E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কমেছে সবজির দাম: পাইকারি ও খুচরায় ব্যবধান দ্বিগুণ

২০২৪ ফেব্রুয়ারি ১১ ১৮:৪৫:০১
কমেছে সবজির দাম: পাইকারি ও খুচরায় ব্যবধান দ্বিগুণ

ঈশ্বরদী প্রতিনিধি : পাবনার ঈশ্বরদীর হাট-বাজারে সবজির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কমে প্রায় অর্ধেকের নীচে নেমেছে। তবে পাইকারী ও খুচরা বাজারে দ্বিগুণ ব্যবধানে বেচাকেনা চলছে। এতে খুচরা বিক্রেতারা বিপুল পরিমাণে লাভবান হলেও ঠকছে সাধারণ ভোক্তা। এরপরও দাম কমে যাওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে ভোক্তাদের।

বিগত এক মাস ধরে শীতের সবজি বিপুল পরিমাণে আমদানি হলেও প্রভাব পড়েনি বাজারে। মৌসুমের শুরুর মতোই বাড়তি দামে সবজিসহ কিনছিলেন ক্রেতারা। তবে এ সপ্তাহে কমতে শুরু করেছে শীতের সবজির দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় সব ধরনের সবজির দামই কমেছে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। এতে স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মাঝে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারী) ঈশ্বরদীর পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজারে দেখা গেছে নতুন আলু কাঠিনাল ও সাদা হল্যান্ড ৩০ টাকা কেজি এবং গুটি লাল আলু ৩৫ টাকা কেজিতে খুচরায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারিতে বিক্রি হচ্ছে ২৪ ও ৩০ টাকা। বেগুন খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি, পাইকারিতে ১৫ টাকা। গত সপ্তাহেও ৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। পাকা টমেটো আকার ভেদে ৩০ ও ৪০ টাকা। ফুলকপি ও পাতাকপি খুচরা বাজারে ১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও পাইকারিতে ৬-৭ টাকা। সিমের কেজি খুচরায় ২০ টাকা পাইকারিতে ১৫ টাকা।

তবে গত কয়েকদিন ধরে পেঁয়াজের বাড়তি দামে ১৩০-১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০-৭০ টাকা।

ক্রেতারা বলছেন, শীতকালে বাজারে সবজির সরবরাহ বেশি থাকায় দাম কমে। কিন্তু এবারে শীত আসার পরও দাম কমছিল না। এ সপ্তাহে এসে শীতের সবজিগুলো একটু কম দামে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার করতে আসা ক্রেতা রায়হান জানান, এক সপ্তাহ আগেও বাজারে ৫০-৬০ টাকার নিচে কোনও সবজি পাওয়া যায়নি। এখন দাম কমায় বাজার করে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে। তবে এখনও কয়েকটি সবজির দাম কমেনি বলেও জানান তিনি।

সবজির দাম আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। বাজারে সবজি বিক্রেতা রুবেল বলেন, একই ধরণের শীতের সবজির চাহিদা কমার সাথে সাথে সরবরাহ বাড়ায় আমরা কম দামে বিক্রি করতে পারছি। তবে পাইকারি ও খুচরা বাজারে দামের ব্যবধান কেন দ্বিগুণ এ প্রশ্নের কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।

পাইকারি বিক্রেতা জয়দেব সাহা বলেন, আমরা কৃষকের নিকট হতে যে দামে কিনি তারচেয়ে সামান্য কিছু লাভে খুচরা বিক্রেতার কাছে বিক্রি করি। খুচরা বাজারে দ্বিগুণ দাম প্রসংগে তিনি জানান, সাধারণ ক্রেতারা দাম কমার বিষয়টি না জানার কারণে খুচরা বিক্রেতারা সুযোগ নিচ্ছে।

(এসকেকে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test