E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মাদারগঞ্জে দলীয় প্রার্থীর প্রত্যাহার চান ৫ চেয়ারম্যান প্রার্থী

২০২৪ এপ্রিল ২৯ ১৮:১২:৪৫
মাদারগঞ্জে দলীয় প্রার্থীর প্রত্যাহার চান ৫ চেয়ারম্যান প্রার্থী

রাজন্য রুহানি, জামালপুর : জামালপুরের মাদারগঞ্জে দলীয় প্রভাবমুক্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চান চেয়ারম্যান পদের পাঁচজন প্রার্থী। একই সঙ্গে চেয়ারম্যান পদে কথিত দলীয় ও মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান বেলালের প্রত্যাহারের দাবিও জানান তারা। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ছয়জন প্রার্থী হয়েছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে জামালপুর শহরের একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান পদের পাঁচজন প্রার্থী এ দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনের আয়োজক চেয়ারম্যান পদের পাঁচজন প্রার্থী হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল আমীন চাঁন, মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বাদল ও রায়হান রহমতুল্লা রিমু, আইন বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন আয়না এবং শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. ফরিদুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে পাঁচজন প্রার্থীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী রায়হান রহমতুল্লা রিমু।

বক্তব্যে তিনি জানান, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য করতে উন্মুক্ত নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা না মেনে মাদারগঞ্জে দলীয় প্রার্থী হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান বেলালের নাম ঘোষণা করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মির্জা আজম। এর প্রতিবাদ করলে বাকি পাঁচ প্রার্থীদের নানাভাবে হয়রানি ও ক্ষতিসাধন করেন মির্জা আজম এবং তাঁর পরিবার ও অনুসারীরা। আমাদের ওপর এখনো হুমকি-ধমকি আছেই। মির্জা আজম এমপি দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ইফতার মাহফিলের নামে ভোট প্রার্থনা করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন সভা-সমাবেশে তিনি ওবায়দুর রহমান বেলালের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন যা ফেসবুকের নানা ভিডিও এবং লাইভে প্রমাণ রয়েছে। এছাড়াও মির্জা আজমের বিরুদ্ধে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ করেন বক্তারা।

সংবাদ সম্মেলনে মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী জয়নাল আবেদীন আয়না বলেন- 'ওবায়দুর রহমান বেলাল টানা তৃতীয়বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন। তিনি মির্জা আজম মহোদয়ের আজ্ঞাবহ ও মেরুদন্ডহীন বলেই তাকে বার বার চেয়ারম্যান করা হচ্ছে। গত পাঁচ বছরে বিভিন্ন প্রকল্পে ১২০ কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন বেলাল সাহেব। এমন দুর্নিতীবাজ লোক আবার চেয়ারম্যান হলে মাদারগঞ্জের ক্ষতি হবে। আমরা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি বলে উল্টো আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে, ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।'

মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী মেশাররফ হোসেন বাদল বলেন- 'মির্জা আজম মহোদয় একজন সংসদ সদস্য হয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করছেন। আমরা এখনও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে কোনো অভিযোগ দেইনি। আজ থেকে আমাদের কার্যক্রম শুরু।'

মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন- 'প্রতিটি ইউপি চেয়ারম্যানকে অবৈধভাবে নানা সুবিধা দিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করা হচ্ছে। বেলাল সাহেব দলীয় প্রার্থী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিচ্ছেন। আমরা এই বিষয়ে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চাই।'

বক্তারা অতি দ্রুত দলীয় প্রার্থী প্রত্যাহারের দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনে যাবার হুঁশিয়ারি দেন।

এসব বিষয়ে (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম মোবাইল ফোনে বলেন- 'দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণার জন্য সেই দিন দলের নীতি নির্ধারকেরা আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিলো। আমি সেই দায়িত্ব পালন করিনি। পরে দলের ২৭০০ নেতাকর্মীদের নিয়ে ভোট গ্রহণ হয়। সেই ভোটে বিজয়ী চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন জনের নাম ঘোষণা করা হয়। এই নামগুলো ঘোষণার পর এখনও মাঠ উন্মুক্ত আছে। চাইলে যে কেউ প্রার্থী হতে পারেন। তারা পাঁচজন ইতোমধ্যে প্রার্থীও হয়েছেন। তাহলে বাধা কিভাবে আসলো? আর আমি কারো পক্ষ নেইনি। কারো পক্ষে ভোট চাইনি। আমি নির্বাচনকে প্রভাবিত করছি না। আমার নামে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।'

(আরআর/এসপি/এপ্রিল ২৯, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

১৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test