E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঝালকাঠি প্রাঃ শিক্ষা অফিসের আলাউদ্দিনের হাতে দুর্নীতির চেরাগ!

২০১৪ ডিসেম্বর ১৮ ২০:৩০:৫৬
ঝালকাঠি প্রাঃ শিক্ষা অফিসের আলাউদ্দিনের হাতে দুর্নীতির চেরাগ!

ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের ক্যাশিয়ার আলাউদ্দিনের দূর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে উপার্যিত অবৈধ অর্থসম্পদের বিষয়ে তদন্তে পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের আবেদান জানিয়েছে অর্ধশত শিক্ষকরা। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নাম ভাংগিয়ে হরিলুটে লিপ্ত আলাউদ্দিন জেনো সেই রূপপকথার 'চেরাগ' হাতে পেয়েছে বলে শিক্ষকরা অভিযোগ করেছে।

স্থানীয় প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের উৎকোচ গ্রহণ ও হয়রানি করে তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী মোঃ আলাউদ্দিন আহম্মেদ বিপুল ব্যাংক ব্যালেন্স সহ প্রায় অর্ধ কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছে বলে অভিযোগে জানা গেছে। তার ক্ষমতার জোড়ে উক্ত আলাউদ্দিনের স্ত্রী সহকারী শিক্ষক হয়েও বিভাগীয় সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছে। আর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এসব কর্মকান্ড জানলেও রহস্য জনক কারনে তিনি নিরবতা পালন করছে বলে শিক্ষকরা জানিয়েছে। বিভাগীয় উপপরিচালকের কাছে দেয়া লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, স্থানীয় কয়েক শিক্ষক নেতার যোগসাজসে ক্যাশিয়ার আলাউদ্দিন আহম্মেদ প্রাথমিক শিক্ষকদের দীর্গদিন ধরে বিভিন্ন উপায় হয়রানি করে অর্থ আদায় ও তদবীর বানিজ্য করে মোটাটাকা কামিয়ে আসছেন। উক্ত আলাউদ্দিন সহকারী শিক্ষক রুম্পা বনিককে ১০ হাজার টাকা উৎকোচের বিনিময়ে চামটা বিদ্যালয়ে পদায়ন করানো সহ সুবিধা জনক বিদ্যালয়ে পদায়ন ও ডেপুটেশনের মধ্যস্থতা করে মোটা টাকা হাতিয়ে আসছেন।

চাকুরিরত শিক্ষকদের পরীক্ষার অনুমতির জন্য তিনি দাবীকৃত টাকা পেলে ফাইল উপস্থাপন করেন অন্যথায় ফেলে রাখেন। যে কারনে ধারাখানা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা আনিছা জাহান মুন্নি পরে আবেদন করে অর্থের বিনিময়ে আগে পরীক্ষার অনুমতি পায় কিন্তু চাচৈর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম বহুদিন পূর্বে এমএড পরীক্ষায় অনুমতি চাইলেও টাকা না দেয়ায় অনুমতি পাননি। মোঃ আলাউদ্দিন ৩য় শ্রেনীর কর্মচারী হলেও ঝালকাঠি মহিলা কলেজের সম্মুখে বাড়ী, রুপাতলী হাউজিংয়ে ২টি প্লট, জিয়া সড়কে ৫ কাঠা জমি, জিপিএ ফান্ডে প্রতিমাসে ৮হাজার টাকা কর্তন ও তার ও তার স্ত্রীর ৪টি ব্যাংকে প্রতিমাসে ১ হাজার করে সঞ্চয় সহ বিপুল অর্থসম্পদের মালিক বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আলহাজ্ব জাফর আহম্মেদ জানায়, পূর্বে কথা আমি বলতে পারবোনা তবে আমার যোগদানের পর সে কোন প্রকার প্রভাব খাটাতে না পারায় সে একটু বিরুপ রয়েছেন। এ ব্যাপারে ক্যাশিয়ার মোঃ আলাউদ্দিন আহম্মেদের কাছে জানতে চাইলে অভিযোগেতিনি জানান স্থানীয় শিক্ষকদের মধ্যে দুটি গ্রুপ থাকায় একাংশ ক্ষুদ্বু হয়ে এ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে।

(এএম/পি/ডিসেম্বর ১৮, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test