনে হতে পারে। মোড়ে মোড়ে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী তোলা, যত্রতত্র বাস-ট্রাক, ইজিবাইক, ভ্যান রাস্তার উপরে রাখায় সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। ফলে অন্যান্য যানবাহন তো দূরের কথা,অনেক সময় পায়ে হেটে যাওয়ায় যেন দায় হয়ে পড়ে। তা যদি হয় আবার সাপ্তাহিক হাটের দিন, তবে তো কথায় নেই। ১ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে সময় লাগতে পারে কমপক্ষে আধাঘন্টাও!

এটি একটি উপজেলা শহরের যানজটের গল্প। যার অবস্থান ঝিনাইদহের শৈলকুপায়। যানজট নিরসনে ৩বছর আগে ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ করা হয়। তবে তারা দায়িত্ব হিসেবে পালন করে থাকেন মোটরসাইকেল আটকানো সাথে জরিমানা করা। যেন তাদের দায়িত্ব শুধুই মোটরসাইকেলেই সীমাবদ্ধ। অথচ উপজেলা জুড়ে ট্রাক,মালবাহী গাড়ি, অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, সিএনজি, নসিমন, করিমনের ছড়াছড়ি।

ফলে বিভিন্ন মোড়ে সবসময় যানজট লেগেই থাকে। বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাপ্তাহিক হাটের দিন শনি ও মঙ্গলবার। উপজেলা শহরে ঢোকার একমাত্র পথ কবিরপুর মোড়। আর এই মোড়ের পাশেই রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,বিভিন্ন ক্লিনিকসহ নানা রকমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

এছাড়াও চৌরাস্তা মোড়, হাজী মার্কেট মোড় ও ব্রীজ রোডে দীর্ঘ যানজট দেখা যায়। তবে খুব একটা দেখা মেলেনা ট্রাফিক পুলিশের। যার ফলে যানজট নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। ট্রাফিক সার্জেট হিসেবে রয়েছেন বিল্লাল হোসেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, শৈলকুপায় যোগদান করার পর থেকে তাকে যানজট নিরসনে কোন কাজ করতে দেখা যায় না। ফলে শহরের শহরের প্রতিটি পয়েন্টে ব্যস্ত সময়গুলোতে যানজটের কারনে চরম দূর্ভোগে পড়তে হয় জনসাধারণের। অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনায় ভেঙে পড়েছে শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা।

পৌর এলাকার বাসিন্দা আকমল হোসেন বলেন, ‘শৈলকুপার বিভিন্ন পয়েন্টে সব সময় যানজট লেগেই থাকে। যানজটের সময় ট্রাফিক পুলিশের দেখা মেলে না। ট্রাফিক পুলিশ যদি সচেতন হয় তাহলে এই যানজট নিরসন সম্ভব’।

এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার রবিউল ইসলাম বলেন,হাসপাতাল থেকে মূমূর্ষ রোগী নিয়ে আমাদের বাইরে যেতে হয় কিন্তু কবিরপুর মোড়ে এমন যানজটের সৃষ্টি হয় তাতে আমাদের রোগী নিয়ে যেতে দূর্ভোগ বেড়ে যায়। সঠিকভাবে ট্রাফিক পুলিশ যানজট নিরসনে পদক্ষেপ নিলে অনেকাংশে দূর্ভোগ কমে যাবে।

শৈলকুপায় দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রাফিক সার্জেন্ট বিলাল হোসেন বলেন, ‘এখানে আমরা দু’জন দায়িত্বে আছি যার জন্য অনেক সময় যানজট দেখা দিতে পারে’।

শৈলকুপা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘ট্রাফিক পুলিশের জনবল সংকট রয়েছে যার কারণে যানজট নিরসন পুরোপুরি সম্ভব না’।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মেহেদী ইসলাম বলেন, ‘যানজট জনদূর্ভোগ বাড়িয়ে দেয় তাই যানজট কমিয়ে আনার ব্যাপারে ট্রাফিক পুলিশের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করব। তবে যানজটের ব্যাপারে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি সবাইকে সচেতন হতে হবে’।

উপজেলা চেয়ারম্যান এম আব্দুল হাকিম আহম্মেদ বলেন, ‘শৈলকুপার কবিরপুর মোড় ও চৌরাস্তা মোড়ে বেশী যানজট দেখা যায়। যানজটের বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার পাশাপাশি আমাদেরও অনেক দায়িত্ব রয়েছে। তবে চৌরাস্তা মোড়ে সার্বক্ষণিক একজন ট্রাফিক পুলিশ দরকার’।

(এসই/এএস/ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test