রায়পুরে ১৪ বছর পর বিএনপি’র সম্মেলন

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : প্রায় ১৪ বছর পর অবশেষে নতুন চমক নিয়ে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী মঙ্গলবার ২ ডিসেম্বর জেলা পরিষদে রায়পুর অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। আর দীর্ঘ প্রত্যাশিত এ সম্মেলনকে ঘিরে পদ প্রত্যাশী ও মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের ব্যাপক প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে। তবে বিরতিহীন মাইকিং ও প্রচার-প্রচারনা ১০টি ইউনিয়র এগিয়ে আছেন বিএনপির ৩নং ইউনিয়নের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান ভূইয়া।

এদিকে উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক এড. মনিরুল ইসলাম হাওলাদার সভাপতিত্বে এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সাংসদ ও জেলা বিএনপি’র সভাপতি আবুল খায়ের ভূঁইয়া।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, এবারের উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে থাকছে নতুন কিছু চমক। বিশেষ করে নতুন কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে যারা আসছেন তারা নতুন-পুরনো মিলেই স্থান পাচ্ছেন এখানে এমনটাই ধারণা অনেকের। এর আগে ২০০০ সালে রায়পুর উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২০০৮ সালে এডভোকেট মনিরুল ইসলাম হাওলাদারকে আহবায়ক ও হোসেন আহম্মদ বাহাদুরকে যুগ্ম আহবায়ক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি গঠিত হয়। দীঘ ৬ বছর চেষ্টা করেও আহবায়ক কামিটি কোন সম্মেলন করতে না পারায় মেয়াদোত্তীর্ণ আহ্বায়ক কমিটিই দলের কর্মকান্ড চালিয়ে আসতে থাকে। অতঃপর সরকার বিরোধী আন্দোলনসহ উপজেলা বিএনপিকে বহু চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আসার পর অবশেষে কেন্দ্রের নির্দেশে আগামী ২ ডিসেম্বর এ সম্মেলন হতে যাচ্ছে। বিপদ ও আপদকালীন সময় এবং দলীয় বিভিন্ন মামলা নেতাকর্মীদের পাশে থাকায় শফিকুর রহমান ভূইয়া প্রচার-প্রচারনায় নেতাকর্মীরা উৎসাহীত হয়ে উঠছেন তার পক্ষে।

এদিকে উপজেলা কমিটির সভাপতি পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন : বর্তমান আহবায়ক এড. মনিরুল ইসলাম হাওলাদার ও পৌর মেয়র এবিএম জিলানীর। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে যাদের নাম আসছে তারা হলেন : ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান ভূঁইয়া, যুগ্ম আহবায়ক হোসেন আহম্মদ বাহাদুর, ১০নং ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইউছুফ, ৭নং ইউপি চেয়ারম্যান ছালেহ আহম্মদ, সাবেক ৬নং ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকসহ একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। তবে দায়িত্বশীল কয়েক নেতাকর্মী জানান, সভাপতি পদে একাধিক প্রার্থী না থাকায় সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন আসতে পারে।

এদিকে মাঠপর্যায়ের বিভিন্ন নেতাকর্মীর কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তারা এমন একটি নির্বাচিত কমিটি চান, যাদের দ্বারা দলের সাংগঠনিক শক্তি আরও দৃঢ় এবং সরকার বিরোধী আন্দোলনসহ যে কোন বিষয়ে কার্যকরী বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে সক্ষম যোগ্য। নেতৃত্বে আমরা তাদেরকেই নির্বাচিত করতে চাই।

এদিকে মাঠপর্যায়ের বিভিন্ন নেতাকর্মীর কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তারা এমন একটি নির্বাচিত কমিটি চান, যাদের দ্বারা দলের সাংগঠনিক শক্তি আরও দৃঢ় এবং সরকার বিরোধী আন্দোলনসহ যে কোন বিষয়ে কার্যকরী বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে সক্ষম যোগ্য নেতৃত্বই আমরা নির্বাচিত করতে চাই।

(এমআরএস/এএস/নভেম্বর ৩০, ২০১৪)