E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

মাগুরার শীর্ষ সন্ত্রাসী সাঈদ মীর কারাগারে

২০১৪ ডিসেম্বর ০১ ১৪:০৮:৫১
মাগুরার শীর্ষ সন্ত্রাসী সাঈদ মীর কারাগারে

মাগুরা প্রতিনিধি : ছাত্রলীগ কর্মী রাজন খান হত্যা মামলার প্রধান আসামী মাগুরার শীর্ষ সন্ত্রাসী মীর সাঈদকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন মাগুরা সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত।
   

গতকাল রবিবার মাগুরা শ্রীপুর থানা পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করে। এ সময় তার পক্ষে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ইয়াসমিন বেগম জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

এছাড়া এ মামলার এজাহার ভুক্ত অপর ৯ আসামী মুসা মীর, সাগর, সুপ্রান, রাশেদ, ফরহাদ, নয়ন, মুক্ত, স্বাক্ষর ও শাওন একই আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা না মঞ্জুর করে আসামীদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

গত শুক্রবার রাতে যশোর বিমানবন্দর গেট থেকে সাঈদ মীরকে আটক করে র‌্যাব-৬ এর একটি দল। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে র‌্যাব জানায়, আটক সাঈদ মীর মাগুরা সদর উপজেলার মীরপাড়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস মীরের ছেলে। আটকের পর তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বড়ালিদহ গ্রামে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে ২৫ রাউন্ডগুলিসহ একটি শর্টগান, তিন রাউন্ড গুলিভর্তি একটি ম্যাগজিন ও একটি ৭ পয়েন্ট ৬৫ পিস্তল এবং দুইটি বিদেশি পিস্তলসহ মোট চারটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাকে অস্ত্র ও হত্যা মামলায় শ্রীপুর থানায় হস্তান্তর করে র‌্যাব।

গতকাল রবিবার রাজন হত্যা ও অস্ত্র মামলায় শ্রীপুর থানা পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করে । এ সময় তার পক্ষে জামিনের আবেদন করা হলে বিজ্ঞ আদালত তা না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের মেজর আশরাফ জানান, ‘সাঈদ মীর মাগুরা জেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার নামে মাগুরাসহ বিভিন্ন থানায় হত্যা, হত্যা প্রচেষ্টা, অপহরণ, চাঁদাবাজি, অস্ত্র, দ্রুত বিচার আইনসহ ১৮টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে একটি মামলায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অপর একটি মামলায় ১০ বছর কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামী।

উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসীরা তাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। ঘটনার কিছুদিন আগে শহরের পিটিআই এলাকায় নিহত রাজনের মালিকানাধিন আরোস ট্রেডার্স নামে একটি দোকানে মীর পাড়া এলাকার কিছু যুবক চাঁদা নিতে এলে তাদের সাথে রাজনের হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় পরবর্তিতে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হলে সজল মীর, রুবেল মীর ওরফে হায়না রুবেলসহ ৩ জন সামান্য আহত হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাঈদ মীরের নির্দেশে মীরপাড়ার সংঘবদ্ধ একটি গ্রুপ রাজনের উপর হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করে বলে রাজনের পরিবার অভিযোগ করে।

(ডিসি/এএস/ডিসেম্বর ০১, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test