E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

লাকসামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডাকাতি

২০১৪ ডিসেম্বর ০২ ১৯:০৮:৩৮
লাকসামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডাকাতি

লাকসাম(কুমিল্লা) প্রতিনিধি : কুমিল্লার লাকসামে এক আবাসিক হোটেলে যাত্রীবেশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ওই হোটেলের ক্যাশে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার গভীর রাতে মার্কেটের ২য় তলার নীল আঁচল বস্ত্রালয় ও ওই আবাসিক হোটেলের ক্যাশ রুমে ডাকাতি করে নিরাপদে পালিয়ে যায় ডাকাত দল।

লাকসাম পৌর শহরের সদর রোডের লাকসাম প্লাজা মার্কেটের ৩য় তলায় হোটেল প্লাজায় যাত্রীবেশে তিন ডাকাত রুম ভাড়া করে থাকত। লাকসাম প্লাজা মার্কেটের ২য় তলার নীল আঁচল বস্ত্রালয়ের কলাপসিলপল গেইট ভেঙ্গে নগদ ৭২ হাজার টাকা ও ৭ লাখ টাকার কাপড় লুট করে এবং ৩য় তলার আবাসিক হোটেল প্লাজার ক্যাশ রুমের আলমিরা থেকে নগদ ৭ হাজার টাকা ও ক্যাশে গচ্ছিত ১৫ ভরি স্বর্নালংকারসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায় বলে জানাযায়। ডাকাতদের নেশা জাতীয় দ্রব্যের কারণে হোটেল ম্যানেজার মনির হোসেন গুরুতর আহত হয়ে লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।

ডাকাতির সংবাদ পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে লাকসাম থানা পুলিশের অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন। তবে থানার একেবারে নিকটবর্তী হওয়া সত্ত্বেও কি করে এমন ঘটনা ঘটল তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ?

আবাসিক হোটেলের সহকারী ম্যানেজার ইয়াছিন মিয়া জানান, ওই হোটেলে যাত্রী বেশে গত ২৭ নভেম্বর ৩ জন লোক ব্যবসায়ী পরিচয়ে হোটেল রুম ভাড়া করে। কিন্তু ডাকাতি সংঘটিত হওয়ার পর থেকে ওই তিন যাত্রী আর হোটেলে আসেনি।

তবে আবাসিক হোটেলটির যাত্রীদের পরিচিতির জন্য কোন রেজিষ্ট্রার খাতা না থাকায় হোটেল কর্তৃপক্ষের মেমো বইের পরিচিতি থেকে জানা যায় তাদের একজন ঢাকার ডেমরা থানার নবী হোসেনের ছেলে মনির হোসেন ও অপরজন একই থানার মৃত.ছরওয়ার শেখের ছেলে সুমন মিয়া এবং অন্যজনের নাম মেমোতে অর্ন্তভূক্ত না থাকায় তা জানা যায়নি।

এ বিষয়ে লাকসাম থানা পুলিশের অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।তবে এ ঘটনায় এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।

(এসএস/অ/ডিসেম্বর ০২, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

৩০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test