E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সদ্য ইস্তফা দেওয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এডিপি ও পিআইসি’র টাকা লুটপাটের অভিযোগ

২০২৪ মে ০৫ ২০:১৬:২৭
সদ্য ইস্তফা দেওয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এডিপি ও পিআইসি’র টাকা লুটপাটের অভিযোগ

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্প ও উপজেলা উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দের সিংহভাগ লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে সদ্য ইস্তফা দেওয়া উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদির  বিরুদ্ধে। ক্ষমতা চলে যাওয়ার পরপরই উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের লোকজন মুখ খুলতে শুরু করায় এসব অনিয়ম ও দুর্নীতি ক্রমশঃ প্রকাশ পাচ্ছে।

কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কালিগঞ্জ উপজেলায় (এডিপি) বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১২টি ইউনিয়নে ৪৬টি প্রকল্পের জন্য ৯৬ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা গত বছরের ২৯ অক্টোবর উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় রেজুলেশন এর মাধ্যমে পাস করা হয়। এরমধ্যে ৪৪ টি প্রকল্প দরপত্রের মাধ্যমে ও ২২ টি প্রকল্প পিআইসি গঠণ করে বাস্তবায়নের কথা বলা হয়। প্রকল্পগুলোর মধ্যে ছিল রাস্তা সংস্কারে ইটের সোলিং করা, সিসি ক্যামেরা বসানো, খেলা ধুলার সামগ্রী বিতরণ, প্যালাসাইডিং, সবজির চারা বিতরণ।

অপরদিকে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ১২টি ইউনিয়নের ৩৪টি প্রকল্পে উপজেলা পরিষদের উন্নয়নের জন্য দুই কোটি ১৮ লক্ষ ২৬ হাজার ৩০৩ টাকা গত বছরের ১০ আগষ্ট বরাদ্দ করা হয়। এরমধ্যে ২১ টি প্রকল্প দরপত্র আহবান ও ১৩ টি প্রকল্প ছিল পিআইসি গঠনের মাধ্যমে বাস্তবায়নের কথা বলা হয়। এই প্রকল্পের মধ্যে রাস্তা সংস্কার, ছাত্র-ছাত্রীদের বাইসাইকেল বিতরণ, সেলাই মেশিন বিতরণ, ড্রেন নির্মাণ, প্লাসাইডিং এর কাজ রয়েছে।

গৃহীত প্রকল্প গুলো চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকায় অধিকাংশ প্রকল্পে কাজ না করে চলমানের কথা বলা হয়েছে। কোথাও আবার সামান্য কাজ করে সমুদয় বিল তুলে প্রকল্প শেষ করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এর মধ্যে তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যানের নিজস্ব মাছের ঘেরের জমিতে কৃষি স্মার্ট ভিলেজ পানির প্লান্ট বাবদ ৩২ লক্ষ টাকার কাজ এখনো শুরু হয়নি। বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের এবং উপজেলা পরিষদ উন্নয়ন খাতে বরাদ্দকৃত ৩ কোটি ১৪ লক্ষ ৭২ হাজার ৩০৩ টাকার সিংহ ভাগ কাজ না করে আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে সদ্য ইস্তফা দেওয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাঈদ মেহেদীর বিরুদ্ধে। একই অবস্থা পিআইসির বেশির ভাগ প্রকল্পে। স্থানীয় সরকার পকৌশল অধিদপ্তর এর তত্বাবধায়নে কাজ বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও কাজ না করে অধিকাংশ প্রকল্পের টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

গত শুক্রবার থেকে রবিবার বিকেল পর্যন্ত কালিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে পিআইসির বরাদ্দকৃত টাকার মোটা অংশ তৎকালীন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদীর পিরোজপুর নামক স্থানে প্লাসাইডিং কাজে ব্যবহৃত নিম্নমানের খোয়া, সিমেন্ট দিয়ে খাম্বা বা পাইলিং খুটি তৈরি করে তার একান্ত সচিব খ্যাত সাজেদুল হক সাজুর মাধ্যমে উপজেলা চেয়ারম্যানের পকেটের লোক বলে পরিচিত ইউপি সদস্যদের সভাপতি করে তাদের কাছ থেকে সাক্ষর করিয়ে নাম মাত্র কাজের মাধ্যমে লুটে নেওয়া হয়েছে। আবার অনেক প্রকল্পের সভাপতি খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ওইসব প্রকল্প সম্পর্কিত তথ্য চাইলে তারা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে আগামি ৮ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের কথা বলে একে অপরের উপর দোষ চাপান। উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল বারিও মুখে কুলুপ আটেন। সাংবাদিকরা গত ৩ এপ্রিল তথ্য অধিকার আইনে দরখাস্ত করলেও গত এক মাসেও তা দেওয়া হয়নি।

