E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

চাটমোহর সভাপতি সম্পাদককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

২০১৪ নভেম্বর ২৬ ১৮:৫৩:২৬
চাটমোহর সভাপতি সম্পাদককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহর উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন সাখো ও সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মালেককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশ। সবায় ব্যাপক নেতা-কর্মী সমর্থদের উপস্থিতি ছিলো।

বুধবার স্থানীয় ডাকবাংলোতে আওয়ামী লীগের একাংশের বিশেষ বর্ধিত সভায় তাদেরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। উপজেলা আওযামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আজাহার আলীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক খন্দকার মাহবুব এলাহী বিশুর সঞ্চালনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের একাংশের বর্ধিত সভায় বক্তব্য দেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক ও পৌর মেয়র মির্জা রেজাউল করিম দুলাল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আবু হায়াত মোহাম্মদ কামাল ওরফে জুয়েল মির্জা, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. হেলাল উদ্দিন, বিএমএ পাবনা জেলা সভাপতি ডা. মো. গোলজার হোসেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নবীর উদ্দিন মোল্লা, আলহাজ্ব আজাদ হোসেন, মো. নুরুল ইসলাম, কৃষক লীগ নেতা শেখ সালাহ উদ্দিন ফিরোজ, সোলায়মান হোসেনসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠণের নেতৃবৃন্দ।

সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে দালাল, বিএনপির অনুচর হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়, চাটমোহরে আওয়ামী লীগের বিভেদ সৃষ্টি করে দলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ফায়দা নিয়েছে সভাপতি সম্পাদক। বর্তমান কমিটির ৪৮ জন সদস্য পদত্যাগ করেছেন। ফলে তাদেরও আর কোন বৈধতা নেই। তারা উপজেলা কাউন্সিল করতে পারেন না। তাই তাদেরকে দলে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো। সভায় আসন্ন উপজেলা সম্মেলন নিয়ে আলোচনা করা হয়।

এর আগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকের নেতৃত্বাধীন অংশ সোমবার একই স্থানে ডাকবাংলো চত্বরে বিশেষ সাধারণ সভা করেছে। পৌর মেয়র দুলাল মির্জার নেতৃত্বাধীন অংশ সেই সভায় অংশ নেয়নি। সোমবারের বিশেষ বর্ধিত সভায় আসন্ন উপজেলা সম্মেলন নিয়ে আলোচনা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন সাখো।

প্রসঙ্গত. বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে চাটমোহর উপজেলা আওয়ামী লীগের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল চরম আকার ধারণ করে। নির্বাচনের আগে প্রার্থী মনোনয়নে তৃণমূল ভোটের আয়োজন করা হয়। সেখানে বর্তমান সভাপতি জয়লাভ করেন। পরাজিত হন মির্জা রেজাউল করিম দুলাল। তারপরও মির্জা রেজাউল করিম দুলাল দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করেন। এদিকে সাখাওয়াত হোসেন সাখোও নির্বাচন করেন। নির্বাচনে দু’জনেই পরাজিত হন। জয়লাভ করেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী। নির্বাচনে জামানত হারান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. মকবুল হোসেন মির্জা রেজাউল করিম দুলালের পক্ষে অবস্থান নেন। উপজেলা সভাপতির বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করেন।

ইতোমধ্যে সংসদ সদস্যের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে দুলাল মির্জা গ্রুপ পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন সম্পন্ন করেন। সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদককে আমন্ত্রণ পর্যন্ত জানানো হয়নি। এ নিয়েও কোন্দল মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। আগামী উপজেলা সম্মেলন নিয়ে দু’গ্রুপের মধ্যে চরম স্নায়ু যুদ্ধ শুরু হয়েছে। যার বহিঃপ্রকাশ দু’গ্রুপের পৃথক পৃথক বর্ধিত সভা করা। আসন্ন উপজেলা আ’লীগের সম্মেলন নিয়ে দু’গ্রুপ এখন মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে।

(এসএইচএম/এএস/নভেম্বর ২৬, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test