E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গোপালগঞ্জে ২০ দিন পর ব্যবসায়ীর লাশ উত্তোলন

২০২৪ মে ০৭ ২০:২০:৪৪
গোপালগঞ্জে ২০ দিন পর ব্যবসায়ীর লাশ উত্তোলন

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জে মৃত্যুর ২০ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে হাবিবুর রহমান (৫৫) নামে এক ব্যবসায়ীর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে গোপালগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মামুন শরিফের উপস্থিতিতে মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের মুনিরকান্দি গ্রামের কবর থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।

পরে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

গত ১৭ এপ্রিল ভোরে মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের মুনিয়াজোড়া নামকস্হানে ইজিবাইক দুর্ঘটনায় চির কুমার হাবিবুর রহমানের মৃত্যু হয়েছে। এমন অপপ্রচার করে হাবিবুর রহমানের ভাতিজা সালমান ফরাজি তার দলবল নিয়ে ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফন মরদেহ দাফন করেন ।

এ ঘটনার ১৫ দিন পর মৃতের বোন মোসাঃ আঞ্জুল হক ভাতিজা সালমানসহ ৪৫ জনকে আসামী করে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দুর্ঘটনা নয়, সম্পত্তির দ্বন্দ্বের কারণে হত্যা তাকে করা হয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। নিহত হাবিবুর রহমানের বোন মোসা: আঞ্জুল হকের মামলা ও আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত মরদেহ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের নির্দেশ দেয়।

হাবিবুর রহমানের বোন মোসা: আঞ্জুল হক জানান, মৃত্যুর কিছুদিন আগে জমি জবর দখলের পায়তারার অভিযোগ এনে হাবিবুর রহমান ভাতিজা সালমানের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর সালমান ক্ষিপ্ত হয়ে চাচা ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমানকে হত্যার হুমকি দেযন। এরপর হাবিবুর রহমান আদালতে হত্যার হুমকির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। সালামন এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হাবিবুরকে হত্যা করে সড়ক দুর্ঘটনা বলে চালিয়েছে বলে অভিযোগ মামলার বাদী আঞ্জুল হকের।

অভিযুক্ত ভাতিজা সালমান ফরাজি চাচাকে হত্যার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি মাদারীপুর শহরে থাকি। চাচা থাকেন মুনিরকান্দি গ্রামে। চাচা ইজিবাইক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে। জানতে পেরে আমি মাদারীপুর থেকে ঘটনাস্থলে যাই। তাকে উদ্ধার করে মাদারীপুরের রাজৈর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে তিনি মারা যান। সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে। চাচা ওই দিন ইজিবাইকে করে হাটে যাচ্ছিলেন।

অপরদিক থেকে আসা একটি ইজিবাইকের ধাক্কায় তিনি রাস্তায় পড়ে যান বলে ইজিবাইকের যাত্রী এনায়েত কাজী আমাকে জানিয়েছেন। সম্পত্তি নিয়ে চাচার সাথে আমার দ্বন্দ্ব ছিল। আমি কিছু সম্পত্তি বিক্রি করে দেই। এটি চাচার পছন্দ ছিল না। চাচার সাথে আমার বিরোধকে পূঁজি করে আঞ্জুল হক ফয়দা তুলতে চাইছেন। এনিয়ে আমাকে হয়রাণী করা হচ্ছে।

(এমএস/এএস/মে ০৭, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test