শেষ অবলম্বন টুকু রইল না দু’টি পরিবারের!

নড়াইলপ্রতিনিধি : লাইটার জাহাজ (পণ্যবাহী জাহাজ) এমভি কর্ণফুলী-৫ এর মাস্টার নিহত এনামুল হোসেন মুক্তি ও জাহাজের সুকানি শাফিনুর রহমানের গ্রামের বাড়ি নড়াইলে চলছে শোকের মাতম। দু’টি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে পরিবারের সবাই দিশেহারা। কেউ কাউকে স্বাত্ত্বনা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না। জাহাজের মাস্টার এনামুলের লাশ উদ্ধার হলেও সুকানি শাফিনুরের লাশ উদ্ধার হয়নি।

গত ৭ নভেম্বর (শুক্রবার) সকালে চট্টগ্রামের কাফকো থেকে সার নিয়ে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় জাহাজটি। পথিমধ্যে লক্ষèীপুরের মেঘনা নদীতে জাহাজটির মাস্টার, চালক, সুকানিসহ কয়েকজন নিখোঁজ হন। ঘটনার পাঁচদিন পরে গত ১২ নভেম্বর বুধবার ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেঘনা নদীর পাড় থেকে এনামুলের লাশ উদ্ধার করা হলেও শাফিনুরের লাশের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এখন শাফিনুরের লাশের অপেক্ষায় প্রতিটি প্রহর গুণছেন তার পরিবার। বারবার মধুমতি নদীর ভাঙ্গনে পরিবার দু’টি যত না নিঃস্ব হয়েছিলেন, তারচেয়ে বেশি নিঃস্ব হয়েছেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি এনামুল ও শাফিনুরকে হারিয়ে। কোনো কিছুতেই যেন স্বাত্ত্বনা খুঁজে পাচ্ছেন না। কান্নায় ভেঙ্গে পড়ছেন পরিবারের সদস্যরা।

বাবা বেঁচে নেই। এখন শুধু আগের স্মৃতিগুলি মনে পড়ে ফুঁপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছেন মা ও সন্তানেরা। ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তিসহ অসহায় পরিবারের প্রতি সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন নিহত শাফিনুরের পিতা। নদীভাঙ্গনে নিঃস্ব পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফোটাতে চাকুরীতি গিয়েছিলেন এনামুল ও শাফিনুর। অসহায় এই দুটি পরিবারের সদস্যসদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

এনামুল ও শাফিনুর হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচারসহ ক্ষতিগ্রস্থ দু’টি পরিবারের পাশে জাহাজ মালিক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সহযোগিতার হাত বাড়াবেন-এমন প্রত্যাশা সবার।

(টিএআর/পি/নভেম্বর ১৪, ২০১৪)