E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মাধবপুরে ভারতীয়কে ফেরত নিলেও ফেরত দেয়নি বাংলাদেশীকে

২০১৪ নভেম্বর ১৩ ১৭:৩৮:২২
মাধবপুরে ভারতীয়কে ফেরত নিলেও ফেরত দেয়নি বাংলাদেশীকে

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার আলীনগর সীমান্তে ৩টি গরুসহ জনতার হাতে আটক ভারতীয় নাগরিককে ফেরত দেয়া হলেও সীমান্ত থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশী কিশোরকে ফেরত দেয়নি বিএসএফ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভারতের মোহনপুর সীমান্তের ১৯৯৪নং পিলারের কাছে আড়াই ঘন্টাব্যাপী ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৫৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ন কমান্ডার মেজর তারেক মোহাম্মদ ও ভারতের পক্ষে ছিলেন ১৯৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়ান কমান্ডার সিতার পাল। বৈঠক শেষে মেজর তারেক জানান, ভারতে আটককৃত সোহেলকে তাদের আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দ্রুত ফেরত দেবে বিএসএফ।

বিজিবি ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামের কামরুল হাসানের ছেলে সোহেল মিয়া (১৭) সীমান্তের ১৯৯৩ মেইন পিলারের কাছে তাদের জমিতে কাজ করতে যায়। এ সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সোহেলকে ধরে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে বিজিবি ধর্মঘর বিওপির সুবেদার ওয়ারেশ বিশ্বাস ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএফ-কে পতাকা বৈঠকের আহবান জানান। কিন্তু বিএসএফ তাতে সাড়া দেয়নি। পরে ৫৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ন কমান্ডার মেজর তারেক মোহাম্মদ আবারো বিএসএফ-এর সাথে যোগাযোগ করেন। এদিকে দুপুরে ওই এলাকায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ভারতের ত্রিপুরা জেলার মোহনপুর এলাকার গঙ্গাপতিপুর গ্রামের উপেন্দ্র শর্মার ছেলে রাজ শর্মা।

এ সময় স্থানীয় জনতা রাজ শর্মাকে ৩টি গরুসহ আটক করে। পরে বিজিবি আবারও পতাকা বৈঠকের আহবান করলে সন্ধ্যায় বিএসএফ তাতে সাড়া দিয়ে পতাকা বৈঠকে বসে। কিন্তুকোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই তা শেষ হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিএসএফ মোহনপুর ক্যাম্পের কমান্ডার মুরালি ধরন এবং বিজিবি ধর্মঘর বিওপির কমান্ডার সুবেদার ওয়ারেশ বিশ্বাসের নেতৃত্বে আবারও পতাকা বৈঠক বসে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আটককৃত ভারতীয় নাগরিক রাজ শর্মাকে ৩টি গরুসহ বিএসএফ’র হাতে তুলে দেয় বিজিবি এবং বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে বৈঠকের কথা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ২৭ অক্টোবর রাতে চুনারুঘাট উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামের আজগর আলীর ছেলে করম আলী, একই গ্রামের সমির হোসেনের ছেলে সুজন মিয়া এবং সনু মিয়ার ছেলে আক্কল মিয়াকে পিটিয়ে হত্যা করে ভারতীয় গ্রামবাসী। এছাড়া ৪ এপ্রিল একই ভাবে ৩ বাংলাদেশীকে পিটিয়ে হত্যা করেছিল ভারতীয়রা।

(পিডিএস/এএস/নভেম্বর ১৩, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test