E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

যশোর পৌরসভায় তাপদাহে চাহিদার তুলনায় কমেছে পানি সরবরাহ

২০২৪ এপ্রিল ২৫ ১৭:২২:৪৬
যশোর পৌরসভায় তাপদাহে চাহিদার তুলনায় কমেছে পানি সরবরাহ

স্বাধীন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, যশোর : যশোরে চলমান তাপদাহে চাহিদার তুলনায় কমেছে পানি সরবরাহ। এতে করে চরম বিপাকে পড়েছে পৌর নাগরিকবাসি। যশোর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ তিব্র তাপদাহে এখনও পর্যন্ত পানি সরবরাহে বাড়তি কোনো সুযোগ সুবিধা চালু করেনি। যে কারণে পানির প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে ভোগান্তি বাড়ছে পৌরসভা থেকে সাপ্লাই পানি নিয়ে ব্যবহার করা নাগরিকদের। এদিকে শ্রমজীবী মানুষেরা সারাদিনের কর্মব্যস্ততা সেরে সন্ধ্যায় ঘরে ফিরে পানি পাচ্ছে না। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই সাপ্লাই পানি সরবরাহের সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। যাদের পানি ধরে রাখার বিকল্প ব্যবস্থা নেই তাদের দূর্ভোগ সীমাহীন পর্যায়ে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) যশোর পৌরসভার পানি ও পয়ঃ নিষ্কাশন শাখা সুত্রে জানা গেছে, ২৯ টি উৎপাদক নলকূপের মাধ্যমে ১৫ হাজার ৭০৭ জন গ্রাহককে পানি সরবরাহ করা হয়। উৎপাদক ২৯ টি নলকূপের মধ্যে ১টি সম্পূর্ণ অকেজো এবং ১২ টি ৫০ শতাংশ অকেজো। অর্থাৎ ১৬টি উৎপাদক নলকূপ শতভাগ কার্যকর রয়েছে। কিছুদিন আগে দৈনিক পানির চাহিদা ছিলো ২কোটি ৫১হাজার ৩শত লিটার। বর্তমান সময়ে চলমান তাপদাহে সেই চাহিদা ৫০ লক্ষ লিটার বেড়ে এখন ২কোটি ৫০লক্ষ ৫১হাজার ৩শত লিটার হয়েছে। পানির চাহিদা বাড়লেও তুলনামূলক উৎপাদন বাড়েনি। বর্তমানে ৩০লক্ষ লিটার পানি উৎপাদন বেড়ে মোট উৎপাদন ১ কোটি ৯৭ লক্ষ ৫৮ হাজার ৫শত লিটার হয়েছে। বিদ্যুত বিল বাবদ খরচ বেড়েছে ৩লক্ষ টাকা। বর্তমানে সাপ্লাই পানি সরবরাহের জন্য প্রতিমাসে পৌরসভার বিদ্যুত বিলের খরচ দেখানো হয়েছে ১৯ লক্ষ টাকা। মাসিক মেরামত খরচ দেখানো হয়েছে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার অধিক। পানি সরবরাহের রুটিন সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা রোযার আগে পরির্বতন এনে এখন সকাল ৭ টা থেকে বিরতিহীন ভাবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত করা হয়েছে।
পৌরসভার পানি সরবরাহ ও পানির মান নিয়ে অখুশি ব্যবহারকারি নাগরিকরা। ইসতিয়াক হোসেন নামে এক ব্যক্তি জানান, সারাদিন রিকসা চালিয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি গিয়ে গোসল করার মত পানি পাই না। মাসে মাসে পানির বিল দিলেও পানি ঠিকমত পাই না। এক বালতি পানি ভরতে ১০ মিনিট সময় লাগে। পানির গতি খুব কম।

এ বিষয়ে পৌরসভা পানি শাখার সুপার ভাইজার ইসাহক হোসেন বলেন,পৌরসভার সাপ্লাই পানির মান ভালো। পানি সাড়ে ৪ফুট মাটির নিচে দিয়ে যায় তাপে গরম হওয়ার সম্ভাবনা নেই। পানির চাহিদা বেড়েছে আমরা সিস্টেমে পানি যতটুকু বাড়ানো যায় বাড়িয়েছি। আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

বাংলাদেশ কমিউনিস্ট লীগ যশোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও যশোর পৌর নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান ভিটু বলেন, যশোর পৌরসভা যে পানি সরবরাহ করছে তা ব্যবহারের উপযোগী না। এই পানি ব্যবহার করে মানুষ আসুস্থ হয়ে পড়ছে। পানির গতি নেই, মান নেই। ট্যাপ ছাড়লে টিপটিপ করে পানি আসে। আমরা পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি দিয়েছি তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এই গরমে ঠিক মত পানি পাচ্ছে না পৌরবাসি। পানির এই সমস্যা সমাধান না করলে আমরা পৌর নাগরিক কমিটি আবার আন্দোলনে নামবো।

যশোর পৌরসভার পানি ও পয়ঃ নিষ্কাশন শাখার সহকারী প্রকৌশলী বি,এম, কামাল আহম্মেদ বলেন, আমরা পাম্প আওয়ার বাড়িয়েছি। আমাদের পানির খুব বেশি সমস্যা নেই। কয়েক জায়গায় টুকটাক সমস্যা আছে তা ছাড়া বড় কোনো সমস্যা নেই। প্রায় সব পাম্প চালু করেছি। পাম্প চালু রাখার কারণে আমাদের বিদ্যুৎ বিলও বেশি উঠছে।

(এসএ/এসপি/এপ্রিল ২৫, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test