E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

সাতক্ষীরা জজ কোর্টের আইনজীবী মাহাবুবর রহমান জেল হাজতে

২০২৪ এপ্রিল ১৮ ১৯:১০:২৫
সাতক্ষীরা জজ কোর্টের আইনজীবী মাহাবুবর রহমান জেল হাজতে

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : গণতান্ত্রিক সরকারের গণমুখী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, তৎকালিন চলমান অবরোধের ষড়যন্ত্র, ও ষড়যন্ত্রে সহায়তা করার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার পেনালকোর্ড সেকশানের অভিযোগপত্রে সাতক্ষীরা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. মাহাবুবর রহমানের জামিন আবেদন না’মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম জিয়ারুল ইসলাম এ আদেশ দেন।জামিন না’মঞ্জুর হওয়া অ্যাড. মাহাবুবর রহমান সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লক্ষীদাড়ি গ্রামের দৌলত গাজী ওরফে সিরাজউদ্দিনের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ মার্চ রাত পৌনে ৯টার দিকে সাতক্ষীরা- ভোমরা সড়কের বাদামতলা নামক স্থানে জামায়াত শিবিরের নেতা কর্মীরা গণতান্ত্রিক সরকারের গণমুখী কাজের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, তৎকালিন চলমান অবরোধের ষড়যন্ত্র, ও ষড়যন্ত্রে সহায়তা করার সময় পুলিশ সেখানে অভিযোন চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা ইটপাটকেল ছোঁড়ে। পরে সকলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সদর থানার উপপরিদর্শক তানভির হোসেন বাদি হয়ে জামায়াতের সদর থানা (পূর্ব) আমীর মাওলানা শফিকুল ইসলামসহ আট জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে পেনালকোডের ৩৫৩,৩০৭.৩৪ ধারাসহ ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(ডি) ধারায় রাতেই একটি মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ২ এপ্রিল পুলিশ মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সদর থানার তৎকালিন উপপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ ওই বছরের ৩ এপ্রিল পেনাল কোর্ড ও ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫(ডি) ধারায় আদালতে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র (১৮৮, ১৮৮ক) দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে এজাহারভুক্ত আসামী নুরুজ্জামান, নূর আলম ও রবিউল ইসলামের সঠিক ঠিকানা না জানতে পারায় তাদেরকে হাজতে রেখে বিচারকার্য সম্পন্ন করার কথা উল্লেখ করা হয়। তবে অভিযোগপত্রে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারা যুক্ত না থাকায় তদন্তকারি কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ প্রকাশ্য আদালতে ক্ষমা প্রার্থনা করে সম্পুরক অভিযোগপত্র দাখিলের আবেদন করেন। আদালত তা মঞ্জুর করায় পরবর্তী তদন্তভার উপপরিদর্শক আব্দুল মোমিনের উপর বর্তায়। আব্দুল মোমিন ২০১৮ সালের ২৫ জুন অ্যাড. মাহাববুর রহমানসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে পেনাল কোর্ড ও ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ও ২৫(ডি) ধারায় আদালতে পৃথক দুটি সম্পৃরক অভিযোগপত্র(৩৫৩,৩৫৩ক) দাখিল করেন। ২০২২ সালের ২০ জুন পেনাল কোর্ডের মামলাটির অভিযোগ গঠণ করা হয়। বর্তমানে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে ওই মামলার বাদি উপপরিদর্শক তানভির হোসেন, সিপাহী ফসিয়ার রহমান ও প্রথম তদন্তকারি কর্মকর্তা উপপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ সাক্ষ্য দিয়েছেন।

এদিকে অভিযোগপত্রে উল্লেখিত আসামী অ্যাড. মাহবুবর রহমান ২০১৫ সালের ২ এপ্রিল গ্রেপ্তার হয়ে এক মাস পর আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। এরপর দীর্ঘদিন তিনি আদালতে হাজির হননি। একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার তিনি তার আইনজীবীর মাধ্যমে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন জানান। বিচারক জিয়ারুল ইসলাম রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি ও আসামী পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর ২০১৫ সাল থেকে দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সাতক্ষীরা জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাড. আব্দুস সামাদ জানান, জামিন না’মঞ্জুর হওয়ায় অ্যাড. মাহাবুবর রহমানকে বৃহষ্পতিবার বিকেলে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

(আরকে/এসপি/এপ্রিল ১৮, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test