E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

জিকে সেচ প্রকল্পের প্রধান সাব ডিভিশন ৩ বছর তালাবন্ধ

২০১৪ মে ০৪ ১৩:১৪:৫৪
জিকে সেচ প্রকল্পের প্রধান সাব ডিভিশন ৩ বছর তালাবন্ধ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : সেচের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধির স্বার্থে সরকার ১৯৫৪ সালে ভেড়ামারায় দেশের বৃহত্তম গঙ্গা-কপোতাক্ষ জিকে সেচ প্রকল্পের কাজ হাতে নেয়। কিন্তু এই সেচ প্রকল্পের প্রধান সাব-ডিভিশন ৩ বছর ধরে তালাবন্ধ।

অফিস আছে, অফিসের গাড়িও আছে, লোকবলও রয়েছে, প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার কাজও হচ্ছে। নেই শুধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে যাতায়াত। তারা অফিস করে না। তাদের সুবিধামত অফিস বানিয়ে রাজার হালে বসে বসে বেতন উত্তোলন করছে। অফিসের নামে বরাদ্ধকৃত অর্থ কিভাবে, কার নামে, কোন কাজ দেখিয়ে উত্তোলন করা হচ্ছে তাও দৃশ্যমান নয়।

১৯৬৯ সালে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়। সে সময় ইনটেক চ্যানেল সহ প্রধানখাল, শাখা খাল সহ গুরুত্বপূর্ন অবকাঠামোর রক্ষনাবেক্ষন, মেরামত এবং উন্নয়নের জন্য গঠন করা হয় ভেড়ামারা সাব-ডিভিশন। যা জিকে সেচ প্রকল্পের নার্ভ হিসেবে পরিচিত।

তৎকালীন সময় থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত জাকজমক পূর্ন ছিল এই সাব ডিভিশন। প্রতি বছর কোটি কোটি ব্যয় করা হয় এই সাব ডিভিশন থেকেই। কিন্তু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বেচ্ছাচারিতা এবং অলসতার কারণে তারা ভেড়ামারার এই অফিসে আসে না।

অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, সর্বশেষ ২০০৪ সালে গাজী ইয়ার আলী এই সাব ডিভিশনের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেন। তারপর আর কারও নাম নেই এই বোর্ডে। পরবর্তীতে কর্মকর্তারা অফিসে না এলেও কর্মচারীরা নিয়মিত অফিস করতো। কিন্তু দীর্ঘ ৩ বছর ধরে তালাবন্ধ হয়ে পড়েছে জনগুরুত্বপূর্ন এই দপ্তরটি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে এই অফিসের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন এসডি জহুরুল ইসলাম। শাখা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। এই অফিসের রয়েছে গাড়ি, ড্রাইভার, সার্ভেয়ার, চেইনম্যান, কার্যসহকারী এবং পিয়ন।

ভেড়ামারা সাব-ডিভিশন’র উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এসডি জহুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি বসেন কুষ্টিয়া অফিসে। ভেড়ামারা সাব ডিভিশনের দায়িত্ব তার অতিরিক্ত। মাঝে মাঝে তিনি ভেড়ামারার সাব-ডিভিশনে অফিস করেন। এই অফিসের নামে ক্যানেল রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামতের নামে প্রতি বছর ১ কোটি টাকার কাজ হয়। তিনি আরো জানান, এসডিদের প্রতিদিনের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে হয় না।

ভেড়ামারা সাব-ডিভিশন’র শাখা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, বিশাল অঞ্চল নিয়ে গঠিত ভেড়ামারা সাব ডিভিশন। আমি এবং স্যারসহ অফিসের ২ জন কার্যসহকারী তামান্না খাতুন, সুজন, চেইনম্যান মুঞ্জুর এবং অফিস পিয়ন রেহান নিয়মিত ভেড়ামারায় অবস্থিত সাব ডিভিশনে অফিস করছি।

জিকে সেচ প্রকল্প কুষ্টিয়ার প্রকল্প পরিচালক ওবাইদুর রহমান জানান, লোকবলের অভাবে ভেড়ামারা সাব ডিভিশনের অফিসটি এখন বন্ধ। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কেউ ভেড়ামারায় অফিস করে না। তারা এখন কুষ্টিয়ার অফিসে বসে। তবে অচিরেই সাব ডিভিশন অফিসটি সচল করা হবে।

(কেকে/জেএ/মে ০৪, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test