E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নাজিরপুরে সেনা সদস্যের দখলে ভিটে ছাড়া এক হিন্দু পরিবার !

২০১৪ নভেম্বর ২৪ ১৫:৪৫:৫৩
নাজিরপুরে সেনা সদস্যের দখলে ভিটে ছাড়া এক হিন্দু পরিবার !

পিরোজপুর  প্রতিনিধি : নাজিরপুরে এক সেনা সদস্য জোরপূর্বক এক হিন্দু পরিবারের ভিটে-বাড়ি দখল অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোন আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে সেনা বাহিনীতে চাকুরী করেন এই প্রভাব বিস্তার করে তিনি এলাকার হিন্দু পরিবার গুলোরকে হয়রানি করে আসছেন। স্থানীয় প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে বহাল তবিয়তে রয়েছেন এ সেনা সদস্য।

সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার সদরের মৃত. পতক চন্দ্র দেবের পুত্র নিরোদ বিহারী দেব (৯০) পৈত্রিক ভিটায় জন্মলগ্ন থেকে বসবাস করে আসছেন। উপজেলার হোগলাবুনিয়া গ্রামের মৃত. জব্বার বিশ্বাসের পুত্র সেনা সদস্য রফিকুল ইসলাম মিঠু বিগত ২০১২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী নিরোদ বিহারী দেবের মেজভাই অতুল চন্দ্র দেবের একমাত্র পুত্র অমৃত লাল দেবের নিকট ৩ শতক সম্পত্তি ক্রয় করেন। পার্শবর্তী নিরোদ বিহারীর জায়গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পিরোজপুর-গোপালগঞ্জ মহাসড়ক সংলগ্ন হওয়ার কারণে স্বর্ণমুল্যের ওই সম্পত্তি অবৈধভাবে গ্রাস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকেন ওই সেনা সদস্য ও তার স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা রেশমা আক্তার।

তারই ধারাবাহিকতায় সেনা সদস্য রফিকুল ইসলাম মিঠু সম্প্রতি তার ক্রয়কৃত ৩ শতক সম্পত্তিসহ নিরোদ বিহারী দেবের ২ শতক বাগান বাড়ি জবর দখল করে টিনের প্রাচীর নির্মাণসহ বসবাসের জন্য একটি টিনের ঘর করেন। নিরোদ বিহারী দেব জবর দখলের প্রতিবাদ করায় ওই সেনা সদস্য তাকে জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে। এ ঘটনায় নিরোদ বিহারী দেব নাজিরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। ডায়েরী নং-২০৭। উক্ত ডায়েরীর ঘটনার বিষয়ে থানা পুলিশ তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে সেনা সদস্য ও তার স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা রেশমা আক্তারের বিরুদ্ধে বিচারের জন্য বিজ্ঞ আদালতে প্রসিকিউশন দাখিল করেন।

এ ব্যাপারে নিরোদ বিহারী দেব বলেন, ‘সেনা সদস্য রফিকুল ইসলাম মিঠু আমার সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করলে আমি সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য স্থানীয় এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান ও থানায় লিখিত অভিযোগ করি। তারা বহুবার নোটিশ করলেও সেনা সদস্য হাজির হয়নি। উল্টো সে আমাকে জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।’
ঘটনার বিষয়ে নাজিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমি অভিযোগ পেয়ে ঘটনাটি মিমাংসা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু উক্ত সেনা সদস্যের অসহযোগিতার কারণে সেটি সম্ভব হয়নি।’

নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘নিরোদ বিহারী দেব থানায় একটি জিডি করেন। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

(এসএ/এএস/নভেম্বর ২৪, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৩ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test