E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রামগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের সনদপত্র জালিয়াতির অভিযোগ

২০১৪ ডিসেম্বর ০৫ ১৬:০৫:৩৬
রামগঞ্জে মুক্তিযুদ্ধের সনদপত্র জালিয়াতির অভিযোগ

রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত জা.মু.কা’র ডিজি কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধের সনদপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নিজ নাম অন্তর্ভূক্তকরণের অভিযোগ উঠেছে। রামগঞ্জ উপজেলার বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা স্বপন কুমার নন্দী তার নিজ সনদপত্র হাতিয়ে নিয়ে অভিযুক্ত ডিজি শ্যামাপদ দে এহেন কাজ করেছেন বলে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জালিয়াতির শিকার স্বপন কুমার নন্দী কর্তৃক সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে লিখিত আবেদন দায়ের করছে।

রামগঞ্জ পৌরসভার রতনপুর ওয়ার্ডে মৃত গোপাল চন্দ্র নন্দীর ছেলে স্বপন কুমার নন্দী জনানায়, ১৯৭১ইং সনের রামগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ে দ্বাদশবর্ষে অধ্যায়নকালে বামফ্রন্টের নেতৃত্বাধিন সরোয়ার-ই-দ্বীন এর নেতৃত্বে ১০ দিনের ট্রেনিং নিয়ে মুকিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। যার ফলশ্রুতিতে স্বাধীনতা উত্তর আতাউল গণি ওসমানির স্বাক্ষরিত খ/০৩৫২০৭নম্বর সনদ প্রাপ্ত হন তিনি। এই সাথে ১৯৭২ইং সনে রামগঞ্জ থানার পরিষদ থেকে কম্বল ও ১০০ টাকা ভাতা গ্রহণ করেন। ১৯৭৩ইং সনে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফরম পূরণ কালে রামগঞ্জ কলেজ হতে ৫০ টাকা মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তিপ্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে ১৯৭৪ইং পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অঙ্গনে জড়িত থাকার কারণে চট্টগ্রামে অবস্থান করেন তিনি।

এ সুযোগে এইক গ্রামের প্রাণেরস্বর চন্দ্র দের ছেলে ১৯৭২ইং সনে এম.ইউ.সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিক্ষার্থী হিসাবে এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শ্যামাপদ দে ১৯৮১ইং সনে স্বপন কুমান নন্দীর বসত ঘর থেকে কৌশলে তার মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্র নিয়া যান। পরবর্তীতে স্বপন কুমার নন্দী ১৯৮৫ইং সনে সার্টিফিকেট না পেয়ে শ্যামাপদকে জিজ্ঞাসা করলে তার কাছে ঐ সনদ রক্ষিত রয়েছে বলে স্বীকার করে। কয়েকদিনের মধ্যে ফেরত দিবেন বলে জনান। কিন্তু শ্যামাপদ দে ঐ সনদ না দিয়ে ১৯৮২ইং সনে লাকসাম জিয়ারপিতে একটি হারানো জিডি নং-৪১৯, ১৪/১২/১৯৮২ইং দায়ের করেন। পরবর্তীতে ঐ জিডি ব্যবহার করে সচুতর শ্যামাপদ দে আমার সার্টিফিকেট খ-০৩৫২০৭ ব্যবহার পূর্বক নিজ নামে মুকিযোদ্ধ সনদ গ্রহণ করে তালিকা ক্তূক্ত হয়। এর আলোকে ২০০৫ইং সনে স্বারক নম্বর মযসর/৪৩নম্বর ২৭/০৪/২০০৫ইং এর আলোকে স্বপন কুমার নন্দী বিভিনমন্ত্রণালয় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। সরজমিনে তদন্তে প্রমান না পেয়ে স্থানীয় কমান্ড রামগঞ্জ শ্যামাপদ দের পক্ষে শুপারিশ করেনি। ঐ তদন্তে শ্যামাপদ দে হাজির হয়নি।

পরবর্তীতে ২০০৯ইং সনে স্বপন কুমার নন্দীর অভিযোগের ভিত্তিতে শ্যামাপদের বিরুদ্ধে তালিকাক্তূক্ত হলেও ২/১ জন প্রভাবশালী সুযোগ গ্রহণ করে তদন্ত ছাড়াই শ্যামাপদ দের পক্ষে সুপারিশ প্রদান করেন। যার আলোকে ২০০৫ইং সনে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণায় উদ্বত হয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগদান উল্লেখ্য পূর্বক আবেদন করে তালিকায় নিজ নাম অন্তর্ভূক্ত করেন। এই বিষয়ে বারবার চেষ্টা করেও ডিজি শ্যামাপদ দের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভাব হয় নাই। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কর্মকর্তার অত্যাচার ও নিপীড়নের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য রতনপুর গ্রামের অসহায় নাগরিকের পক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রার্থনা জানাই।

(এমএএইচ/এএস/ডিসেম্বর ০৫, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

০৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test