E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গোপালগঞ্জে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ, ৪ মাদ্রাসা শিক্ষক আটক

২০২৪ ফেব্রুয়ারি ০৮ ১৭:৫৪:৪৮
গোপালগঞ্জে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ, ৪ মাদ্রাসা শিক্ষক আটক

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বাঁশবাড়িয়া পরিজান বেগম মহিলা কওমি মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ওই মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শিশুটি মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষার্থী ছিল।

ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৪ মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া পরিজান বেগম মহিলা কওমী মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুল আলম ও মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. দ্বীপ সাহা ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)জানান, মুকসুদপুরের বাঁশবাড়িয়া পরিজান বেগম মহিলা কওমি মাদ্রাসা থেকে অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে যায় ওই শিক্ষার্থী। এসময় তার শারীরিক অসুস্থতা ও পোশাকে রক্ত দেখে পরিবারের লোকজন মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। এসময় ওই মাদ্রাসার শিক্ষক তাকে নির্যাতন করেছে বলে জানায়। হাসপাতালে ওই শিক্ষার্থীর শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ভুক্তভোগীর বাবা জানান, আমার মেয়ে বাঁশবাড়িয়া পরিজান বেগম মহিলা কওমী মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে। মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে আসার পর তাকে শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ দেখাচ্ছিলো। এ সময় তার জামা কাপড়ে রক্তের দাগ দেখে হাসপাতালে নিয়ে যাই। মেয়ে বলেছে মাদ্রাসা থেকে তার হুজুর তার সাথে খারাপ কাজ করেছে। পরে সে অচেতন হয়ে পড়ে। কোন কথা বলতে পারেনি। হাসপাতালে ভর্তি করার পর ডাক্তার ও নার্স শারীরিক অবস্থা দেখে আমাদের জানায় আমার মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, হুজুরের কাছে দিয়েছিলাম দ্বীনের শিক্ষা নিতে, সেই হুজুর আমার মেয়েকে ধর্ষণ করলো? তাহলে সন্তানের নিরাপত্তা কোথায়? কোথায় দেবো শিক্ষাগ্রহণ করতে? শিক্ষক বাবার সমান সেই শিক্ষক কিভাবে এই কাজ করতে পারলো? আমি আমার মেয়ের ধর্ষণের বিচার চাই।

মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক কর্মকর্তা ডা. দ্বীপ সাহা জানান, শিশুটির অবস্থা দেখে প্রাথমিক ধর্ষণ মনে হয়েছে। পরে নার্স ডেকে তাকে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করা হলে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। শিশুটির শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test