E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সহকর্মীর ভাইপোকে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা

ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইষ্টম দাসের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা

২০২৪ এপ্রিল ০৩ ১৮:৫৩:২১
ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইষ্টম দাসের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : ভাইপো মোশাররফ মোড়লের স্ত্রী তহমিনার চাকুরি না হওয়ায় প্রতারণার মাধ্যমে তালা উপজেলার আড়ংপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নরিমউদ্দিনের কাছ থেকে নেওয়া ছয় লাখ টাকা নিয়ে প্রতারণা করায় সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইষ্টম দাসের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তালা উপজেলার আড়ংপাড়া গ্রামের সোলাইমান মোড়লের ছেলে আড়ংপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নরিমউদ্দিন বাদি হয়ে সম্প্রতি এ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে সাতক্ষীরার যুগ্ম জেলা জজ -১ম আদালতে বিচারাধীন আছে। আসামি ইষ্টম দাস তালা উপজেলার ফতেপুর গ্রামের নগেন্দ্রনাথ দাসের ছেলে।

তালা উপজেলার আড়ংপাড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোঃ নরীমউদ্দিন জানান, ২০২২ সালের প্রথম দিকে ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইষ্টম দাস তার ভাইপো মোশাররফ মোড়লের স্ত্রী তহমিনাকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করিয়ে চাকুরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে সাত লাখ টাকা নেন। নিদ্দিষ্ট সময়ে চাকুরি না হওয়ায় টাকা ফেরৎ চাইলে ওই বছরের ১০ অক্টোবর ইষ্টম দাস তাকে সোনালী ব্যাংক তালা শাখার একিিট চেক দেন। চেক এর পাতায় ছয় লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়। বাকী এক লাখ টাকা নগদে দেবেন বলে জানায় ইষ্টম দাস। ২৩ অক্টোবর সোনালী ব্যাংক ও ওই চেক ডিজঅনার করে। ১২ নভেম্বর আইনজীবীর মাধ্যমে ইষ্টম দাসকে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। ১৯ নভেম্বর তিনি নোটিশ পেয়েও টাকা দেওয়ার ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নেননি। একপর্যায়ে ২৭ ডিসেম্বর তিনি সাতক্ষীরার আমলী আদালত -৩ এ ইষ্টম দাসের বিরুদ্ধে এনআই এ্যক্টে (সিআর-৪৩৯/২৩ তালা) দায়ের করেন। বিচারক মহিউদ্দিন আসামীর বিরুদ্ধে সমন জারির নির্দেশ দেন। চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি ইষ্টম দাস আদালত থেকে জামিন নেন। তার জামিনদার হন নুরুল্লাহপুর গ্রামের ভবেন দাস। গত ২১ মার্চ মামলাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে যুগ্ম জেলা জজ আদালতে বদলী করা হয়েছে।

বাদিপক্ষের আইনজীবী জজ কোর্টের চঞ্চল কুমার ভট্টাচার্য ইষ্টম দাসের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, তালা উপজেলার মদনপুর গ্রামের হারেজ আলী সরদারের ছেলে আব্দুল বারীকে জেল পুলিশে চাকুরি দেওয়ার নামে ইষ্টম দাস ও তার স্ত্রী অঞ্জলী দাস ১৫ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। এ ছাড়া বাড়ি তৈরির জন্য ঋণ নিয়ে ছয় লাখ ১৭ হাজার ১৩৬ টাকা পরিশোধ না করায় তালা উপজেলার শিক্ষক/কর্মচারি কোঅপরেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিঃ এর কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামের গত বছরের ৫ নভেম্বর দায়েরকৃত সিআর- ৩৮১/২৩ নং মামলায় ইষ্টম দাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যারয়ের সহকারি শিক্ষক সুভাষ দাসের মেয়ে রমা দাসকে চাকুরি দেওয়ার নামে ৫০ হাজার টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।

(আরকে/এসপি/এপ্রিল ০৩, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test