E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নড়াইলে পল্লীবিদ্যুৎ অফিস থেকে ফাইল গায়েব,৮ বছরেও সংযোগ মেলেনি

২০১৪ নভেম্বর ১৬ ২২:৫৬:১৩
নড়াইলে পল্লীবিদ্যুৎ অফিস থেকে ফাইল গায়েব,৮ বছরেও সংযোগ মেলেনি

কালিয়া(নড়াইল)প্রতিনিধি : নড়াইলের কালিয়ার পল্লীবিদ্যুতের সম্প্রসারিত লাইনের একটি ফাইল নড়াইল পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে গায়েব হয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যে কারনে ওই গ্রামের মানুষের বিদ্যুৎ সংযোগ মেলেনি গত ৮ বছরেও।

উপজেলার পিরোলী গ্রামের গোলাম মোর্শেদ সহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন,যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর ২০০৬ সালের ২৬ নম্বর মাষ্টার প্লান ও কে,এ-৩৮ লট নম্বরের মাধ্যমে ওই গ্রামে বিদ্যুৎ লাইন সম্প্রসারনের নির্মান কাজ শুরুর সিদ্ধান্ত নেয় যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২।

সে অনুযায়ী পল্লী বিদ্যুতের নড়াইল এরিয়া অফিস পিরোলী গ্রামের ৩২ জন আবাসিক গ্রাহকের নিকট থেকে ৬১৬২২৯৪ থেকে ৬১৬২৩২৬ নম্বর রশিদের মাধ্যমে এবং মটরের জন্য ২৫০১৭ নম্বর রশিদের মাধ্যমে ১৩ হাজার ৯১৬ টাকা জমা নেয় ২০০৬ সালের অক্টোবর মাসে। এবং ২/১ দিনের মধ্যে ফাইলটি মনিরামপুর প্রধান অফিসে পাঠিয়ে কাজ শুরু করা হবে বলে গ্রাহকদের জানানো হয়। কিন্ত গত ৮ বছরেও বিদ্যুৎ মেলেনি ওই গ্রামের মানুষের ভাগ্যে।

গোলাম মোর্শেদ আরও অভিযোগ করে বলেন,ইতি মধ্যে তিনি মনিরামপুর ও নড়াইল বিদ্যুৎ অফিসে কয়েক বার গিয়ে ও ফাইলটির সন্ধান জানতে বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার আশায় খোজ খবর নিয়ে ও লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি। মেলেনি ওই ফাইলটির সন্ধান।

এছাড়া ২০১২ সালের প্রথম দিকে কলাবাড়িয়া গ্রামের মফিজুর রহমান সহ ১৫/২০ জনের তিনটি আবেদনের প্রেক্ষিতে যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রকৌশলী শহিদুর রহমান ওই আবেদনকারিদের সম্প্রসারিত বিদ্যুৎ লাইনের আওতায় এনে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার জন্য সরেজমিনে পরিমাপ ও নক্সা তৈরী করে গেলেও তা আলোর মুখ দেখেনি বলে তাদের অভিযোগ।

নড়াইল পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম সরদার এমাজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন,বিষয়টি অনেক পুরনো তাই তিনি সঠিক কিছু বলতে পারেন না। তবে খোজ নিয়ে দেখবেন। যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জিএম মোঃ সালাউদ্দিন বিতারের মোবাইলে বার বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

(এমএইচএম /এসসি/নভেম্বর১৬,২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test