E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ভূমি অফিসের বানিজ্য!

ভূমিহীন না হয়েও এক দম্পতি পেল তিন একর খাস জমি

২০১৪ ডিসেম্বর ০৪ ১২:৩৪:০৮
ভূমিহীন না হয়েও এক দম্পতি পেল তিন একর খাস জমি

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজসে শুধু নাম পাল্টেই জালাল হাওলাদার ও রানী বেগম দম্পতি এখন তির একর খাস জমির মালিক। দুই দফায় তারা এই জমি বন্দোবস্ত পেয়েছেন। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের তেগাছিয়া গ্রামে এ ঘটনায় এখন ভূমি কর্মকর্তাদের ঘুষ বানিজ্য ও দায়িত্ব পালন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ১৯৮৯-৯০ সালের ২৭২-কে বন্দোবস্ত কেসের মাধ্যমে কলাপাড়ার তেগাছিয়া মৌজা থেকে জালাল আহম্মেদ ও রানী বেগমকে দেড় একর খাস জমি বন্দোবস্ত দেয়া হয়। যার দাগ নম্বর-৭৩৪/১ ও ৩৮৭। দলিল নম্বর-১৪৭৭/২০০১। তারিখ-০৩.০৪.২০০১। নতুন খতিয়ান নম্বর-২৮৭। আবার একই দম্পতিকে ২০০৬-০৭ সালের ৭০ নম্বর বন্দোবস্ত কেসের মাধ্যমে একই মৌজার ৭২৭ নম্বর দাগ থেকে আরও দেড় একর খাস জমি বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে। যার দলিল নম্বর-৫৯৯। সম্পাদনের তারিখ-০১.০১.২০০৮। খতিয়ান নম্বর-৩৫৮। এখানে জালাল আহম্মেদকে জালাল হাওলাদার ও তার স্ত্রীর নাম রানী বেগমের পরিবর্তে রানী বিবি লেখা হয়েছে। শুধু কৌশলে একটি কেসে জালাল আহম্মদ অপরটিতে জালাল হাওলাদার। আর স্ত্রী রাণীর নামের শেষে বেগম আর বিবি লেখা হয়েছে। বাকিসব হুবহু ঠিক রয়েছে। এভাবে প্রকৃত ভূমিহীনদের জমি না দিয়ে খাস জমি বন্দোবস্ত দেয়ার নামে চলছে ভূমি অফিসের ওপেন ঘুষ বানিজ্য।

তেগাছিয়া গ্রামের জনৈক আবু তালেব এ বন্দোবস্ত কেস বাতিলের আবেদন করেছেন। তিনি তার আবেদনে উল্লেখ করেছেন জালাল ও রাণী বেগমরা ভূমিহীন নয়। তাদের পৈত্রিক ভিটায় বসতবাড়ি রয়েছে।

এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তদন্ত সাপেক্ষ বিধিমতে ব্যবস্থা নেয়া হবে

(এমকেআর/এইচআর/ডিসেম্বর ০৪, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test