E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নিখোঁজের ১০ দিন পর যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

২০১৪ নভেম্বর ২২ ২১:৫৯:২২
নিখোঁজের ১০ দিন পর যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : এবার মৌলভীবাজার সদর মডেল থানা  পুলিশের গাফিলতির বলী হল সদর উপজেলার জগৎপুর গ্রামের আনোয়ার বক্স নামের এক যুবক।

অর্ধগলিত অবস্থায় তার লাশ পাওয়া গেলো নিখোঁজ হবার ১০ম দিন পর ২২ নভেম্বর বিকেলে মৌলভীবাজার শহরের বর্ষিজোড়া ইকো পার্ক সংলগ্ন জঙ্গলে।

স্থানীয় জনৈক গরু রাখাল গরু চরাতে গেলে লাশটি দেখতে পেয়ে স্থানীয় বাচ্চু মিয়াকে জানায়। তিনি খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রেরণ করে।

আনোয়ার বকসের ভাই দুলাল বকসের দায়েরী অপহরণ মামলার বিবরণ অনুযায়ী- মৌলভীবাজার জেলা সদরের আখাইলকুরা ইউনিয়নস্থ জগৎপুর গ্রামের হাজী আব্দুস ছোবহানের পুত্র আনোয়ার বক্সকে একই গ্রামের আব্দুল মালিক ও তার সহযোগি পার্শ্ববর্তী সানন্দপুর গ্রামের নুরুল মামন, লাল মিয়া, নুরিস মিয়া, কনকপুর গ্রামের আমিনুল মিয়া, পতন (শাহবন্দর) গ্রামের রিপন মিয়াসহ অজ্ঞতনামা আরও ২/৩ জন শহরের সাকুরা মার্কেট সংলগ্ন রাস্তা থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এ দিন-রাতের মধ্যে বাড়ি ফিরে না আসায় পরদিন ১৪ নভেম্বর তার ভাই দুলাল বকস মামলা দায়ের করলে মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি আব্দুস ছালেক মামলাটি এফআইআর করেননি।

এর প্রেক্ষিতে দুলাল বকস গত ১৬ নভেম্বর মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ করলে সহকারি পুলিশ সুপার খাইরুল আলম তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ওসিকে নির্দেশ দেন।

তাতেও ওসি কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় দুলাল বকস গত ১৯ নভেম্বর সিলেটের ডিআইজির স্মরণাপন্ন হলে আনোয়ার বকসকে উদ্ধারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেয়া সত্বেও পুলিশ কোন ব্যবস্থাই নেয়নি।

আনোয়ারকে উদ্ধারে কোন ব্যবস্থা না নেয়ার কারণ জানতে বাংলাদেশ অনলাইন সাংবাদিক কল্যাণ ইউনিয়ন (বিওএসকেইউ) মৌলভীবাজার জেলা সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মশাহিদ আহমদ গত ২০ নভেম্বর যোগাযোগ করলে ওসি আব্দুস ছালেক বলেন- মিথ্যা মামলা নেব কিভাবে ? এটা একটা সাজানো নাটক। এদের মধ্যে দীর্ঘ ১৩ বছর যাবৎ জায়গা জমি নিয়ে মামলা চলছে। ঐ জায়গা থেকে তাদের দখল অপসারণ করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এখন দেখছে যে, বাঁচার উপায় নাই, তাই বাঁচার জন্যই এ নাটক সাজিয়েছে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে অবগত আছেন। তারপরও তদন্ত করতেছি, তার মোবাইল ট্র্যাকিং করতেছি।

এদিকে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আব্দুস ছালেকের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে তার বক্তব্য চাওয়া হলে তিনি মামলা না নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন ।

(এমএকে/এসসি/নভেম্বর২২,২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test