E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ব্রহ্মপুত্রের বুকে এখন ইটের ভাটা ও চাষাবাদ হচ্ছে

২০১৪ মে ০৭ ১২:৫৪:১০
ব্রহ্মপুত্রের বুকে এখন ইটের ভাটা ও চাষাবাদ হচ্ছে

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা : তিব্বতের কৈলাশ শৃঙ্গের মানস সরোবর হ্রদ থেকে উৎপত্তি দেশের বৃহত্তম নদ ব্রহ্মপুত্র। গফরগাঁও থেকে ময়মনসিংহ হয়ে ভৈরব বাজার মেঘনা নদীতে মিলিত হয়েছে ব্রহ্মপুত্র। পরে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। এককালের উত্তাল প্রমত্ত ব্রহ্মপুত্র নদ এখন মরা খাল।

ঐতিহ্যবাহী বন্দরনগরী ও প্রসিদ্ধ বাণিজ্যিক কেন্দ্র ভৈরব শহরের সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের ব্যবসার যোগাযোগের প্রধান যাতায়াতের মাধ্যম ছিল এ নদ।

কালের আবর্তে উত্তাল প্রমত্ত এ নদের বুকে গড়ে উঠেছে প্রায় ২০ টি ইটের ভাটা, চলছে চাষাবাদ।ড্রেজিং না করায় ক্রমাগত বালি পড়ে মৃত প্রায় এ নদ। মৎস্য প্রসিদ্ধ এ অঞ্চলে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হচ্ছে। ফলে হাজার হাজার জেলে পরিবার বিকল্প পেশায় নিয়োজিত হচ্ছে।নাব্যতা হারানোর ফলে নৌ পথে চলাচল বিঘ্নিত হওয়ায় ব্যবসা বাণিজ্যে কষ্ট পোহাচ্ছে কয়েক জেলার ব্যবসায়ীরা। এ নৌ পথে কম সময়ে ও হাওড় অঞ্চলে সুলভে পণ্য আমদানি রপ্তানী করতে পারছেনা ব্যবসায়ী মহল।

ভৈরব ব্রহ্মপুত্র পাড়ের জগন্নাথপুর গ্রামের বাসিন্দা অধ্যক্ষ আবদুল বাসেত (৬৫) বলেন, গভীর ব্রহ্মপুত্র নদে লঞ্চ ও বড় নৌকা চলাচল করত। নদীতে ঢেউয়ের কলতান শব্দে ভয় লাগত। এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী নিজেদের স্বার্থে খাস জমি দখল করে ইটের ভাটা গড়ে তুলছে। ১৯৬৪ সালে একদিন এক সঙ্গে ৬৪ টি রুই মাছ ধরা পড়েছিল। প্রায় ১৫ কেজি ওজনের প্রতিটি রুই মাছ ১৬ টাকা করে বিক্রি হয়েছিল। ঝাঁকে ঝাঁকে মাছে ভরপুর ছিল এ নদী। সুস্বাদু গলদা চিংড়ী (কুইশারী), সেলুন মাছ, কাল বাউশ, বাইন ও টাকা মাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

পানি উন্নয়ন ভৈরব শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মুন্সী জহিরুল ইসলাম জানান, প্রাকৃতিক কারণে ব্রহ্মপুত্র ভরাট হওয়ায় চাষাবাদ, মৎস্য উৎপাদন ব্যহত সহ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছে এলাকাবাসী।

সড়ক ও জনপথ ভৈরব শাখার জনৈক কর্মকর্তা জানান প্রায় ২ যুগ পূর্বে ঢাকা-সিলেট সড়কের বাস পারাপারে ব্রহ্মপুত্র নদের জগন্নাথপুর গ্রামের অংশে ৪/৫ টি ফেরি যাতায়াত করত। মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, মাঝি-মাল্লা ও জেলেদের স্বাভাবিক জীবন সহ হাওড় অঞ্চলের ব্যবসায়ী মহল এবং জন জীবনের কষ্ট লাঘবে ব্রহ্মপুত্র নদ ড্রেজিং করতে সরকারের কাছে সর্বমহলের জোর দাবি।

(এআর/জেএ/মে ০৭, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test