E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

দুবলার চরের শুটকি সংগ্রহকারী ৪০ জেলে অপহরণ

২০১৪ ডিসেম্বর ০৩ ১৭:৪২:৫০
দুবলার চরের শুটকি সংগ্রহকারী ৪০ জেলে অপহরণ

বাগেরহাট প্রতিনিধি : মাত্র এক সপ্তাহর মাথায় বঙ্গোপসাগরে আবারও জেলে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এবার পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা জেলে পল্লীর শুঁটকি সংগ্রহকারী ৪০ জেলেকে অপহরণ করেছে বনদস্যু ফরহাদ ও নোহা বাহিনী। এসময় নামবিহিন দুটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলারও নিয়ে যায় দস্যুরা।

মুক্তিপণ হিসেবে প্রত্যেক জেলের জন্য ১লাখ টাকা করে ধার্য করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে দুবলার চরসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এঘটনা ঘটে। এর আগে গত ২৫ নভেম্বর রাতে বঙ্গোপসাগরের ১নম্বর ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে ১০টি ফিশিং ট্রলারসহ ১০০ জেলেকে অপহরণ করে দস্যু ফরহাদ, রাজা ও আলামীন বাহিনী। অপহৃত এসব জেলে এখনো উদ্ধার হয়নি বলে দাবি করেছে দুবলা ফিরামেন গ্রুপ।

দুবলা ফিরামেন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেন দুপুের মুঠোফোনে জানান, বুধবার ভোর রাত আনুমানিক ১টার দিকে দুবলার চর থেকে ১০ কিলোমিটার দুরে শুঁটকি সংগ্রহকারী বাগেরহাটের রামপাল, মংলা, খুলানার কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ ও ডুমুরিয়া এলাকার জেলেরা মাছ ধরছিলেন। এমন সময় ফরহাদ ও নোয়া বাহিনীর ৪০-৫০ জন অস্ত্রধারী দস্যু ওই জেলে বহরে হানা দিয়ে অস্ত্রের মুখে প্রত্যেকটি ট্রলার থেকে একে একে ৪০ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এসময় রামপালের মৎস্য ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীনের ১টিসহ মোট দুটি ট্রলার নিয়ে যায় দস্যুরা। প্রত্যেক জেলের মুক্তিপণ হিসেবে ১লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে। জেলেদের মাধ্যমে তাদের মহাজনদের কাছে মোবাইল নম্বর পাঠিয়ে দিয়েছে দস্যুরা। তবে অপহৃত জেলেদের নাম জানাতে পারেননি ওই মৎস্যজীবী নেতা।

এর আগে গত ২৫ নভেম্বর রাতে বঙ্গোপসাগরের ১নম্বর ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা থেকে ১০টি ফিশিং ট্রলারসহ ১০০ জেলেকে অপহরণ করে দস্যু ফরহাদ, রাজা ও আলামীন বাহিনী। অপহৃত এসব জেলে এখনো উদ্ধার হয়নি বলে দাবি করেছে দুবলা ফিরামেন গ্রুপ।

জাতীয় মৎস্য সমিতি শরণখোলা উপজেলার শাখার নবগঠিত কমিটির সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার ও সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান ফরাজি জানান, সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগরে বর্তমানে ৭-৮টি দস্যু বাহিনীর কাছে তিন শতাধিক জেলে এখনো জিম্মি রয়েছে। মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবি করায় মহাজনরা তাদেরকে ছাড়িয়ে আনতে পারছেনা। তারা দস্যু দমনে প্রশাসনকে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেযার দাবি জানিয়েছেন।

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. কামাল আহমেদ জেলে অপহরণের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুবলার চরে সার্বক্ষণিক মোবাইল নেটওয়ার্ক সুবিধা না থাকায় যোগাযোগ রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছেনা। বিষয়টি কোস্টগার্ডকে অবহিত করা হয়েছে।

(একে/এএস/ডিসেম্বর ০৩, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test