E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সওজের ৩০ ফুট খালে অনুমোদনহীন ১০ ফুটের কালভার্ট

বিএডিসির সেচ প্রকল্পসহ বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষি জমিতে দেখা দিবে জলাবদ্ধতা 

২০২৪ এপ্রিল ০২ ১৮:৪৯:৩০
বিএডিসির সেচ প্রকল্পসহ বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষি জমিতে দেখা দিবে জলাবদ্ধতা 

চাঁদপুর প্রতিনিধি : চাঁদপুর কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের উত্তর পাশ ঘেঁষে চলে যাওয়া খালের মাঝখানে ছোট বক্স কালভাট করে কালভার্ডের দুই পাশ ভরাট করে বাড়ির রাস্তা নির্মান কাজে এগিয়েছেন ৫০ ভাগ। আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে দিনে দুপুরে অনুমোদনহীনভাবে একাধিক  ইরি বোর সেচ প্রকল্প পানি নিস্কাশনের খাল দখল করে ভরাটের দায় কিভাবে এড়িয়ে যাবেন সওজ, বিএডিসি কিংবা প্রশাসন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা। ঘটনাটি হাজীগঞ্জের কৈয়ারপুলের রেলক্রসিংয়ের পশ্চিমে সাতবাড়িয়া ব্রীজ সংলগ্ন সওজের ব্রীজের বটগাছ সংলগ্ন  খালের উত্তর অংশে। যৌথভাবে বক্স কালভার্ড করছেন ৫ নং সদর ইউনিয়নের সিদলা পাঠান বাড়ির আ: মালেক ও বাকিলা ইউনিয়নের রাধাসার গ্রামের মনির হোসেন। এর মধ্যে মনির হোসেনের বিল্ডিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। 

খোঁজ নিয়ে ও সরজমিনে দেখা ও জানা যায, চাঁদপুর কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের উত্তর পাশ ঘেঁষে চলে যাওয়া খালটির একক মালিকানা সড়ক ও জনপথ বিভাগ চাঁদপুর। সওজের সড়কে কিছু পর পর ব্রিজ কালভার্ড রয়েছে। মূলত ব্রিজ কালভার্ডগুলোর নিচ দিয়ে সড়কের উত্তর অঞ্চলের পানি দক্ষিন অঞ্চল হয়ে ডাকাতিয়াতে নামে। সওজের খাল আর ব্রিজ কালভার্ড হয়ে পানি না নামতে পারলে সড়কের উত্তর অংশের বিস্তর্নী অঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিবে আর মাঠের পর মাঠে ইরি বোরসহ সকল ফসল নষ্ট হযে যাবে। কুচির বিল, সিদলা বিল আর ফুলছোঁয়া বিলের পানি নিস্কাশনের খালের মাঝখানে ১০ ফুটের কালভার্ড করে নতুন বাড়ির রাস্তা করছেন আব্দুল মালেক আর মনির হোসেন নামের দুই ব্যক্তি। এই দুই জন নিজ উদ্যোগেই খালের মাঝখান চোট কালভার্ড নির্মানের উদ্যোগ নেন। এর আগে কালভার্ড স্থানটি বালি দিয়ে পুরো খালটি ভরাটের উদ্যোগ নিলে স্থানীয় কৃষকরা তা রুখে দেন। তাৎক্ষনিক সেই সময়ের হাজীগঞ্জের ইউএনও রাশেদুল ইসলাম উদ্যোগ নিলে সেই সময়ে খাল ভরাট ভেস্তে যায়। সম্প্রতি সময় একই স্থানে ভরাট না করে খালে অনুমোদনহীন বক্স করার কাজ শুরু করেন ব্যক্তিদ্বয়।

বক্স কালভার্ড নির্মান কাজের পাশে কথা হয় নিমর্মানকারীদের একজন পাশের আব্দুল মালেকের সাথে। তিনি জানান, যখন বালি দিয়ে খাল ভরাট করতে গেছি তখন এলাকাবাসী বাঁধা দিলে আমরা কাজ বন্ধ রাখি। সে সময় অফিসারে বলেছে কালভার্ড করে নিতাম। খাল তো সওজের তারা কি আপনাকে এটা করার অনুমতি দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি চুপ করে থাকেন।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ সওজের উপ-সহকারী প্রকৌশলী কার্যালয়ের এসএই মো: মোশারফ হোসেন জানান, আমি অফিসের কাজে চাঁদপুর আসছি,আজকে যেতে পারবো না।

চাঁদপুর সওজের এসএই মারুফ হোসেন জানান, আমি এখন লোক পাঠিয়ে খবর নিচ্ছি।

হাজীগঞ্জ বিএডিসি"র প্রকৌশলী মামুনুর রশিদ জানান, মাঠে যাদের জমি রয়েছে তাদেরকে বলেন আমাকে বা ইউএনও স্যারকে একটালিখিত অভিযোগ জানাতে, তারপরে ও আমি বের হলে সরজমিনে দেখে আসবো তাছাড়া খালটি সওজের মালিকানা হওয়ার কারনে তারাই তো ব্যাবস্থা নিতে পারে।

হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীলকে বিষয়টি দ্বিতীয় বার জানানোর পরে তিনি মুঠোফোনে জানান, আমি দেখছি।

(ইউএইচ/এসপি/এপ্রিল ০২, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test