E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

চাঁদার টাকা ভাগ নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ,এম্বুলেন্সে ভোগান্তিতে বৃদ্ধা

২০১৪ ডিসেম্বর ০৪ ১৯:৪৪:৩৬
চাঁদার টাকা ভাগ নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ,এম্বুলেন্সে ভোগান্তিতে বৃদ্ধা

হুমায়ূন কবির জীবন,কুমিল্লা:পরিবহনের চাঁদার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের জের ধরে যুবলীগ-ছাত্রলীগের সাথে শ্রমিকদের সংঘর্ষ, হামলা, ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে শ্রমিকরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করলে অন্তত ৭০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়।বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা থেকে এই অবরোধ করা হয়।

এসময় চিকিৎসার জন্য ঢাকামুখী এম্বুলেন্সে থাকা ৮০ বছর বয়সি মুমূর্ষ রোগী জামেলা খাতুন ও তার স্বজনরা আটকে পড়েন। দীর্ঘ সময় ঢাকা-চট্টগ্রামের মাঝখানে এম্বুলেন্সের ভিতর থাকতে হয় তাদেরকে। প্রিয় মা জামেলা খাতুনের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়ার সময় পড়েন চরম ভোগান্তিতে। এম্বুলেন্সের জানালা দিয়ে অসহায়ভাবে তাকিয়ে ছিলেন তার মেয়ে আনোয়ারা ও ছেলে শামীম। তাদের বাড়ি কুমিল্লা দেবিদ্বার থানার চানপুর এলাকায়। মাকে কুমিল্লা মা ও শিশু হাসপাতাল থেকে উন্নতর চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন চিকিৎসক।

ঢাকার উদ্দেশ্যে কুমিল্লা থেকে রওনা হয়ে ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় গেলে পড়েন যুবলীগ-ছাত্রলীগের সাথে শ্রমিকদের সংঘর্ষ, হামলা, ভাংচুরের ঘটনার শ্রমিকদের প্রতিবাদে মহাসড়কের অবরোধের কবলে।

এসময় অন্যান্য যাত্রীরা এম্বুলেন্সের ৮০ বছরের বৃদ্ধ জামেলা খাতুনের জন্য দু:খ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তাদের উচিত জরুরি এম্বুলেন্স কিংবা বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত যানবাহনকে অবরোধমুক্ত রাখা।

মা জামেলা খাতুনকে নিয়ে এম্বুলেন্স বসে মেয়ে অসহায় আনোয়ারা । তিনি সাংবাদিককে দেখে বলেন, ভাই আমরা কিভাবে মাকে নিয়ে ঢাকায় যাবো? পথ দেখছি না। যেভাবে রাস্তা আটকে রাখা হয়েছে কোন উপায় পাচ্ছি না। আমার মাকে কি বাঁচাতে পারবো না। উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। তার বর্তমান বয়স ৮০। এভাবেই মাকে নিয়ে কথা গুলো বলেছেন তার মেয়ে আনোয়ারা।

অপরদিকে মায়ের পাশে বসে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন ছেলে শামীম। তার চোখের ভাষা বলে দিচ্ছে মাকে নিয়ে পড়ে আছেন বেকাদায়। কিভাবে যাবে এখান থেকে বের হবেন। যেকোন মূল্যে ঢাকা যেতে হবে।

ছেলে শামীম বলেন, আমাদের দেশে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো যদি কথা কাটাকাটি কিংবা ঝগড়া হলেই সড়ক বন্ধ করে দেয়। এরকম কর্মকাণ্ড থেকে আমরা মুক্তি চাই। কারণ কিছু লোকের জন্যতো হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তির শিকার হতে পারে না। আমি আমার মাকে নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছি। অসুস্থ মাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য যেতে পারছি না। আসলে জনগণের কথা কেউ ভাবে না।


(এইচকেজে/এসসি/ডিসেম্বর০৪,২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test