এদিকে দরপত্রের মাধ্যমে কাজ পাওয়া অধিকাংশ ঠিকাদাররা কাজ শুরু করার আগে প্রকল্প বিক্রি করে লভ্যাংশ নিয়ে অন্য ঠিকাদারের নিকট বিক্রি করে দিয়েছেন। আর এই সমস্ত ঠিকাদারদের নিকট থেকে উপজেলা প্রকৌশলী এবং সহকারী প্রকৌশলী বিশেষ সুবিধা নিয়ে নিম্ন মানের ইট ও বালি দিয়ে দায়সারা ভাবে রাস্তার ইটের সোলিং কাজ তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যানকে দিয়ে উদ্বোধন করে নিজের ভোটের প্রচার চালাইছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান এবং বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী সাঈদ মেহেদির কাটা খালিতে অবস্থিত নিজের মাছের প্রকল্পে মৌতলা, মথুরেশপুর ইউনিয়নের মধ্যবর্তী বাইপাস রোডের পাশে কৃষি স্মার্ট ভিলেজের পানির প্লান্ট নির্মাণের জন্য ৩২ লক্ষ টাকার প্রকল্প দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদারকে দিলেও ওই ঠিকাদার নানান হুমকিতে আজও কাজ শুরু করতে পারেনি বলে অভিযোগ রয়েছে।

কুশুলিয়া ইউনিয়নের বাজার গ্রাম ১ নং ওয়ার্ডে বাবুর বাড়ি হতে মিন্টুর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার ইটের সোলিংয়ের জন্য দুই লক্ষ, কুশুলিয়া পানু ময়রার বাড়ি হতে অঞ্জনার বাড়ি পর্যন্ত ইটের সোলিং করার জন্য এক লক্ষ, মহৎপুর আমতলায় মোড়ল ইসলামের বাড়ি হতে ইসলামের বাড়ি পর্যন্ত আরসিসি ঢালাই এর জন্য ছয় লক্ষ এবং ঘোজাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয় রাস্তা ইটের সোলিং বাবদ দুই লক্ষ ৪০ হাজার টাকার প্রকল্প দরপত্রের মাধ্যমে কাজপান শ্যামনগরের সাহেব এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী শাহিনুর রহমান। কিন্তু ওই কাজ কিনে নিয়েছেন মাষ্টার শাহজাহান। এই প্যাকেজ প্রকল্পের কাজ গুলি উপজেলা প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলীদের ম্যানেজ করে নিম্নমানের ইট, বালি পর্যাপ্ত পানি না দিয়েই দায়সারা যেন তেন ভাবে কাজ শেষ করলেও তদারকি করার কেউ ছিলেন না।

এইভাবে দরপত্রের মাধ্যমে উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের প্রকল্প গুলো লুট পাট অনিয়ম ভাগাভাগি করে কাজ চলছে। সম্প্রীতি বিভিন্ন ইউনিয়নে পিআইসির ১২ টি প্রকল্প এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে কোথাও আংশিক কাজ আবার কোথাও কাজ না করেই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। উপজেলা পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী তার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে তার ঘনিষ্ঠ ভাজন এপিএস খ্যাত সাজেদুল হক সাজুর দ্বারা অধিকাংশ কাজ দায়সারা ভাবে শেষ করা হয়েছে। অনেক গুলো কাজ না করেও ছবি তুলে উপজেলা প্রকৌশলীকে ম্যানেজ করে কাজ শেষ দেখানো হয়েছে।

বাজারগ্রাম মোহাম্মদ ড্রাইভারের বাড়ি হতে রফিকুল এর বাড়ি পর্যন্ত পুকুরের পাড় প্যালাসাইডিং করার জন্য ২ লক্ষ টাকার কাজ ৭০/৮০ হাজার টাকায় ২৪ টি পাইলিং খুঁটি ২ হাজার ইট এবং নামমাত্র সিমেন্ট বালি দিয়ে দায় সারা ভাবে শেষ দেখানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, জনগণ প্রতিবাদ করে প্রকল্প সম্পর্কে এবং প্রকল্প সভাপতি কে জানতে না পেরে এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক বরাবর অনিয়ম-দূর্নীতির লিখিত অভিযোগ করেছে।

একইভাবে বাজার গ্রাম কাশেমপুর আফজালের বাড়ি হতে মুর্শিদের বাড়ি পর্যন্ত পুকুরের পার্শ্ব প্যালাসাইডিং প্রকল্পে ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ সেখানে ও সাজেদুল হক সাজু একই ভাবে নয় ছয়ের এর মাধ্যমে সম্পন্ন করেছে। এরমধ্যে আরো ৩ টি প্রকল্পে ইট সোলিং করনের নামে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ শেষ দেখানো হয়েছে।

নলতা ইউনিয়নে সেন্ট্রাল সেহারা জামে মসজিদ সংলগ্ন কার্পেটিং রাস্তা হতে ড্রেন নির্মাণের জন্য দুই লাখ টাকার প্রকল্পে কোন কাজের দেখা মেলেনি। নলতা ইউনিয়নে চার টি ওয়ার্ডে জামে মসজিদে বসার স্থান প্রকল্পে এক লাখ টাকার কোন কাজ চোখে পড়েনি। কাশিবাটি আব্বাসের হাটখোলা সংলগ্ন লিয়াকতের বাড়ি হতে সাত্তারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা প্যালাসাইডিং প্রকল্পে দেড় লাখ টাকা তার লাগোয়া কাশিবাটি সাকাতের বাড়ির পাশে প্যালা সাইডিং করন বাবদ দেড় লক্ষ টাকা করে ২টি প্রকল্পে ৩ লক্ষ টাকার মধ্যে ১ টি প্রকল্পে ঐ সাজেদুল হক সাজু লক্ষ টাকার মধ্যে কাজ সম্পন্ন করে ২ টি প্রকল্পে অন্তত ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই সমস্ত প্রকল্পের কাগজপত্রে প্রকৃত সভাপতি কে সেটা নলতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বাররাও সেটা জানেন না।

