E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘সমৃদ্ধশালী ন্যায় বিচার ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে নাগরিক সচেতনতার বিকল্প নেই’

২০২৪ মে ০৪ ১৪:৩৬:০২
‘সমৃদ্ধশালী ন্যায় বিচার ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে নাগরিক সচেতনতার বিকল্প নেই’

মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন সমৃদ্ধশালী ন্যায় বিচার ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে জেলা-উপজেলা, থানা গ্রাম এমনকি পাড়া মহল্লা পর্যন্ত নাগরিক সচেতনতার বিকল্প নেই। নাগরিক শব্দটির সঙ্গেই রাষ্ট্রকে আপন করে নেয়ার সংযোগ আছে। দ্বায়িত্বে সংযোগ আছে, সংযোগ আছে অধিকার সচেতন করো, যে অধিকার আমাদের দিয়েছে মহান সংবিধান। ফলে সংবিধান মোতাবেক নাগরিক অধিকার ও দ্বায়িত্বের যে যৌথ প্রক্রিয়ায় আমাদের আইনের পরিসীমা সুনির্দিষ্ট হয়, তার যথাযত প্রয়োগের জন্য সবার আগে চাই সচেতনতা এবং শিক্ষা।

শুক্রবার (৩ মে) রাতে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মৌলভীবাজার পৌরসভা আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ।

জেলার প্রাণ-প্রকৃতির কথা উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, মৌলভীবাজারের অপুর্ব দৃষ্টিনন্দন প্রকৃতি বাংলাদেশের বিশেষ এক স্থান দখল করে আছে। হামহাম জলপ্রপাত, মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান , বাইক্কাবিল, হাকালুকি হাওড় আর দৃষ্টিনন্দন চাবাগান এখানকার প্রকৃতিতে ঈর্ষণীয় সৌন্দর্য যোগ করেছে। সত্যি কথা বলতে কী, আমরা ধ্বংশ করে ফেলেছি আমাদের প্রকৃতিকে। পৃথিবীর সবুজেরা আজ ভাল নেই। পাহাড় গুলো ভাল নেই, ভাল নেই আমাদের নদ-নদী। জলাশয়, হাওর,ভাল নেই সমুদ্র প্রাণ-পরিবেশ। জীববৈচিত্র ভাল নেই। এ চিত্র আজ পুরো বিশ্ব জুড়ে। এসময় তিনি জলবায়ূ প্রভাব,পরিবেশ বিপর্যয় সহ চলমান তাপপ্রবাহ নিয়েও কথা বলেন।

মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মো: ফজলুর রহমান এর সভাপতিত্বে ও জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন মাসুদ এর সঞ্চালনায় নাগরিক সংবর্ধনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সহধর্মিনী হাফিসা বানু ও বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

নাগরিক সংবর্ধনায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা ও দায়রা জজ আল-মাহমুদ ফায়জুল কবীর, জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম, পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিছবাউর রহমান, চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি এর সভাপতি কামাল হোসেন, সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট শান্তি পদ ঘোষ, এডভোকেট মুজিবুর রহমান মুজিব, বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের অবৈতনিক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোসাহিদ আহমেদ চুন্নু, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমদ চৌধুরী ও পিপি এডভোকেট রাধাপদ দেব সজল। উপস্থিত ছিলেন, প্রশাসন ও বিচার বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধি, আইনজীবী, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিক সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নাগরিকরা।

সংবর্ধনায় দেয়া বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি মহান মুক্তিযোদ্ধ নিয়ে আলোকপাত করতে গিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণে জাতীয় উদ্যেগের পাশাপাশি মৌলভীবাজারের স্থানীয় নাগরিক উদ্যেগকেও প্রাধান্য দিতে হবে। কেননা আপনারাই ভাল জানেন কোথায় কোথায় গেলে, অনুসন্ধান করলে দুর্দীনে কোন অসঙ্গতি আরও বেশি করে জানা যাবে, সংরক্ষণ করা যাবে। তিনি বলেন, এই মৌলভীবাজার আমাদের মুক্তি সংগ্রামের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উজ্জ্বল স্মৃতি ধারণ করে আছে। তাঁর কর্মতৎপরতার ফলে চা শ্রমিকরা পেয়েছিল ভোটাধিকার ও নাগরিকত্ব। ১৯৫৭-৫৮ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন এই চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান। এসময় তিনি শ্রীমঙ্গলে এসেছিলেন চাবাগান পরিদর্শনে।

এদিকে একই দিন বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আদালতের বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিত ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধনকালে প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারপ্রার্থী মানুষের জন্য যদি কোনো ব্যবস্থা না থাকে তাহলে সুবিচার ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার যে অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু করেছিলেন সেই অঙ্গীকার থেকে আমরা পিছিয়ে থাকব।

(একে/এএস/মে ০৪, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test