E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

অস্তিত্ব সংকটে ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সুন্দরবন

২০১৪ ডিসেম্বর ১০ ১৯:৩৪:২৪
অস্তিত্ব সংকটে ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সুন্দরবন

আহসানুল করিম : প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঝড়-জলোচ্ছাসে লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়ার পরও প্রতিবারই ঘুরে দাড়ায় সুন্দরবন। এবারই প্রথম প্রকৃত অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন। এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়-খোদ নৌ পরিবহন মন্ত্রণায়ের খামখেয়ালি পনার শিকার হয়ে বাঁচামরার মুখোমুখি দাড়িয়েছে সুন্দরবন।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের শ্যালা নদীর মৃগমারী এলাকায় মঙ্গলবার ভোরে এমভি টোটালের ধাক্কায় তলা ফেটে ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৬শ ৬৮ লিটার ফারনিস অয়েল বোঝাই অয়েল নিয়ে ডুবে যায় ট্যাংঙ্কার ‘এমভি ওটি সাউদার্ন স্টার সেভেন’। এই তেল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব সুন্দরবনের নদ-নদী-খাল ও বন অভ্যান্তরে। দিনে ২ বার করে জোয়ারে তেলের আস্তারণ ঢুকে পড়ছে সুন্দরবনের মাইলের পর মাইল ধরে বন অভ্যান্তরে।

সুন্দরবনের শুধু বনজ সম্পদই নয়- ছড়িয়ে পড়া এ তেলের কারণে বিলুপ্ত প্রায় ইরাবতী ডলফিনসহ ৬ প্রজাতির ডলফিন, কুমির, বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও কাকড়াসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণী হুমকীর মুখে পড়েছে। গত ২ দিনেও উদ্ধার করা যায়নি নিমজ্জিত তেল বোঝাই অয়েল ট্যাংঙ্কারটি। অয়েল সুইপার জলযান দিয়ে ছড়িয়ে পরা তেল তুলে নেয়ার কোন ব্যবস্থা না থাকায় ম্যানগ্রোভ এ বনের গাছের শ্বাষমূল ঢেকে যাচ্ছে ছড়িয়ে পরা তেলে। নারায়নগঞ্জ ও বরিশাল থেকে বিআইডাব্লিটিএর ২টি উদ্ধারযান প্রত্যায় ও দুর্জয় মঙ্গলবার রওয়না দিলেও বুধবার বিকাল পর্যন্ত ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেনি। ইতি মধ্যে সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি নিরাপনে সুন্দরবন বিভাগের গঠিত ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি সরেজমিনে কাজ শুরু করেছে। ২ দিনেও খুঁজে পাওয়া যায়নি, ডুবে যাওয়া অয়েল ট্যাংঙ্কারের নিখোঁজ মাষ্টার মোকলেসুর রহমানের (৫০) লাশ। উদ্ধার অভিযানে নামছে নৌবাহিনীর ২ টি জাহাজ ও বিআইডাব্লিটিএ এর ৩ টি জাহাজ। পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ থেকে সুন্দরবনের ক্ষয়-ক্ষতির জন্য অয়েল ট্যাংঙ্কারের বিরুদ্ধে ১শ কোটি টাকার মামলা করা হয়েছে।

সুন্দরবনের সম্পদ এখন সংকটে:
সুন্দরবনে ৬ হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার আয়তনে বাংলাদেশ অংশে স্থল ভাগের পরিমাণ ৪ হাজার ১শ ৪৩ বর্গ কিলোমিটার। আর ৪শ ৫০টি ছোট-বড় নদী ও খাল নিয়ে জল ভাগের পরিমাণ ১ হাজার ৮শ ৭৪ বর্গ কিলোমিটার। অষ্টাদশ শতাব্দীর শুরুতে সুন্দরবনের আয়তন ছিল বর্তমানের প্রায় দ্বিগুন। মানুষের কারণে সুন্দরবনের আয়তন আজ এখানে এসে ঠেকেছে।