তারালি ইউনিয়নে জলবদ্ধতা দূরীকরণে পাইপ সরবরাহ বাবদ এক লাখ টাকা, আরশাদ মেম্বারের বাড়ির সামনে কালভার্ট নির্মাণ বাবদ এক লাখ ৫২ হাজার টাকার প্রকল্প ঘুরে কাজের কোন হদিস মেলেনি। একই ভাবে কাকশিয়ালি দাসপাড়া পর্যন্ত পানি নিষ্কাশনের ড্রেন নির্মাণ বাবদ এক লাখ ৫ হাজার ১৭৪ টাকা এবং কাকশিয়ালি জিপিএস এর সামনে ইটের সোলিং করন বাবদ ৮৪ হাজার টাকার প্রকল্প ছাড়াও কুশুলিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর মধুসূদনের বাড়ি হতে মুরালি ডাক্তারের বাড়ি প্যালাসাইডিং করন প্রকল্পে এক লক্ষ টাকার কোন কাজ হয়নি। তবে এই সমস্ত প্রকল্প গুলোর কে সভাপতি জানা না গেলেও কাজ গুলো যে তৎকালীন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিজের তত্ত্বাবধানে নিজের লোক সাজেদুল হক সাজু কে দিয়ে করিয়ে লুটপাট করেছেন এমন দাবি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং এলাকাবাসীর।

এছাড়াও কালিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্টার করন সংক্রান্ত প্রকল্পে এক লাখ , কালিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়ন প্রকল্পে শিশুদের জন্য দোলনা ও স্লিপার খেলনা সরঞ্জাম বিতরণ বাবদ দুই লাখ, কালিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কন্যা বর্তিকা পরিবারের মাঝে সহায়তা প্রদান প্রকল্পে এক লাখ , কালিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসায় বেঞ্চ সরবরাহ প্রকল্পে ৩ লাখ (দরপত্র), পত্রিকা বিজ্ঞপ্তি আনুষঙ্গিক ব্যয় ও তোদের কি বিল বাবদ প্রকল্পে দুই লাখ, কালিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন মাঠে ফুটবল বিতরণ প্রকল্পে দুই লাখ, কালিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন মাঠে ভলিবল বিতরণ এক লাখ ৪৬ হাজার এবং কালিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘেরের ভেড়িতে সবজি চাষের বীজ ও চারা বিতরণ প্রকল্পে এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ দিলেও উক্ত প্রকল্প গুলোর এখনো কোনো খোঁজ বা পিআইসি কমিটির সম্পর্কে কোন কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। এছাড়াও মৌতলায় তার নিজস্ব ইউনিয়নে বিভিন্ন প্রকল্পের কোন কাজের শুরু বা শেষের খোজ মেলেনি।

এ ব্যাপারে কুশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, তারালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হোসেন ছোট, ভাড়াশিমলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল হোসেন নাঈম, বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোবিন্দ মন্ডল রতনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম আলিম আল রাজি টোকন সহ ইউপি সদস্য আবু মুসা, আকলিমা খাতুন, খায়রুল ইসলাম নিকট জানতে চাইলে তারা সাংবাদিকদের জানান, উপজেলা পরিষদ উন্নয়ন খাত এবং উপজেলা পরিষদের বার্ষিক উন্নয়ন (এডিপি) খাতের টাকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের হাতে। তাই তিনি জনপ্রতিনিধিদের মতামতের কোন মূল্য না দিয়ে তাদের কাছে প্রকল্প চেয়ে তিনি তার নিজের ইচ্ছামতো প্রকল্প দিয়ে পিআইসি কমিটি, ক্রয় কমিটি গঠন করে কাজ করলেও করার কিছু নাই। এখানে সব দায়বদ্ধতা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা প্রকৌশলীর। অতএব এই সমস্ত বিষয়ে তারাই ভালো বলতে পারবেন।

এ ব্যাপারে কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সদ্য ইস্তফা দেওয়া উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী সাংবাদিকদের বলেন, আগামি ৮ মে উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে উন্নয়নের কাজ করা নিয়ে বাধ্যবাধকতা আছে। আবার কেউ কেউ ফয়দা লুঠতে তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারে নেমেছেন। তিনি নির্বাচিত হয়ে ৩০ জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করে দেবেন। তবে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রকল্পের তথ্য দিতে এবং কোন প্রকল্পের কত টাকা বরাদ্দ এবং কি পরিমান বিল পরিশোধ করা হয়েছে সে বিষয়ে তথ্য দিতে সমস্যা কোথায় এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর মেলেনি।

(আরকে/এএস/মে ০৫, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test