E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

৬ বাড়িতে পুলিশী তান্ডব,ভাংচুরসহ সোয়া ২ লাখ টাকা খোয়া যাওয়ার অভিযোগ

২০১৪ নভেম্বর ১৫ ২৩:৪৬:৫৫
৬ বাড়িতে পুলিশী তান্ডব,ভাংচুরসহ সোয়া ২ লাখ টাকা খোয়া যাওয়ার অভিযোগ

নওগাঁ প্রতিনিধি :নওগাঁর পত্নীতলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে সাজানো একটি মামলার আসামী ধরতে গিয়ে  থানা পুলিশ বাড়িঘরে 'লঙ্কাকান্ড' ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পুলিশ লাঠিয়াল বাহিনীর মত রান্না করা ভাত-তরকারী ফেলে দেয়া, হাড়ি-পাতিলসহ বাড়ির নিত্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র নির্বিচারে ভাংচুর করা এবং মহিলা ও শিশুদের বেধরক পিটিয়েছে বলে ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেন।

পত্নীতলার ফইমপুর গ্রামে শুক্রবার জুমার নামাজের সময় এ ঘটনাটি ঘটেছে।

পুলিশের দল একে একে ৬টি বাড়িতে এধরনের তান্ডব চালায় বলে জানা যায়। একটি বাড়ির ২টি কক্ষে ভাংচুর করলেও আরেকটি কক্ষ রক্ষা পায় পবিত্র কোরআন শরীফ থাকার জন্য। পুলিশের তা-বকালীন লক্ষাধিক টাকার আসবাবপত্র বিনষ্ট এবং নগদ ১ লাখ ২২ হাজার টাকা খোয়া গেছে বলে বাড়ির সদস্যরা জানান।

শনিবার ওই এলাকা সরেজমিনকালে জানা গেছে, ফইমপুর গ্রামের আকবর আলীর পুত্র মিজু, বুলবুল ও লিটনসহ অন্যান্য অংশিদারদের সঙ্গে জমি নিয়ে একই গ্রামের মৃত মজিবর রহমান সরদারের পুত্র নজিম উদ্দিনের বিরোধ চলে আসছিল কয়েক যুগ ধরে।

জের ধরে নজিম উদ্দিন গত ১২ নবেম্বর মিজু, বুলবুল, লিটন, আকবর আলী, খয়বর আলী, আব্দুল, শিবলু, উজ্জল, মোজাম্মেল, ইসমাইল, আঃ সালাম, আবুল কালাম, আফজাল, সুন্দরী বেগম, মোসাঃ মুনি ও বিউটি বেগমের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় বলা হয়, আসামীরা জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে না পাওয়ায় ১১ নবেম্বর মধ্যরাতে বাদীর বৈঠক ঘরে অগ্নিসংযোগ করে ।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, এ মামলারই আসামীদের ধরতে এসআই মোস্তাফিজুর রহমান এবং এসআই তাজুল ইসলাম একদল পুলিশসহ এদিন জুমার নামাজের সময় রণপ্রস্তুতি নিয়ে হাজির হয়ে জামাল উদ্দিন, মিজু, বুলবুল, আঃ সালাম, আব্দুল ও আফজালের বাড়িতে কান্ড ঘটায়। প্রতিবাদ করলে ,পুলিশ এসময় লিটনের স্ত্রী জান্নাতুন, ছেলে ফারদিন (৩), শ্যালক রফিকুল (১৩), আফজালের স্ত্রী বৃদ্ধা খোতেজা, সৈয়দ আলীর ছেলে আতোয়ার, সাজেদুর, নূরমোহাম্মদের ছেলে হামিদুল আতোয়ারের ছেলে রুবেলসহ আরো কয়েকজনকে মারপিট করে।

মারপিটে আহতদের মধ্যে বুলবুল এবং রতনকে প্রথমে পত্নীতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির পর অবস্থার অবনতি হলে নওগাঁ জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রফিক জানান, সেখানে আসামী ধরতে গিয়ে স্থানীয়দের মারমুখি অবস্থার প্রেক্ষিতে পুলিশ শুধু আত্মরক্ষার চেষ্টা করে।

(বিএম/এসসি/নভেম্বর ১৫,২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test