সুন্দরবনে রয়েছে ৩শ ৩৪ প্রজাতির গাছপালা, এ উদ্ভিদকুলের ৭৩ ভাগই হচ্ছে সুন্দরি গাছ, ১৬ ভাগ গেওয়া। ১শ ৬৫ প্রজাতির শৈবাল, ১৩ প্রজাতির অর্কিড। রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও চিত্রল হরিণসহ ৩২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৫ প্রজাতির সরিসৃপ, ৮ প্রজাতির উভচর, ৩শ প্রজাতির পাখি। বিলুপ্ত প্রায় ইরাবতী ডলফিনসহ ৬ প্রজাতির ডলফিন, কুমির, ২শ ১০ প্রজাতির মাছ, ১৩ প্রজাতির কাঁকড়া, ২৬ প্রজাতির চিংড়ি, ১ প্রজাতির লবস্টার ও ৪২ প্রজাতির শামুক, ঝিনুক রয়েছে সুন্দরবনে। সুন্দরবনের সম্পদের হিসাব করা কঠিন।
সুন্দরবনে দৃশ্যমান সম্পদের পরিমান ১শ ৫৮ কোটি ৯ হাজার ৮শ ৭ পয়েন্ট ৮০ বিলিয়ন টাকা। এসব কারণে পর্যাটদের কাছে সুন্দরবন হচ্ছে প্রকৃতির অপর বিশ্বয়। জাতিসংঘের ইউনেস্কো কমিশন ১৯৯৭ সালে ৬ ডিসেম্বর সুন্দরবনকে ওর্য়াল্ড হ্যারিটেজ বিশ্ব ঐতিহ্য হিসাবে ঘোষণা করে। সুন্দরবনের এ সম্পদের সবটাই এখন সংকটের মধ্যে পড়েছে। বিষেশজ্ঞদের প্রাথমিক হিসাব মতে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই ও শরনখোলা রেঞ্জের নন্দপাড়া নদী থেকে শ্যালা নদী হয়ে আন্ধারমানিক নদী পর্যন্ত মাছসহ জলজ প্রানীসহ ডলফিনের অভ্যায় আশ্রম এখন চরম অস্তিত্ব সংকটে।
মঙ্গলবার এ অয়েল ট্যাংঙ্ককার ডুবির পর থেকে ডলফিনের এ অভ্যায় আশ্রমে আর ডলফিনের দেখা মিলছে না। এসব এলাকার প্রায় ৫০ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে গাছপালার শ্বাষমূলে তেলের আস্তারণ পড়ায় ম্যানগ্রোভ বনের গাছপালা ২ সপ্তাহার মধ্যে মরতে শুরু করবে বলে বিষেশজ্ঞরা আশংকা প্রকাশ করেছেন। এমন মানুস্বসৃষ্ট দুর্যোগের মুখোমুখি সুন্দরবন আর কখনো দাড়ায়নি।

তিন সদস্যের দুটি আলাদা তদন্ত কমিটি গঠণ:
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আমির হোসাইন চৌধুরী জানান, সুন্দরবনের শ্যালা নদীর মৃগমারী এলাকায় মঙ্গলবার ভোরে ফারনিস অয়েল বোঝাই ট্যাংঙ্কার ডুবির পর সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি নিরাপনে গঠণ করা হয়েছে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি। পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা বেল্লাল হোসেনকে প্রধান করে গঠিত এ তদন্ত কমিটির অপর ২ সদস্য হলেন চাঁদপাই স্টেশন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ ও ঢাংমারী স্টেশন কর্মকর্তা প্রবল চন্দ্র রায়।

বুধবার সকাল থেকে এই তদন্ত কমিটি সরেজমিনে তদন্ত শুরু করেছে। এই কমিটি তিন কর্মদিবসের মধ্যেই ডিএফও বরাবরে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে। অন্যদিকে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় এই অয়েল ট্যাংঙ্কার ডুবির ঘটনায় বুধবার ৩ সদস্যের আলাদা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের নটিক্যাল সার্বেয়ার এন্ড এক্স মিনার ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিনকে আহবায়ক করে গঠিত এ কমিটির অপর সদস্য হলেন সমুদ্র পরিবহর অধিদপ্তর খুলনার অভ্যান্তরীন জাহাজ পরিদর্শক আবু জাফরকে সদস্য সচিব ও একই দপ্তরের বিশষ কর্মকর্তা নৌ-নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম মহিউদ্দিন। এই কমিটি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দুর্ঘটনার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে।

