E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কালকিনিতে গণধর্ষণের পর স্কুলছাত্রীকে হত্যার অভিযোগ

২০১৪ ডিসেম্বর ০৯ ১৯:২৮:৫১
কালকিনিতে গণধর্ষণের পর স্কুলছাত্রীকে হত্যার অভিযোগ

মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরের কালকিনিতে গণধর্ষণের পর জহুরা আক্তার (১৩) নামের এক স্কুলছাত্রীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পারিবারিকভাবে অভিযোগ করা হয় ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও ধর্ষণ ও হত্যা মামলা নেয়নি পুলিশ। তবে একটি অপমৃত্যুর মামলা নথিভুক্ত করে দায় শেষ করেছে কালকিনি থানা পুলিশ। নিহত জহুরা এ বছর কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল।

মঙ্গলবার সকালে নিহত জহুরার বাবা এমদাদ খান, মা মরিয়ম বেগম ও চাচা আবদুর রব খানের সাংবাদিকের কাছে দেয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের অস্টম শ্রেণীর স্কুলছাত্রী জহুরা আক্তারকে স্কুলে যাতায়াতের পথে উত্যাক্ত করত স্থানীয় খলিল খানের বখাটে ছেলে বোরহান খান। বিষয়টি তার অভিভাবককে জানালেও কোন প্রতিকার হয়নি। ৩ ডিসেম্বর রাতে বোরহান খান (১৮) তার সঙ্গী একই এলাকার বশীর মহাজনের ছেলে হযরত আলী মহাজন (২৭) এবং মালেক মহাজনের ছেলে রেজওয়ান মহাজন (৩০) নিয়ে জহুরাদের ঘরের ভাঙ্গা জানালা দিয়ে ভেতর দিয়ে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় জহুরার মুখে ওড়না চেপে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে জহুরা জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে জহুরার মৃতদেহের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আঁড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় ধর্ষক রেজওয়ান পাশের ঘরে ঘুমন্ত জহুরার মা মরিয়ম বেগমকে ঘুম থেকে ডেকে বলে, ‘জহুরার ঘর থেকে কারা যেন বেড়িয়ে গেল।’ এরপর থেকেই রেজওয়ানসহ তিন ধর্ষক এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। পরে পরিবারের লোকজন জহুরার লাশ উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী শরীয়তপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরের দিন খবর পেয়ে কালকিনি থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে একটি অপমৃত্যু মামলা নথিভুক্ত করে। এই ঘটনায় জহুরার চাচা আবদুর রব খান বাদী হয়ে কালকিনি থানায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করতে গেলে তার কাছ থেকে কাগজপত্র রেখে তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মামলা গ্রহণ করা হয়নি। এব্যাপারে ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালকিনি থানার এসআই ইদ্রিস জানান, ‘নিহতের মা ও পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, এই ঘটনাটির প্রথম প্রত্যক্ষদর্শী রেজওয়ান মহাজন এবং ওরাই জড়িত। তবে অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় আমরা ধর্ষণ ও হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারিনি। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে সেই মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম কুমার পাল বলেন, ‘শরীয়তপুর থানার সহযোগিতায় জহুরার ময়না তদন্তের আলামত ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

(এসিএ/পি/ডিসেম্বর ০৯, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test