E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আর্থিক অনটনে নববধুকে খুন

২০১৪ ডিসেম্বর ০৪ ১৮:৫০:১০
আর্থিক অনটনে নববধুকে খুন

গাজীপুর প্রতিনিধি : গাজীপুরের টঙ্গীর নববধু শিউলীর হত্যাকারী স্বামী বাদশা খানকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১। বাদশা স্ত্রী হত্যার বর্ননা দিয়ে র‌্যাবকে জানিয়েছে আর্ধিক অনটনের কারণে ঝগড়ার এক পর্যায়ে গলায় উড়না পেচিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। লেঃ কমান্ডার কাজী মো. শোয়াইবের নেতৃত্বে র‌্যাব-১ এর একটি দল বুধবার রাতে টঙ্গী ব্রীজ এলাকা থেকে ঘাতক বাদশা খান (২৫) গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারের জিজ্ঞাসাবাদে বাদশা খান র‌্যাবকে জানায়, তিন বছর প্রেম করে গত জুন মাসে সে গার্মেন্ট শ্রমিক শিউলী বেগমকে (১৬) বিয়ে করে। শিউলীর পরিবার বিয়ে মেনে না নেওয়ায় তারা টংগীর পূর্ব গোপালপুর আটারকল বাজারের কাছের মো. শাহবুদ্দিনের বাড়ীর দ্বিতীয় তলার একটি রুম ভাড়া নেয়। বিয়ের পর থেকেই আর্থিক সমস্যা নিয়ে তাদের দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। ঘটনার দিন গত ১০ জুলাই বেলা অনুমান ১১ সাড়ে টার দিকে ঝগড়ার এক পর্যায়ে শিউলী বেগমকে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে। আত্মহত্যা প্রমানের জন্যে লাশ রুমের আড়ার কাঠের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। পরে ওড়না কেটে লাশ নামিয়ে খাটের উপর শুইয়ে বিছানার চাঁদর দ্বারা ঢেকে পালিয়ে যায়। মা কুমিল্লার দ্বেবিদ্দারের তালতলা গ্রামের রানু বেগম জানান, তার ২ ছেলে ৩ মেয়ের মধ্যে শিউলী তৃতীয়। মহাখালীর নিকেতন এলাকায় ভাড়া থেকে তিনি গার্মেন্ট চাকুরি করেন। বাদশা খান পাশেই ভাড়া থাকার সময় শিউলীর মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। সে পূর্বে মাদক ব্যবসা করতো জেনে আমরা বিয়েতে রাজি হয়নি। পরে তারা পালিয়ে বিয়ে করে টঙ্গীতে থাকতো। বিয়ের এক মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই সে শিউলীকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

তিনি আরো জানান, বাদশা টঙ্গীর বাচ্চু খানের ছেলে বলে তিনি শুনেছেন। তার বিস্তারিত ঠিকানা জানেন না। মাদক ব্যবসা ছাড়াও বাসে হেলপারি করতো সে। তবে বিয়ের পর থেকে বেকার ছিল। টঙ্গী থানার ওসি মো. ইসমাইল হোসেন জানান, গ্রেপ্তারের পর র‌্যাব বৃহস্পতিবার বাদশাকে টঙ্গী থানায় হস্তান্তর করে। পরে তাকে শিউলী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হলে বিচারক জেল হাজতে পাঠিয়েছে।

(এসএএস/পি/ডিসেম্বর ০৪, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test