আসছে উদ্ধারকারী জাহাজ:
নারায়ণগঞ্জ ও বরিশাল থেকে সুন্দরবনে তলা ফেটে ডুবে যাওয়া অয়েল ট্যাংঙ্কার উদ্ধারে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রওনা দিয়েছে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যায় ও নির্ভিক। বিআইডাব্লিটিএর এই ২টি উদ্ধারযান বুধবার বিকাল পর্যন্ত ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেনি। নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, অয়েল ট্যাংঙ্কারের ভাসমান তেল নষ্ট করতে চট্রগ্রাম বন্দর থেকে রওনা দিয়েছে জাহাজ “কান্ডারী-১০”। কান্ডারী-১০ জাহাজটি ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভাসমান তেলের উপরে এক ধরনের পাউডার ছিটিয়ে তেল নষ্ট করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌ মন্ত্রী।

দায়ী নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়:
সুন্দরবন বিভাগের মতে এ দুর্ঘটনায় সুন্দবনের অস্তিত্ব নিয়ে টান পড়ার জন্য দায়ী নৌ-পরিবহন মন্ত্রাণালয়। বারবার তারা চিঠি দিয়ে নৌ পরিবহন মন্ত্রাণালয়কে সুন্দরবনের ডলফিন অভ্যায় আশ্রমের বুক চিরে এই রুট দিয়ে সব ধরণের জাহাজ চলাচল বন্ধ করার কথা বললেও তারা কানে নেয়নি। পলি পড়ে ঘষিয়াখালী-মংলা আন্তজার্তিক নৌ চ্যানেলটি ২০১১ সালের এপ্রিল মাসে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে নৌ পরিবহন মন্ত্রাণালয় সুন্দরবনের বুক চিরে সুন্দরবন বিভাগের কোন অনুমতি না নিয়েই এই বিকল্প রুট দিয়ে জাহাজ চলাচল শুরু করে। সুন্দরবন বিভাগের আপত্তি উপেক্ষ্য করে প্রতিদিন এই বিকল্প রুট দিয়ে প্রায় ২ শতাধীক জাহাজ ও কার্গো ভ্যাসেল চলাচল করায় এখন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সুন্দরবন।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের ডিএফও জানান, একের পর এক চিঠি দিয়েও আমরা নৌ-পরিবহন মন্ত্রাণালয়ের জাহাজ চলাচল বন্ধ করতে পারেনি। আমরা যা আশংকা করেছিলাম তার থেকেও বড় দুর্ঘটনার শিকার হল সুন্দরবন।

বাংলাদেশে নেই অয়েল সুইপার জলযান:
সুন্দরবন ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ। বিশ্বের একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট। এ বন আমাদের গর্ব বিশ্ববাসীর গর্ব। অফুরন্ত প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর সুন্দরবনের বুক চিরে পশুর চ্যানেল দিয়ে প্রতিদিন দেশি-বিদেশি জাহাজ মংলা বন্দরে আসে। কখনো এরূপ দুর্ঘটনা ঘটলে সুন্দরবনকে রক্ষায় নেয়া হয়নি কোন কার্যকর পদক্ষেপ। সরকার আসে সরকার যায় ভাগ্য বদল হয়না সুন্দরবনের।
এ কারণে ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সুন্দরবন রক্ষায় কেনা হয়নি পানি থেকে তেল চুষে নেয়ার কোন অয়েল সুইপার জলযান। এ দুর্ঘটনার পর জানাগেল শুধু সুন্দরবন বিভাগ নয় বাংলাদেশে নেই কোন অয়েল সুইপার জলযান। সুন্দরবন বিষেশজ্ঞ ও পরিবেশবিদ ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, দ্রুত ১/২ দিনের মধ্যে বিদেশ থেকে অয়েল সুইপার জলযান এনে সুন্দরবনের নদ-নদীতে ছড়িয়ে পড়া ও গাছের শ্বাষমূলে লেগে থাকা তেলের আস্তারন অপসারন করতে হবে। তা না হলে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে সুন্দরবন।

তিনি আরো জানান, নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের খাম খেয়ালী পানার কারণে সুন্দরবন ধ্বংস হতে পারে না। সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে অবৈধ এই নৌ চলাচল বন্ধ করতে হবে ও সুন্দরবনকে বাঁচাতে সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

মংলা থানায় সুন্দরবন বিভাগের মামলা:
অয়েল ট্যাংঙ্কার ডুবিতে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক ও জীব-বৈচিত্রের ১শ কোটি টাকার উপরে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কার কথা উল্ল্যেখ করে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের স্টেশন অফিসার আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে মংলা থানায় একটি দায়ের করেছেন। বুধবার দুপুরে মংলা থানায় দায়েরকৃত এ মামলায় ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে বলে উল্ল্যেখ করা হয়েছে। ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৬শ ৬৮ লিটার ফারনিস অয়েল বোঝাই অয়েল ট্যাংঙ্কার ‘এমভি ওটি সাউদার্ন স্টার সেভেন’ মালিক কর্তৃপক্ষের নামে মামলায় আসামী করা হয়েছে। মংলা থানা সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে ট্যাংঙ্কার কর্তৃপক্ষ মেসার্স হারুন এন্ড কোম্পানির ম্যানেজার গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে বুধবার দুপুরে এমভি টোটাল ট্যাংঙ্কারের বিরুদ্ধে মংলা থানায় মামলা করেছে।

ঘটনাস্থলে যাচ্ছে নৌবাহিনীর ২টি জাহাজ:
সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে ডুবে যাওয়ায় অয়েল ট্যাংঙ্কারের তেল অপসারণ ও উদ্ধার কাজে অংশ নিতে ঘটনাস্থলে যাচ্ছে নৌবাহিনীর জাহাজ বিএনএস আখতারউদ্দিন ও ১০ সদস্যের ড্রাইভিং টিমসহ বিএনএস শাহপরান। চট্রগ্রামের বিএনএস ঈষাখা নৌঘাটি থেকে সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। নৌবাহিনীর ১০ সদস্যের ড্রাইভিং টিমটি ডুবন্ত জাহাজ থেকে তেল অপসারন কাজে অংশ নেবে।

স্তম্বিত বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়:
সুন্দরবনে অয়েল ট্যাংঙ্কার দুর্ঘটনায় সুন্দরবনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পেয়ে হ্যালিকাপ্টার যোগে বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থল সুন্দরবনে উড়ে আসেন বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব। তার সাথে ছিলেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার রাকিবুল ইসলাম। এর আগে সকালে সুন্দরবনে পৌছান প্রধান বনসংরক্ষক মো. ইউনুস আলী, সিএফ আর্তিক চন্দ্র সরকার, বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মু. শুকুর আলী ও পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের ডিএফও মোঃ আমির হোসাইন চৌধুরী। বন উপমন্ত্রীসহ কর্মকর্তারা সুন্দরবনের নদ-নদীতে ভাসমান ফারনিস অয়েল ও ম্যানগ্রোভ বনের শ্বাষমূলে তেলের আস্তারণ দেখে স্তম্বিত হয়ে যান।

জোয়ার ভাটায় ছড়াচ্ছে তেল:
দিনে ২ বার জোয়ার ভাটার কারণে সুন্দরবনের নদ-নদী ও শাখা প্রশাখা গুলোতে হু-হু করে ঢুকে পড়ছে এই তেলের বিস্তৃতি। যার ফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সুন্দরবনের গাছপালা ও শ্বাষমূলে এই তেলের আস্তারন পড়ছে। এছাড়া বিস্তৃত জায়গায় পশু-পাখি ও প্রানীকুলও পড়ছে হুমকীর মুখে। বনবিভাগ সূত্র দাবি করেছে এ পর্যন্ত প্রায় সুন্দরবনের নন্দবালা থেকে আন্ধারমানিক পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার ডলফিনের অভ্যায়াশ্রমসহ প্রায় ৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে তেল ছড়িয়ে পড়ছে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে আরো বিস্তীর্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে। সময়ের সাথে সাথে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার পরিমাণ বাড়বে বলে বিষেশজ্ঞরা মনে করছেন।

(একে/এটিআর/ডিসেম্বর ১০, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test